Friday, December 11, 2015

বিব্রত কর মুহুর্ত


ভার্সিটিতে আমাদের ৮ জনের একটা গ্রুপ ছিল । তার মধ্যে আমার আর কাইয়ুমের জিএফ ছিল না । এই নিয়ে আমাদের প্রায় ক্ষেপাতো চৈতি আর সুবর্না । কাইয়ুম হঠাত করে আমারে টেনে নিয়ে যায় ডিপার্টমেন্টের ছাদে।

মামা আগুন তো লাইগা গেছে ?
কই?
আমার বুকে রে মাম্মা । পরীর মতো একজন রে দেখলাম উড়ে উড়ে আসছে । আমি অনেক্ষন ফলো করে বোটানি ডিপার্ট মেন্টের কাছে গিয়ে হারিয়ে ফেললাম । হা হুতাশ করেই চলেছে কাইয়ুম
আমি কি করবো তাহলে ?
তুই আমার সাথে বোটানি ডিপার্টমেন্টে যাবি ।


আমার আর কাজ নাই, তোর সাথে পরী খুজবো ? ভালোবাসা আমার জন্য না । আমি মেয়েদের বুঝতে পারিনা ।
কাইয়ুম এর মুখ দিয়ে কিছু বেড় হলে তা করেই ছাড়ে । আমারে বোটানি তে টেনে নিলো। প্রায় প্রতি দিন ডিন স্যার এর ক্লাস ফাকি দিয়ে পরী খুজতে যেতাম ।

সুবর্না/ চৈতি টিটকারি চলতেই থাকলো। আরে মাম্মা মানুষ খুজতে থাক । পরী পাবি কই?
এক দিন কাইয়ুম রে নিয়ে বোটানিতে এক তলায় গিয়ে ঢু মেরেছি। আর কাইয়ুম বলে উঠলো পাইছিরে মামা । তিন তলায় দেখ ?

কিন্তু প্রব্লেম হলো সেকেন্ড ফ্লোরে এক্সাম চলছিল বলে উঠতে দিচ্ছে না ।
কাইয়ুম রে দেখলাম ফ্লায়িং কিস দিচ্ছে । আমারেও বাধ্য করছে
কিন্তু আমি এক তলা থেকে তিন তলায় কিছুই দেখতে পাচ্ছি না, শুধু শুধু আমারে দিয়ে মজা নিচ্ছে
কাইয়ুম দেখ পরী দুইটা আমাদের রেসপন্স করছে । আমাদের দিকে হাত নারছে
কাইয়ুম ইশারা দিয়ে নিচে নামতে বলল ,পরী মনিরাও নিচে নামতে শুরু করলো
সিড়ি দিয়ে নামার পরে ইয়ে আল্লাহ এ আমি কি দেখলাম ?
কাইয়ুম হারামজাদা আমি নাহয় চোখে কম দেখি তোর কি হইছে ?
আমি তো তোরে দেখে ওদের জন্য উতালা হলাম
কিরে কাইম্মা /নমি ? এতক্ষন আমাদের ফ্লায়িং কিস দিলি বলেই হেসে দিলো সুবর্না/ চৈতি
লজ্জায় আমরা ততক্ষনে শেষ । আরে মাথা খারাপ নাকি তোদের যে চেহারা , আমরা তোর দিকে তাকাই নাকি বলে সরে পড়লাম ।


কিন্তু পরের দিন ক্লাসে গিয়ে দেখি একটু পর পর ফ্লায়িং কিস আসছে আমাদের দিকে smile emoticon পুরা ডিপার্টমেন্টে ছড়িয়ে যায় এই গল্প ।

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss