Friday, January 8, 2016

০৭/০৪/২০১৩ চইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সব শেষ গিয়েছিলাম


০৭/০৪/২০১৩ চইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সব শেষ গিয়েছিলাম। অবশ্য অন্য কাজে। আমার একটা ছোট কন্সট্রাকশান কাজ চলছিল KEPZএ। এক নজর কাজ দেখে মনের ভিতর আকুপাকু চলছিল কখন স্কুল কম্পাউন্ডে ঢুকব। সাথের লোকজন বুঝতে পেরে বলল, চলেন ভিতরে যাই। আমাদের কয়েক জনকে দেখে স্যাররা দেলয়ার ভাইকে পাঠালেন। দেলয়ার ভাই চ্যালেঞ্জ করলেন যদি এ স্কুলের হন আমাকে চিনেন কিনা বলেন। আমি বললাম, আপনি দেলয়ার ভাই? আমাকে না চিনলেও আব্বাকে চিনতে পারছিলেন। দোতলায় উঠার সময় চোখে কি যেন হল। সাথের লোকজন আমাকে স্পেস দেয়ার জন্য অন্যদিকে চলে গেল।


বাইরে এসে মনিরুজ্জামান বাবু/ ভুতের ডিম কে ফোন দিলাম। সেই মুন বেকারিতে কিছুক্ষন বসলাম। হঠাৎ আজিজ স্যারকে দেখে বাবু বলল, আজিজ স্যারের কথা মনে আছে? আমি বললাম, কসকি? স্যার আমাকে চিনতে পারলেন। দেখলাম স্যার আগের মতই হ্যাংলা/পাতলা আছেন। তবে শরীরের কিছু অংশ প্যারালাইজড মনে হল। হাত একটা অনবরত কাপছে। স্যারকে বললাম, স্যার অনেক অসুস্থ হয়ে গেছেন। স্যার বললেন, তোমরা দোয়া করলে আমি আবার সুস্থ হয়ে উঠব। পরে সফি ভাই নাকি ফেবুতে কারো স্ট্যাটাস থেকে জানলাম........।

ক্লাস টুতে একদিন....। ক্লাস টিচার আসেন নাই। যা হয়। হই চই। কিছুক্ষন পর রেগে মেগে আজিজ স্যার উপস্থিত। রোল নং এক কে? আসে নাই স্যার। রোল দুই? আসে নাই স্যার। রোল তিন? আসে নাই। রোল চার? সবার দৃষ্টি আমার দিকে। তারপর......। "নাম লিখা" ( ক্লাস কেপ্টেনদের প্রিয় কাজ) করি নাই বলে কান মলা নাকি বেতের বাড়ি মনে নাই।

ক্লাস থ্রিতে আমাদের শাখার ক্লাস কেপ্টেন হওয়ার সুবাদে আজিজ স্যারের বাড়ীর কাজ খাতা গুলো ক্লাস শেষে আমাকেই টিচারস রুমে দিয়ে আসতে হত। ঐ সময় প্রাথমিক ছুটির পর সাবাই নিচে নামলে মাধ্যমিকের ছাত্ররা উপরে উঠতে পারত। একদিন সিড়ীতে লতিফ তাড়াতাড়ি উঠতে গিয়ে ধাক্কা দিয়ে আমার হাত থেকে বাড়ীর কাজ খাতা গুলো ফেলে দিল। আর আমার হাত চলে গেল কোমরে। স্বপন ভাই খাতাগুলো গুছিয়ে উপরে ধরলেন। ধর। আমি আর কোমর থেকে হাত সরাতে পারছিলাম না, খাতাও নিতে পারছিলাম না। কেন সেটা বলা যাবে না...... লতিফ মনে হয় ভালই মাইর খাইছিল এ ঘটনায়।

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss