Monday, March 14, 2016

এভাবেই দিন বদলায়


এসএসসি ২০১৬ শেষ হয়ে এসেছে! কারও কোন খবর নাই!

কলোনীতে কারো এসএসসি পরীক্ষা মানেই অনেক বড় ঘটনা। কোন বিল্ডিং থেকে কারা পরীক্ষা দেবে?
পরের বছর কারা পরীক্ষা দেবে? কে অনেক পড়ে? কে কম পড়েও রেজাল্ট ভাল করে? এ নিয়ে চলত আলোচনা।
দিন গোনা শুরু হয়ে যেত টেস্ট পরীক্ষার পর থেকেই। এরপর স্কুলের বিদায়ের দিন ঘনিয়ে আসত। ক্লাস টেন এর উপর থাকত বিদায় অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব। ফটোকপির এত ছিল না যাদের হাতের লেখা সুন্দর তাদের দিয়ে মানপত্র লেখানো,শুভেচ্ছা বক্তব্য, স্মৃতি চারণ, কোন বিদায়ী ব্যাচ স্কুল কে কত ভাল উপহার দিতে পারে এ নিয়ে প্রতিযোগিতা চলত।

আর আমাদের ছোট দের কাছে ছিল তাড়াতাড়ি ছুটি আর জিলিপি খাওয়ার দিন।

এক্সাম শুরু হলে কে কিভাবে যাবে? প্রশ্ন সহজ না কঠিন, পরীক্ষা কেমন হয়েছে, এ নিয়ে বড় আপু ভাইয়া, চাচা চাচী, স্যার ম্যডাম রা খোঁজ খবর রাখতেন। কে কি লিখেছে? কার কোন এক্সাম ভাল হয়নি, কত কথা।
প্র‍্যাকটিকাল খাতা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি। কার আঁকা ভাল?


রেজাল্ট হবার পর মিষ্টি আসা শুরু হত উত্তীর্ণ আপু ভাইয়াদের বাসা থেকে। নতুন কলেজে ভর্তি হবে এ আনন্দে সবার মুখ উজ্জ্বল হয়ে থাকত! আমরা ছোটরা দিন গুনতাম কবে বড় হব!
আমার ভাই যেবার এসএসসি দেয় সেবার অনেক আনন্দ হয়ে ছিল। আব্বু খুব টেনশনে।কলোনির পোলাপাইন রে আমি ধমকাই,
আর আমার পোলা যদি রেজাল্ট ভাল না করে কি হবে!
আর আমার এস এস সি এক্সাম এর বছর কলোনী ছেড়ে চলে আসি।
আমার এস এস সি'র প্রথম পরীক্ষার দিন ভোর! আব্বু ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেনের পথে! তখন ও বাসায় এসে পৌঁছে নি, আর ভাইয়া কোন একটা কাজে হোস্টেল এ ছিল। আমি তখন একা কোথাও যেতাম না। সকালে ভাবছি কিভাবে এক্সাম দিতে যাব?

সকাল ৭/৭.৩০ টার দিকে হারুন চাচা(পুলক ভাইয়ের আব্বা) এসে বললেন "তুই কোন টেনশন করিস না তোকে কেউ না নিয়ে গেলে আমি নিয়ে যাব পরীক্ষা দিতে"! 

পরে অবশ্য আব্বুর সাথেই এক্সাম দিতে যাই।
আর এখন! কে পরীক্ষা দিল, কখন দিল খেয়াল করাই হয় না। পাশ করলেও কেউ মিষ্টি পাঠায় না। সবাই বলে আগে কলেজ এ চান্স পাই!

এভাবেই দিন বদলায়!

( ক'দিন ধরে দৌড়ের উপর আছি। নীরু ভাই ফোন দিয়ে বললেন অনেকদিন লিখছ না কেন? When Somebody Miss me, I feel Myself Alive. সবাই কে শুভেচ্ছা)

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss