Wednesday, April 20, 2016

আজ বেশ আয়োজন করে সবাই খেতে বসেছে


আজ বেশ আয়োজন করে সবাই খেতে বসেছে। রজকিনি সবাইকে বেড়ে খাওয়াচ্ছে। মাথায় ঘোমটা দেওয়া নানিজান ,গাল ভরা হাসি নিয়ে , সুখের দৃশ্যটি দেখছে। মেঝ মামা বড়ই চিন্তিত! মাছের মাথাটা পাবোতো?নানাজান তুমি বলে মাছ চাষ করতে? নানাজানের চোখে খুশির ঝিলিক খেলে গেলো। নানুভাই , আমার পুকুড়ে অনেক মাছ ছিলো। তবে ইলিশ মাছটা অনেক মজার ছিলো! তোর নানিজান বেশী করে পেয়াজ দিয়ে সেই ইলিশ আমাকে ভেজে খাওয়াতো। আহা কি সাদ ছিলো সেই মাছের! আব্বা আপনে এটা কি বললেন? পুকুরে আপনে ইলিশ মাছ কোথায় পেলেন!? আমার তো পরিস্কার মনে আছে, আপনের ভয়ে পুকুড়ে কোনোদিন , শান্তি মত একটা ডুবও দিতে পারিনাই! চরম বিরক্তি নিয়ে নানাজান মধুর বড় মামার দিকে তাকালো। এই হারামি , আমাদের নানা\নাতির কথার মাঝখানে তুই আসলি কেন? এখনি দাড়া, এখন উলটা ঘুর, এবার বল, সামনে এগিয়ে চলো! জী আব্বা! বুদ্ধিমতি রজকিনি এক মুহুর্ত দেরী না করে, মাছের মাথাটা খালামনির পাতে তুলে দিলো।

গভীর রাত। আজও নানাজান চুপচাপ বারান্দায় দাঁড়িয়ে। খুব কায়দা করে একটা বেনসন ধরালো। সুনতে পেল মধুর, মায়া ভরা কন্ঠের গান।

চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে
অন্তরে আজ দেখবো
যদি আলোক নাহিরে------------।

অস্পষ্ট শব্দে নানাজান যেন কাকে ডেকে যাচ্ছে--মা----গো। আজও আকাশে অনেক তারা।

No comments:

Post a Comment