মনে হয় একবার কিছুটা স্মৃতি চারন করেছিলাম। তাটপর ও আবার লিখলাম।
সন্ধ্যা হতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, রাত বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি বাড়তে লাগলো।টেলিভিশনে ১০ নাম্বার মহা বিবদ সংকেত ঘোষনা দেওয়া হচ্ছে কোনই কিছুই মনে করিনি,সবাই ভাবছে আগেতো এরকম দিয়েছে।
কিন্তু রাত একটা থেকে হঠাৎ আমাদে ই টাইপ ১২ নাম্বার বিল্ডিং এর সামনে কলোনীর দেয়াল টা পরে যায়,এবং দেয়ালের ঐ পাশ্বে খাল পার রোডে যে বস্তি ছিল তা কোথায় উড়িয়ে নিয়ে গেছে তা বলতে পারবো না।কিছু সময় পর মানুষ চিল্লা চিল্লি করতে লাগলো পানি পানি বলে,আমাদের নিচ তলার লোকমান মামা ও শাহাদত হুজুরদের বাসার সবাই আমাদের বাসায় এক কাপরে চলে আসে, কারন কিছু বোঝার আগেই পানি ২ তলার মাঝামাঝি সিড়িতে চলে আসে,কলোনীর দেয়ালের বাইরের অনেক পরিবার এসে উঠে,তখন সব মানুষ একক হয়ে গিয়েছে।বাচ্চাদের ঘুমাতে দিয়ে মা - চাচীরা পাশে বসে শুধু আল্লাহকে ডাকছিল।আমরা চিন্তা করছিলাম পানি আর বাড়লে কি করবো।আমি ও রোমান মামা আমাদের পিছনের দরজা খুলে ছাদে যাওয়ার পথ করা যায় কিনা দেখছিলাম।আমরা দুজনে মিলেও দরজা বন্ধ করতে কষ্ট হচ্ছিল,কারন বাতাসের গতি খুব বেশী ছিল।ভোরের দিকে বাতাস কমলে ও পানি কমেনি,নিচ তলার কেউ বাসায় যেতে পারছিল না।কারন বাসায় তখন কাদাঁ একাকার।আর লবন পানিতে সব কিছুই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
বাজারে গিয়ে দেখি সব জিনিস এর পচাঁ গন্ধ, কারন সব দোকানেরই জিনিস লবন পানিতে ডুবে গিয়েছিল।
আমার দুই বন্ধু (দুই জন ভাই)থাকত কটগর জেলে পারায়,ওদের নিজেস্ব বাড়ী,তো বন্ধু মুখে শুনলাম তার বাড়ির থেকে কিছু দূরে বাচ্চা পরে গেলে মা ঝাপ দেয়,তারপর বাবা সবাই আর ফিরতে পারেনি।
বদরুল ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা সী স্কাউট দল নারকেল তলাতে তুমান কায়সার দের বাড়ির ঐদিকে ২০/৩০ টি তাবু টানিয়ে দিয়ে আসি,কারন তখন প্রায় বাড়ির করু ন অবস্থা। তারা খুব খুশি হয়েছিল।
আমাদের কলোনীতে এক মাস কারেন্ট ছিল না।
আর এসব স্মৃতি মনে করলে চোখে জল চলে আসে। সবার মনে হয় একই কাহিনী।যারা নিচ তলাতে ছিল তাদের ঘর পরিস্কার করতে কয়েকদিন লেগেছে।আমরা যারা উপরে ছিলাম সাধ্যমত চেষ্টা করেছি তাদের পাশে দাড়ঁতে।
মনে হয় অনেক লিখে ফেললাম।
No comments:
Post a Comment