আমি তখন ক্লাস থ্রি বা ফোরে পড়ি, বাসায় বাসায় টেলিভিশন মানে বিরাট বিশাল বিলাসিতা, হাতে গোনা দুয়েকটি বাসায় হয়ত টিভি ছিলো। তখনো আমাদের বাসায় ওই বোকার বাক্স টিভি টা আসেনি। টিভি দেখা পড়ত আগ্রাবাদে আমার মামাদের বাসায় গেলে, টিভি চ্যানেল বলতে সেই সবেধন নীলমনি আদি অকৃ্ত্রিম বিটিভি। স্যাটেলাইট চ্যানেল কি জিনিস সেটা বুঝছি িআরো দশ বারো বছর পরে।।বুঝি আর না বুঝি আটটার সংবাদ (অনেকে রসিকতা করে বলত ঠাট্টার সংবাদ), অথবা নাটক, লোক সংগীত অথবা মাঝে মাঝে জীবন বীমার সে বুড়োবুড়ির এ্যাড, এমনকি রোজিনার ি"আহা মিষ্টি কিযে মিষ্টি" খ্যাত মায়া বড়ির এ্যাড দেখার জন্যও বসে থাকতাম (ইচড়ে পাকা ছিলাম নাকি নিতান্ত সাধারন কৌতুহলে দেখতাম সেটা নিয়ে এখনো কনফিউশনে আছি) । সেই আমলে একদিন টিভি ছাড়তেই দেখি এক টিঙটিঙে লোক হা্ত পা ছুড়ে গভীর আবেগে গান গাইছে- “আলাল ও দুলাল”।
আরেকদিন রাতে দেখছি গান গাচ্ছে “অভিমানী”। পাশে বসে মামাও দেখছিলো। গায়কের গানের প্রতিভা নিয়ে আমি কিঞ্চিত সন্দেহ প্রকাশ করতেই মামুজানের হুংকার, আমারে বলল চিনোস এই গায়করে, পপ সম্রাট উনি, দেখলাম মামা কিছুটা নষ্টালজিক হয়ে পড়েছেন পপ সম্রাট সাহেব কে নিয়ে। সেদিনই জানলাম উনার নাম নাম আজম খান। যার গান স্বাধীনতার পর লাখ লাখ যুবককে বিরাট নাড়াচাড়া দিয়ে গিয়েছিল। সেদিন প্রথম উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম গুরু আজম খান তার গান দিয়ে সব যুগেই সবাইকে নষ্টালজিক করে দিতে পারে।
গুরু তোমায় সালাম।
গুরু যেখানেই থাকো ভালো থেকো।
No comments:
Post a Comment