আই,পি,এল এর দুন্দুমার আতশবাজি নিভে গেছে। ফাইন্যাল ও স্নায়ুচাপি উত্তাপ শান্ত হবে ধীরে।
কারো কারো ভ্র-কুঞ্চিত সন্দেহ ,ক্রিকেটের টি-২০ ফরম্যেট এই আসরটির প্রতি।
হাজার হাজার কোট টাকার খেলা,শত শত জুয়ারীর হরেক পশরা। আরেক ডব্লিউ ডব্লিউ এফ এর নিঁখুত মঞ্চায়ন। খেলাটির পুরো আমেজটাই বদলে গেছে শুরুর সেদিন থেকেই। তাবৎ বিশ্ব ক্রিকেটে এর প্রভাব পড়েছে। কত ক্রিক-পিএল। হোই হোই কান্ড। আমার মনে হয় ক্রিকেটিয় সংস্কৃতিতে বিরাট ঝাঁকুনি। এর পক্ষে-বিপক্ষ মন্ত্যব্য করছি না। ভবিষ্যত দেখবে। তবে মনে হয় সেই দিনের চ্যানেল নাইনের মিঃ ক্যারি প্যকার্সের জারিজুরিকে ও ম্লান করেছে একালের ক্রি-পিএল।
ক্যারি প্যকার্স ইতিহাস হয়ে গেল।
দ্রুপদী টেষ্ট ক্রিকেটে কালে ভদ্রে ছক্কার দেখা মিলতো। উদাহরণ ভেঙ্গসরকারের পুরো কেরিয়ারে ছয়টি ছক্কা আছে কিনা খুঁজে বের করতে হবে,আর এক আসরেই হাজার ছক্কা ছুঁই ছুঁই,এক্কেবারে মুড়ি-মুরকী,পপকর্ণ কুচুর মুচুর।
একজনের হাজারের কাছাকাছি রান,বিশ-বাইশটা উইকেট,অবিশ্বাস্য সব কেচ,ষ্টাম্পিং,রানআউট আহা চোখ সরানো যায় না মাঠ বা টিভি পর্দা থেকে।
স্পীন বোলিং এ উইকেট টু উইকেট বোলিং,নট-মাচ্ ফ্লাইট,গুগলি,চায়নাম্যান,নুতন সংস্করণের কারিকুরি বেদী-কাদির-আন্ডারউড‘রা চোখ কছলে দেখে।
ভুবি-মুস্তাফিজদের ইয়র্কার,আরো ইয়র্কার ও স্লোয়ার কাটারের রহস্য-মায়াজাল দেখে আকরাম-লিলি-হ্যডলীর চক্কু চড়কগাছে।
কোলি-এবিডি-গেইল এর দানবীয় আগ্রাসী তান্ডব দেখে লারা-শচীন এবং ব্র্যাডম্যানরা (থাকলে) ভাবতো হয়তো আবার মাঠে নামি,নুতন করে ক্রিক-পিএল ব্যাকরণ লিখি।
পুরো আজ বা অনতি ভবিষ্যতের ক্রেজ্।
চার ছক্কা হোই হোই বল গড়াইয়া গেল কই?
-----------------------------_-
অনুলিখন
No comments:
Post a Comment