আমাদের ৯৭ ব্যাচের আলী আক্কাস স্বপন, কলোনীর কয়েকজন বিরল প্রজাতির বান্দরের মধ্যে একজন। মসজিদে গেলেও আমাদের বাঁদরামির শেষ থাকতো না, জুম্মার নামাজ পড়তে গেলে সবার আগে খুঁজে বের করতাম আমাদের গুলো কোথায় বসে আছে ? এরপর একসাথে হয়ে সেখানেও বাঁদরামি, জামা টানাটানি, পাঞ্জাবি গীট্টু দিয়ে দেওয়া, কে ঘুমে ঝুরছে তাকে নিয়ে হাসা হাসি ইত্যাদি ইত্যাদি !
একদিন সম্ভবত এশার নামাজের সময়, নামাজ শুরু হয়ে গেছে, সবগুলো দৌড় দিয়ে নামাজের কাতারে হাসা-হাসি করতে করতে হুড়-মুড় করে দাঁড়ালাম, আক্কাস দাঁড়িয়ে দেখে তার পাশে ছানার আব্বা ( আঙ্কেলের নাম মনে নেই এখন ) নামাজের নিয়ত বাঁধা অবস্থায় আছেন, তবুও আক্কাস আঙ্কেলের দিকে তাকিয়ে আদবের সাথে দাঁত কেলিয়ে বলল, “ আঙ্কেল আসসালামুয়ালাইকুম !!! “ আঙ্কেল নামাজের নিয়ত বাঁধা অবস্থায় আক্কাসের দিকে তাকিয়ে বললেন “ ওয়ালাইকুম-আসসালাম !!! “ আবার নামাজের দিকে মনোযোগ দিলেন।

এই ঘটনা দেখে নামাজ কি আর হয় !!! আমরা হাসি বন্ধ করতে না পেরে মসজিদ থেকে বের হয়ে ইচ্ছা মত হেসে নিলাম, হা হা হা
নামাজের মধ্যে থাকা অবস্থায় সালামের আদান প্রদান আমার জীবনে দেখা এইটাই প্রথম আর শেষ অভিজ্ঞতা !!!
No comments:
Post a Comment