আমরা তখন ডি টাইপে থাকি, আমাদের পিছনের বিল্ডিং এ রিনিদের বাসা, ওদের আম গাছে অনেক আম ধরেছে, তখন ৮৮ সাল রোজার মাস, তারাবির টাইমে অপারেশন শুরু, আমি, দুলি, মনিরুল, আরো কয়েকজন আম পাড়ছি এমন সময় রিনি দের বাসা থেকে আম চোর আম চোর বলে চিৎকার, আমি আর দুলি আর দেরি না করে ওদের বাসার দরজার বাইরের দিকের ছিটকারি লাগিয়ে দিলাম যাতে ঘর থেকে কেউ বের না হতে পারে। তারপর মনের সাধ মিটিয়ে আম চুরি করলাম। বাসার ভিতর থেকে চিৎকার করছে, তাতে কি কেউ তো আর বের হতে পারবেনা। পরে পুকুরপাড় বসে আম খেলাম, যা খেলাম তার চেয়ে বেশি নস্ট করলাম। বাসায় যাওয়ার সাথে সাথে বাপ কতৃক ঝাড়ু পেটা। আজো বুঝলাম না এতো তাড়াতাড়ি বাসায় কমপ্লেইন্ গেলো কিভাবে। পরদিন এর প্রতিবাদে দুলি কে সাথে নিয়া রিনিদের বাসার সামনে টাইম বোমা ফাটাতে গেছি ( বোমার সাথে আগর বাতি লাগিয়ে আগরবাতি তে আগুন জালিয়ে দিলে ৫/৭ মিনিট পর বোম ফাটে, এটাকে আমরা টাইম বোমা বলতাম) বোম ফিট করে একটু দূরে যেতেই কে জানি বলল রিনির দাদি বা দাদা খুবি অসুস্থ, একথা শুনার সাথে সাথে আমরা বোমার আগুন নিভিয়ে ফেললাম।
এতে কি প্রমাণ হোল, আমরা আম চোর হলেও মানুষ ভালো।
৯৩ সাল, আমাদের পাশের বিল্ডিং এ করিম চাচা দের বাসা ( সি ২) করিম চাচাদের একটা পেঁপে গাছে তিন চারটা পেঁপে পেকে আছে, কেঊ খাচ্ছেনা। আর কি করা, আমরা কয়েক বন্ধুই সাবাড় করলাম, পরদিন সন্ধায়ই করিম চাচি আমাদের বাসায় এসে আম্মার সাথে গল্প করছেন ফাকে পেঁপে চুরির কাহিনী ও বললেন তবে উনি কারো নাম প্রকাশ করেন নাই। আম্মা যা বুঝার বুঝে ফেললেন। তখন HSC পাশ করে ফেলেছি মারধোর করে নাই খালি বাক্য বানে বিদ্ধ করেছিলো।
এবার ইমোশন এ আসি। এ কাহিনী যারা বুঝবেন তারা ক্ষমা সুন্দর ভাবে পড়বেন, আর কেউ না বুঝলে আরো ভালো।
ইমোশনাল হওয়ার ইচ্ছায় আমি বদরুল আর টুটুল আমাদের ছাদে (সি ৭) সব সরঞ্জাম সহ বসেছি। এরই মাঝে গল্প করছি, কিছু ক্ষন পর দেখি চানাচুর এ পিপড়া ধরছে,এখন কি করা, বদরুল ছিলো দশ'ন এর ছাত্র, সে দাশ'নিকের ভংগিমায় বলল আমরা যখন ইমোশোন খেতে পারছি তাহলে পিপড়া খেতে সমস্যা কি, এই বলে সে মুঠ করে পিপড়া সহ চানাচুর খেয়ে ফেলল, তার দেখাদেখি আমি আর টুটুল ও খেলাম। খেতে কিনতু খারাপপ লাগেনি, কারন ওই সময় একটু ইমোশোনাল ধরে ফেলেছে।
আবারো আম চুরি পেঁপে চুরি করতে মনে হয় যেন কলোনিতে ফিরে যাই, বলতে সংকোচ লাগে তারপরো ইচ্ছে করে, কলোনিতে গিয়ে একটু ইমোশনাল হই।
No comments:
Post a Comment