(লেখালেখি বলেন আর পাকামি বলেন যা করছি সেটা ক্লাস নাইন থেকে শুরু হয়েছে। শেষ হয়েছে ২০১৪ এর শুরুর দিকে। বেশিরভাগ লেখাই হারিয়ে গেছে। অল্প কিছু সফট কপি ছিল সেগুলোই আপনাদের জোর করে গেলাচ্ছি। সবার কাব্য চর্চা দেখে আমি খুব উৎসাহিত হয়েছিলাম। এরপর দিলাম গল্প, আপনারা অকুন্ঠ প্রশংসা করলেন যার যোগ্য আসলে আমি নই। আশা করেছিলাম সবাই গল্প লেখা শুরু করবেন। যাই হোক, আরেকটা গল্প খুঁজে পেয়েছি। এটাই হয়ত শেষ। আর কোন কপি পাচ্ছি না। এই গল্পে হুমায়ুন আহমেদের ছায়া খুঁজে পেতে পারেন হয়ত। এতো বড় একজন লেখকের প্রভাব ছোট গল্পকারদের উপর পড়বেনা এটা ভাবা অবান্তর। আপনাদের লেখা গল্প পড়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষায় রইলাম। )
কেমন করে কাটে আমার এমন বাদল বেলা
---------------------------------------------
১।
হাসান অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছে জামালখান রোডের কলেজটার সামনে। সকালে হোটেলে তেহারি খেয়েছিল। এখন গা গুলাচ্ছে। তেহারি খাওয়াটা বিরাট বোকামি হয়েছে মনে হচ্ছে। কলেজে এখন থার্ড পিরিয়ড চলছে। এই পিরিয়ড শেষ হলে সুমির আজ আর কোন ক্লাস নেই। পিরিয়ড শেষের ঘণ্টা পড়লেই সুমি হাতে ব্যাগ ঝুলিয়ে মাথা নিচু করে ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে আসবে। হাসান যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখান থেকে তিন তলার কোণার ক্লাসরুমটা দেখা যায়। হাসান মাঝে মাঝে এখানে এসে দাঁড়ায়।
সুমি তিন মাস আগে হাসানের বাসা ছেড়ে চলে এসেছে। চলে আসার আগে হাসানকে সুন্দরভাবে বুঝিয়েছে কেন আর তাদের একসাথে থাকা চলেনা। হাসান একনিষ্ঠ শ্রোতা হয়ে শুনেছে। সুমির মতে তাদের বিয়েটা একটা ভুল বিয়ে ছিল তাই টিকছে না। জোড়াতালি দিয়ে হয়তো টিকিয়ে রাখা যায় তবে জোড়াতালিটা কোন সুন্দর সমাধান না। সুমি বাংলা সাহিত্যর শিক্ষক। কথাও বলে খুব গুছিয়ে। ব্যাগ গোছানোই ছিল, কথা শেষ করে সুমি চলে গেলো। হাসান কিছুক্ষণ ওভাবেই বসে ছিল। এরপর তাড়াহুড়া করে অফিসে চলে গেলো। ওদের অফিসে ঝামেলা চলছে এই সময়ে অফিস ফাঁকি দেয়া যায়না। সেদিন অফিসে যেতে হাসানের অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। সেকশন ইনচার্জ সামসুদ্দিন সাহেব কিছু কড়া কথা শুনিয়েছিল অফিস সময় সম্পর্কে।
২।
থার্ড পিরিয়ডের ক্লাস শেষ করে বেরিয়েই সুমি দেখল কলেজের সামনের পান বিড়ির দোকানে হাসান দাঁড়িয়ে আছে। প্রচণ্ড বিরক্ত হল সুমি। আজো নিশ্চয় কোন একটা অজুহাত ধরে এখানে এসেছে। গত সপ্তাহে এসেছিল দুটো কবিতার বই নিয়ে। সুমি নাকি বই দুটা নিয়ে যেতে ভুলে গেছে তাই দিতে এসেছে। এমন আহামরি কোন বই না। সুমির পরিচিত একজন উঠতি কবির কবিতার বই। তবে সুমি কবিতা ভালোবাসে। ওর প্রিয় কবি জীবনানন্দ দাশ। বাঙ্গালী কবি হয়ে জীবনানন্দ কেন বর্ষা নিয়ে কবিতা লিখলনা এটা তার কাছে রহস্যময় মনে হয়। অথচ জীবনানন্দের প্রথম প্রকাশিত কবিতাই বর্ষা নিয়ে। বর্ষা আবাহন।
নিচে নামতেই পিওন নওয়াব বলল হাসান সাব আইছে। আপনেরে খুঁজে। দেখা করবেনা ভেবেও হাসানকে ভিতরে আসতে বলল। হাসি হাসি মুখে হাসান এলো। একটু মনে হয় রোগা হয়ে গেছে। গম্ভীর মুখে সুমি জিজ্ঞেস করল- কেমন আছ?
ভাল। তুমি কেমন আছ সুমি?
ভাল আছি। হঠাৎ এখানে যে, কি ব্যাপার?
এমনি এলাম। অফিস যাইনি তো তাই ভাবলাম দেখা করে যাই।
অফিস যাওনি কেন? শরীর ভাল আছে?
আজ অফিস যেতে ইচ্ছা করল না।
ওহ। দেখ হাসান তুমি ভাল মানুষ। তুমি যে ভাল মানুষ এটা আমার চেয়ে বেশি কেঊ জানেনা। আমিও ভাল মেয়ে। কিন্তু আমাদের প্রকৃতি ভিন্ন। যে কারনে আমাদের সম্পর্কটা টেকেনি। ভাল হয় যদি আমরা দুজনই ব্যাপারটা মেনে নিতে পারি। তুমি যে দিনের পর দিন এখানে আসো এটা আমার ভাল লাগেনা।
হাসান আরো কিছুক্ষণ বসে থেকে উঠে চলে গেলো। সুমির কেমন যেন কান্না পেতে লাগলো।
৩।
হাসান বসে আছে এডমিন ম্যানেজার এর রুমে। ম্যানেজার লিয়াকত সাহেব রাশভারী মানুষ তবে কোন এক বিচিত্র কারনে হাসানকে পছন্দ করেন। মাঝে মাঝে ডেকে গল্প গুজব করেন। আজ সকালেও হঠাৎ হাসানকে ডেকে পাঠিয়েছেন। লিয়াকত সাহেব মনোযোগ দিয়ে কি যেন লিখছেন। হাসান চুপচাপ বসে আছে। তাকে ডেকে পাঠানোর কারণটা বুঝতে পারছেনা হাসান। একটু ভীতিও অনুভব করছে সে। অফিসে ছাঁটাই চলছে। একেকদিন একেকজন ছাঁটাই হয়ে যাচ্ছে। হাসান ভাসা ভাসা শুনেছে ছাঁটাই এর তালিকায় তার নাম নেই। লিয়াকত সাহেবের লেখা শেষ হয়েছে। নড়েচড়ে বসে হাসানের দিকে তাকালেন তিনি-
কেমন আছ হাসান?
জ্বি স্যার ভাল।
সুমি কেমন আছে? এখনো রাগ করে বসে আছে?
সুমি ভাল আছে স্যার। ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে সাউথ এশিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোগ্রামে কি যেন একটা সুযোগ পেয়েছে। ডিসেম্বরে কোর্স শুরু হবে।
বাহ। ভাল তো। তুমিও চলে যাও ওর সাথে। টোনাটুনির সংসার। এদেশে থেকে কি করবে।
হাসান একটু হাসল। লিয়াকত সাহেব কথা বলতে বলতে জানালার কাছে চলে গিয়েছিলেন। যখন ঘুরে তাকালেন তার মুখে যেন একটু গাম্ভীর্য ভর করল। হেঁটে এসে নিজের আসনে বসলেন। হাসানের দিকে না তাকিয়েই কথা বলা শুরু করলেন।
হাসান, তুমি তো জান আমাদের কম্পানি ফিনান্সিয়াল ক্রাইসিসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। লোক ছাঁটাই হচ্ছে। আরও হবে। এই অপ্রিয় দায়িত্বটা পালন করতে হচ্ছে আমাকে। তুমি হয়তো জানো তোমাকে আমি পছন্দ করি। তারপরও তোমার ছাঁটাইটা আমি ঠেকিয়ে রাখতে পারিনি। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তুমি ভেঙ্গে পড়োনা তোমার কোন একটা ব্যবস্থা আমি করে দেব।
হাসান কেমন যেন অবসাদ বোধ করতে লাগলো। লিয়াকত সাহেব খানিকটা ইতস্তত করে বললেন এসব ব্যাপার সুমিকে জানানোর প্রয়োজন নেই। পুরুষ মানুষের সব কিছু ঘরের মেয়েদের জানাতে হয়না।
৪।
সুমি কলেজ থেকে এক মাসের ছুটি নিয়েছে। ইংল্যান্ড যাওয়ার কাগজপত্র ঠিকঠাক করতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে বারবার ঢাকার ব্রিটিশ এম্বাসিতে দৌড়ঝাঁপ করা ঝামেলা হয়ে যায় বলে এক মাসের ছুটি নিয়ে ঢাকায় ওর খালার বাসায় গিয়ে উঠেছে। সুমির এই খালাটা সহজ সরল ধরনের। সুমি একাএকা বিদেশে পড়তে যাবে খালা এটা মানতেই পারছেনা। কয়েকবারই বলেছে জামাই নিয়ে যা, সমস্যা কি? সুমি হেসেছে। কিছু বলেনি। ব্রিটিশ দূতাবাসের ভদ্রলোকও একই কথা বলেছে। ভাঙ্গা বাংলায় বলেছে ব্রিটিশ সরকার তো আপনাকে ঊইদ স্পাউস এলাঊ করেছে, আপনি একা যাচ্ছেন কেন? সুমি ইংরেজিতেই বলেছে আমরা একসাথে থাকিনা। ভদ্রলোক আর কথা বাড়াননি। চেনা অচেনা অনেকের কাছ থেকেই এ ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে ইদানিং। সুমির খালু সরকারি খাদ্য বিভাগের উঁচু কর্মকর্তা। সুমির বিয়েটা একপ্রকার এই খালুর আগ্রহেই হয়েছে। তিনি একদিন সুমিকে ডাকলেন। কিছুটা ভূমিকা দিয়ে কথা শুরু করলেন। দেখ সুমি তুমি যথেষ্টই বড় এখন। নিজের ভালটা নিজেই বুঝার কথা। তোমাকে কোন উপদেশ দেয়ার জন্য ডাকিনি। তোমার বিয়ে আমার হাত ধরেই হয়েছিলো তাই খানিকটা দায়বদ্ধতা আছে আমার। হাসানকে আমি অনেকদিন ধরেই চিনি। যাই হোক, চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে নিজের বিচার বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ো।
সুমি যে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবেনা তা না। হাসানকে সে যথেষ্টই পছন্দ করে। হাসানের মধ্যে কোন ভান নেই। কোন কিছু নিয়ে আগ্রহ নেই অভিযোগও নেই। এটা একধরনের মানসিক অত্যাচার মনে হচ্ছিল তার কাছে। তবে হাসানের এক ধরনের মুগ্ধতা আছে সুমির প্রতি। এটা সুমি অনুভব করতে পারে। সে আর এসব ভাবতে চায় না। কষ্ট হয়। "কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!"
৫।
নতুন জীবনে এখনো অভ্যস্ত হতে পারেনি হাসান। সকালে ঘুম থেকে উঠেই অফিসে যাওয়ার তাড়া অনুভব করে সে। বেশ অনেকদিনতো হল তার চাকরি নেই। ঘুম থেকে উঠার পর কিছুক্ষণ দিশেহারা হয়ে থাকে এরপর ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে। উদভ্রান্তের মতো ঘুরতে থাকে শহরের রাস্তায়। একপর্যায়ে আবিস্কার করে সে তার অফিসের আশেপাশেই ঘুরাঘুরি করছে। মানুষ আসলে একটা সময়ে কোন একটা বিন্দুতে আসক্ত হয়ে যায়। মানুষের সকাল দুপুর সন্ধ্যাগুলো ওই বিন্দুকে কেন্দ্র করেই ঘুরপাক খেতে থাকে। যে লোক রিকশা চালায় তার জীবনটা তার রিকশার গ্যারেজকে ঘিরেই রচিত হয়ে যায়। চাকরিজীবী মানুষের কেন্দ্র হয় তার অফিস।
সুমি নিষেধ করার পর হাসান আর সুমির কলেজে যায়নি। তাছাড়া সুমি অনেকদিন ঢাকায় ছিল তাই ওর সাথে আর দেখাও হয়নি। হাসান শুনেছে সুমির ভিসা হয়ে গেছে। হাসানের খুব ইচ্ছা বিমানের টিকিটটা সে কিনে দেয় আর সুমির হাতে কিছু টাকা দিয়ে দিবে। ভিনদেশে গিয়ে প্রথম প্রথম কিছু খরচের ব্যাপার তো থাকেই। ব্যাংকে কিছু টাকা জমানো আছে তার তাছাড়া প্রভিডেন্ট ফান্ডের কিছু টাকাও সে পাবে। কোন সমস্যা হবেনা। কিন্তু সুমিকে এ ব্যাপারে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেনা সে। লিয়াকত সাহেব একদিন ফোন করেছিলেন। সান্ত্বনার কথা বললেন অনেক। আর বললেন তিনি হাসানের জন্য চেষ্টা করছেন।
৬।
ঢাকাতে সুমির যত আত্মীয় স্বজন ছিল সবাই এসেছে। ডিভোর্স হয়ে যাচ্ছে এমন একটা বিবাহিত মেয়ে একা বিলেতে পড়তে যাচ্ছে এটা মোটামুটি মুখরোচক ব্যাপার। পরবর্তী ঘরোয়া আলোচনাগুলোতে এই ব্যাপারটার অনুপুঙ্খ বর্ণনায় কেঊ পিছিয়ে থাকতে চায়না। ঘটনা আরো বর্ণিল হয়ে উঠল যখন দেখা গেলো মেয়েটার জামাইও চট্টগ্রাম থেকে চলে এসেছে।
আত্মীয় স্বজনের ভিড় দেখে সুমি বিব্রত আর বিরক্ত। তবু সে হাসিমুখে কথা বলে যাচ্ছে সবার সাথে। জেসমিন খালা হঠাৎ এসে সুমিকে ফিসফিস করে বলল হাসান আসছে। দেখা হইছে তোর সাথে? সুমি চমকে উঠল। হাসান আসবে এটা ভাবতে পারেনি সে। হাসান তাকে বিমান ভাড়া আর খরচের জন্য টাকা দিতে চেয়েছিল সে নেয়নি। হাসানের চাকরি হারানোর কথা সে শুনেছে। হাসান যদিও তাকে বলেনি। সুমি এদিক ওদিক তাকিয়ে হাসানকে খুজতে লাগলো। দেখল রেস্টুরেন্টের লনে একটা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে সে। সুমি এগিয়ে গেলো।
কেমন আছ? এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন?
এমনি। ভিতরে তোমার রিলেটিভরা আছে।
সুমি তীক্ষ্ণ স্মরে বলল এখনো তুমি আমার হাজব্যান্ড। ওদের সবার চেয়ে তোমার গুরুত্ব বেশি এখানে। নিজেকে এভাবে গুটিয়ে রাখো কেন সবসময়? চলো ভেতরে চলো।
না থাক। এখনেই ভাল লাগছে। তুমি বরং ওদেরকে সঙ্গ দাও। আমি কিছুক্ষণ পর চলে যাব।
সুমির চোখ ঝাপসা হয়ে এলো। চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা হল আমি কোথাও যাবনা। এখানেই থাকব এই মানুষটার সাথে। নিজেকে সামলে নিলো সে।
হাসান কথা খুঁজে না পেয়ে বলল ওখানে নাকি বৃষ্টি হয় প্রতিদিন। সাবধানে থেকো। বৃষ্টিতে ভিজলেই তো তোমার টনসিলের ব্যথা হয়। হাসানের কথা শুনে সুমি হেসে ফেলল। হাসানও হাসল। হাসতে হাসতেই বিড়বিড় করে আওড়াল-
যাবেই যদি দেরি আর কেন,
বিদায় বেলায় কষ্ট বাড়ানো।
চলেই যেতে হবে যখন তবে চলে যাও
তোমার জন্য শুভকামনা।
যদি কষ্ট লাগে শুধু কান্না পায়
অশ্রু এসে দুচোখ ভিজে যায়
লেখার কাগজ টেনে নিয়ে ছোট্ট একটা চিঠি
পাঠিয়ে দিও পুরনো ঠিকানায়।
সুমি চমকে তাকাল হাসানের দিকে। এটা সুমির এক বন্ধুর লেখা কবিতা। সে মাঝে মাঝে গুনগুন করে বলত। হাসান এটা মুখস্ত করে রেখেছে ভাবতে পারেনি সে।
হাসান চলে যাবার পরও সুমি বিষণ্ণ হয়ে রইল সারাটা সময়।
সন্ধ্যা সাতটায় ব্রিটিশ এয়ারলাইন্সের বিশাল বিমানটা সুমিকে নিয়ে ঢাকার মাটি ছাড়ল।
পরিশিষ্ট-
এপ্রিল মাসের এক সকালে হাসান জ্বরে কাতর। দরজায় নক শুনে দরজা খুলে দেখে ডিএইচএল এর এক ডেলিভারি ম্যান দাঁড়িয়ে আছে। হাসানের হাতে একটা প্যাকেট দিয়ে লোকটা চলে গেলো। খামের উপর সুমির নাম দেখে প্যাকেটটা খুলল সে। একটা বই। রবার্ট ফ্রস্টের 'স্টপিং বাই উডস অন আ স্নোয়ি ইভিনিং'। পেঙ্গুইন এর সুন্দর বাঁধাই। সাথে একটা ছোট চিঠি--
"তুমি যদি দেখা না দাও কর আমায় হেলা,
কেমন করে কাটে আমার এমন বাদল বেলা।।
এখানে প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। সাথে আমার গলার ব্যথা। আগামী মাসের ১৫ তারিখ আমি দেশে ফিরছি। একেবারেই ফিরছি। তোমার দায়িত্ব হচ্ছে এয়ারপোর্ট থেকে আমাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া। আরেকটা দায়িত্ব হচ্ছে মার্ক এন্ড স্পেন্সার ব্রান্ডের চা খুঁজে বের করা। গলা ব্যথা কমাতে চা খাওয়া ধরেছিলাম এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। চা আমি এখান থেকেই নিয়ে যেতে পারি কিন্তু তোমাকে খুব জ্বালাতে ইচ্ছে করছে আমার।"
(২৮/০৬/২০১৩)
No comments:
Post a Comment