পকেটে কিছু টাকা জমা হয়েছে, সারাদিন ভাবছিলাম, কি করা যায় ? তার উপরে পকেট গরম থাকলে শান্তিতে থাকার পাবলিক আমি কখনো’ই ছিলাম না। নতুন কোন গানের ক্যাসেটও বের হয় নাই !!! মাথায় ভুত উঠলো সিনেমা দেখতে যাবো !!!!, কিন্তু কখনো একা যাই নাই আমি সিনেমা হলে। একা যাওয়া কি ঠিক হবে ? সাধারনত দল বেধে যেতাম আমরা সিনেমা দেখতে।
যাই হোক টাকা পয়সা হিসাব করে সিনেমা দেখার জন্য বাসে উঠে পড়লাম, উপহার সিনেমা হলে রুবেলের একটা সিনেমা চলছিলো, তখন ফাইটিং সিনেমার জন্য রুবেল মোটামুটি বিখ্যাত ছিলো বলা যায়। অনেক ভিড়, টিকেট কাটার জন্য লাইনে দাড়ালাম, হটাত দেখি মুকুল ভাই ( ভাই ভাই ষ্টোর ) টিকেটের লাইনে দাঁড়ানো !!!
যাই হোক টাকা পয়সা হিসাব করে সিনেমা দেখার জন্য বাসে উঠে পড়লাম, উপহার সিনেমা হলে রুবেলের একটা সিনেমা চলছিলো, তখন ফাইটিং সিনেমার জন্য রুবেল মোটামুটি বিখ্যাত ছিলো বলা যায়। অনেক ভিড়, টিকেট কাটার জন্য লাইনে দাড়ালাম, হটাত দেখি মুকুল ভাই ( ভাই ভাই ষ্টোর ) টিকেটের লাইনে দাঁড়ানো !!!
মনে মনে বললাম, “ শালার ভেজাল আমাকে ছাড়ে না !!! “ মুকুল ভাইকে দেখে, আমি লাইন থেকে সরে পড়লাম, এমনিতেই অনেক ভীড় লাইনে টিকেট পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ, তাই লাইন থেকে সরে গিয়ে ১০ টাকা বেশি দিয়ে ব্ল্যাকে টিকেট কাটলাম, এরপর হলের বাহিরে চায়ের দোকানে এসে টাইম পাস করতে লাগলাম। উদ্দ্যেশ্য হলো একা একা এসেছি, শুধু শুধু মুকুল ভাইয়ের সামনে পড়ে কাজ নাই, আব্বা দোকানে গেলে মুকুল ভাই বাইচান্স যদি আব্বাকে বলে দেয়, তাহলে আমার অবস্থা কেরোসিন । সবাই যখন হলে ঢুকে যাবে এর ৮/১০ মিনিট পর আমি ঢুকবো।
আমি পাহারা দিতে লাগলাম, একে একে সবাই হলে ঢুকে গেলো, এর পর আমি ঢুকলাম। ওরে সাংঘাতিক !! কোথায় ঢুকলাম !!! চোখে কিছু দেখা যাচ্ছে না, ঘুটঘুটে অন্ধকার !!! বেছে বেছে হলের এক কোনার একটা সিটে গিয়ে বসতেই টের পেলাম, সিটের হেলান দেওয়া যায়গাটাতে ফোম নেই, পিঠে পেরেকের গুতো লাগছে। ঠিক তখনি পিছিনের সিট থেকে আওয়াজ !!!!!!!,
“ ভাই এই সেয়্যারে বইসেন না, এই সেয়্যারে পেরাক, আমার জামা স্যিরে গেসে !!!”
আমি কন্ঠ শুনেই বুঝে গেছি এইটা মুকুল ভাই, হা হা হা
পিছনে তাকিয়ে আর কনফার্ম হওয়ার দরকার নেই, পিছনে না তাকিয়েই সোজা চলে গেলাম হলের অন্য আরেক কোনায়, আর মনে মনে বলতে লাগলাম, শালা যার ভয়ে এত কিছু করলাম, ঘুরে ফিরে তার সামনেই গিয়ে বসলাম !!!! হিছা মার ফাডা কপালে !!!

No comments:
Post a Comment