আজ বিকেলে DMC তে যাওয়ার জন্য রেডী হচ্ছি অমনি আদৃতা আর আজানের (আমার পোলাপাইন) মা, তারিককে দেখতে যাওয়ার জন্য সাথে যেতে চাইলো। নিয়ে গেলাম সাথে করে। ওখানে আগে থেকেই রেজা ভাই, রফিক ভাই, মনির ভাই আর নমি ছিল, খালেদ ভাইতো সবসময়ই আছে। নমি ছেলেটাকে এই প্রথম দেখলাম। ভিশন স্মার্ট আর ভদ্র। চোখে চশমা পড়ে। কিছুক্ষন পর এলো স্টীভ জব এর আপেলের বোন শাহিদা। ওকে আগেই আপেল নাসেরদের ইফতারে দেখেছিলাম। এর মধ্যে তারেকের ব্যাপারে রেজা ভাইয়ের সাথে অনেক কথা হলো। তারেক কয়েকবার বমি করলো, খুব অসুস্থবোধ করছে।
শোয়া থেকে উঠে বসার মতো শক্তিটুকু পাচ্ছে না। ডাক্তারের আশ্বাস ইনশাল্লাহ দুই মাসের মধ্যেই তারেক হাটতে পারবে। আমাদেরও এটাই চাওয়া। ততক্ষনে আদৃতা - আজান বাসায় ফেরার জন্য অস্থির হয়ে উঠছে। কিছু পরেই দরজা ঢেলে ভিতরে ডুকলো সিমকা আর তবারক। ওদেরকে দেখছি প্রায় ১৭/১৮ বছর পর যদিও কালই সিমকার সাথে প্রথম কথা হয়েছিল। পোলাপাইনের অস্থিরতার কাছে হার মেনে সবার কাছে বিদায় নিব অমনি ঢুকলো আমার আরেক ন্যাংটো বন্ধু সাজু আর মিলটনের ভাই (ভাইয়াকেও অনেক বছর পর দেখলাম)। সাজুকে দেখলাম দীর্ঘ ১৫/১৬ বছর পর।
বুকের ব্যাথার চিকিৎসার জন্যই ঢাকা আসা। যদিও আরো কিছু সময় থাকার ভিশন ইচ্ছে ছিল কিন্তু সময়ের অভাবে ওর সাথে সামান্য কিছুক্ষন কথা হলো। ভীশন ভাল্লাগলো দেখে। তারপর বের হওয়ার সময় এলো কাজী কিন্তু ততক্ষনে পোলাপাইন বাসায় ফেরার জন্য অস্থির। কি আর করার, সবার কাছ থেকে বাধ্য হয়েই বিদায় নিলাম। আর কিছু সময় থাকলে বড়াপা, আপেল, নাসেরসহ সবার সাথে আড্ডা দেওয়া যেত।
FB বোধহয় দিনকে দিন আমাদের আবেগ, ভালবাসা, হৃদয়ের টান গুলাকে ক্রমান্বয়ে নষ্ট করে ফেলছে, FB এর কল্যাণে প্রতিদিনই সবার সাথে কমিউনিকেট হচ্ছে তাই এতো বছর পর পুরনো মানুষগুলোকে নতুন করে দেখার পরও মনটা তেমন উথাল পাতাল করেনা, তেমনটা অবাক হইনা। আগের দিনগুলোই বোধহয় ভাল ছিল, অনেক ভাল। কিংবা হয়তো এখনই ভাল আছি।।।।
No comments:
Post a Comment