পপুলার ডায়গনেষ্টিক সেন্টারে ৬৬০ নাম্বার কেবিনে ষ্টিল
মিল কলোনি জন্মেছে , সকালেই রাসেল এস এম এস করে জানালো । ভার্চুয়ালি দেখতে
গেলাম তারেক ভাইয়া কে। উনি আমাকে দেখেই হেসে দিলেন । আমি হাসির পাত্র হয়ে
যাচ্ছি সবাই আমারে দেখলেই হাসে কেন বুঝতে পারছি না
তারেক ভাইয়ার কাছে যেতেই জইন্না এসে বিকট চিৎকার করে উঠলো। নমি
ভাইইইইইইইইইইইইইইইই। আরে ভাই রোগি তো আমি না , আমারে চিৎকার করে ডাকার কি
হলো ?
আরে তারেক ভাই সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করেছে ষ্টিলাররা বেশি দিন অসুস্থ থাকতে পারে না। জসিম ভাই আসলো ? উনি এসেই শুরু করলো কিরে জইন্যা মরবি কবে ?
আরে তারেক ভাই সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করেছে ষ্টিলাররা বেশি দিন অসুস্থ থাকতে পারে না। জসিম ভাই আসলো ? উনি এসেই শুরু করলো কিরে জইন্যা মরবি কবে ?
কেন ভাই এত তাড়াতাড়ি মরার কথা কেন?
আরে হারামজাদা বিয়ে করলে ছেলেরা জীবিত থাকে না বলেই জিজ্ঞেস করলাম মরবি কবে ?
জইন্যা জাবেদ ভাই এর দিকে দেখিয়ে দিলো উনি মরলে আমরা একে একে মরতে শুরু করবো
বিয়ে করে জঞ্জাল আনার কোন মানেই হয় না । একলা আছি ভালো আছি বলে লেকচার শুরু করে দিলো। রেজা ভাই ঢুকেই কিরে এত জোরে কথা বলছিস কেন ? এইটা হসপিটাল জাবেদ । এই জন্যই স্পিকার বিরোধি দল রে ফ্লোর দেয় না যত কম কথা বলবে তত শান্তি কি নিয়ে কথা হচ্ছিল ?
বিয়ে নিয়ে রেজা ভাই ।
শুন বিয়ের পর কানে হেড ফোন লাগিয়ে রাখবি তাহলে আর আজাইড়া প্যাচাল শুনতে হবেনা।
মেয়েদের কমন কিছু ডায়লোগ আছে আমি জানিয়ে দিচ্ছি
" কি পেলাম তোমার সংসারে এসে, এই আমি। হ্যা হ্যা আমি বলেই এই সংসার করছি আর কেউ হলে কবে ঝাটা মেরে চলে যেতো" কিন্তু যাবে না। যাবে কই বাপের বাড়িতে ভাইদের বৌ রা আছে, এক বনে দুই বাঘ থাকতে পারে না ।
হাহাহা জটিল বলছেন রেজা ভাই
শুধু হেড ফোন লাগিয়ে রাখলেই হয়
বন্যা আপু এসেই কিরে আরে ছাড়া এত হাসাহাসি কিল্লাই ?
আন্নে এত দেরি কইচ্চেন কিল্লাই
আর কইস না , সুরজ মিয়ারে লই আর হারি নো, হেতে কোন কাম তাড়াতাড়ি কইরতে হারে নো । মরার এই আমি দেইখা হেতের সংসার কইতেছি ...
রেজা ভাই জাবেদ ভাই এর দিকে তাকিয়ে দেখলি তো
আতিক ভাই ভাবি কে নিয়ে আসলো । কিরে এইটা তো সাত্তার ষ্টোর বানিয়ে ফেললি , ডাক্তার এসে সব গুলিরে বেড় করে দিবে
চা খাচ্ছি তারেক ভাই এর চোখে মুখে আনন্দের ঝিলিক দেখতে পাচ্ছি। সবাই তারেক ভাই এর দৌড়ে ছূটে যাওয়ার দৃশ্য দেখার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে আছে
ভাবি এই শুনছো , গুলশানে ফ্ল্যাট দেখতে যাওয়ার কথা ছিল মনে আছে ?
পারবো না ষ্টিল মিল এ আসছি এখন আমি কোথাও যেতে পারবো না
" হয়েছে , আমাকে দেখে পেরেছ , অন্য কেউ হলে কবে চলে যেতো "
শাহিন ভাই এলো , এসে আসর গরম করে দিলো
ঐ চা খাইছোস আমারে ছাড়া , মানি না সব গুলিরে আবার শুরু থেকে খাওয়া শুরু করতে হইবো, কি কি গল্প হইছে সব রিপোর্ট আকারে দে , তারপর জাবেদ তুই সব ডিটেইলস বলবি
এইখানে গান গাওয়া ও হইছে , রেজা ভাই গাইছিল
সব আবার নতুন করে করতে হবে এই আইন পাশ হইছে এই মাত্র
নইম্যা তুই বড় বেশি কথা কস । জাবেদ শেষ করলে তোরে ধরমু তুই বড় ভাইদের নিয়ে কি সব লিখতেছোস তোর বিচার আছে
ভাবি শাহিন ভাই কে বলে উঠলো একটু তাড়াতাড়ি গল্প শেষ করো, তোমার তো আবার দাড়ি কমাও জানতে হয় । আমাদের ফিরতে হবে , আকাশের অবস্থাও ভালো না , ঘরে গিয়ে তো এই আমাকেই সব কাজ করতে হবে
আহ এত পেইন দাও কেন বলো তো ?
"হম ষ্টিলার পেলে আমাদের কথা মনেই থাকে না , আমাকে পেয়েছো সাত জনমের ভাগ্য "
রেজা ভাই মুচকি হেসেই যাচ্ছে , সাথে আমরাও
তোমার ভাগ্য বোধয় বেশি ভালো , তোমার কষ্টের কথা সব সময় মাথায় থাকে বলে তোমার জন্য আরো ৩ জন কোআর্টিষ্ট এর ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি বলেই অট্টহাসি টা দিলেন
ওয়াও সিক্স মারলো শাহিন ভাই
এভাবেই প্রতিদিনের মতো আড্ডা চলে পপুলারের ৬৬০ নাম্বার কেবিনের সাত্তার ষ্টোরে ।
No comments:
Post a Comment