প্রতিদিন তিনটি পিরিয়ড পরে স্কুল পালানোর কথা আমি অনেকবার লিখেছি। স্কুলে গিয়ে
স্কুল না পালালে মনে হতো বিরাট কি যেনো মিস করে ফেলেছি। স্কুল পালানো টা ছিলো আমার
কাছে ক্লাস করার মত একটা নিয়মিত রুটিন। এবং অবশ্যই তা প্রথম তিনটি পিরিয়ড পর।
ক্রিকেট খেলায় অভিষেক ম্যাচে যেমন কেউ সেঞ্চুরি করে আবার কেউ গোল্লা মারে।
তেমনি আমার অভিষেক অর্থাৎ প্রথম স্কুল পালানোর দিনই আমি গোল্লা মেরেছিলাম। সে
ক্ষেত্রে বোলার ছিলেন আমাদের মাহফুজ স্যার। তখন ক্লাস সেভেনে উঠেছি, বই পত্র সব ডেস্কে রেখে দু তিন জন এক সাথে পিছনের টিনের
বেড়া টপকে স্কুল থেকে বের হয়ে গেলাম।
মহানন্দে স্কুল পালানো সেরে টিফিন পিরিয়ডে
যেই বই খাতা নিতে আসলাম এসে শুনি, ডেস্ক ফাঁকা অথচ
বই খাতা আছে, এটা দেখে মাহফুজ স্যার যা
বুঝার বুঝে ফেললেন, সব বই খাতা জব্দ করে হেড
স্যারের কাছে জমা দিয়ে আসলেন। সহপাঠীদের বই খাতা ধার করে সেদিনের মত বাসায় গেলাম।
পরদিন স্কুলে যাওয়ার পরই মাহফুজ স্যার কতৃক এক দফা বাউন্সার ধোলাই, আর জব্দকৃত বই খাতা আনতে গিয়ে হেড স্যার কতৃক আরেক দফা
গুগ্লি ধোলাই খেলাম। তবে অভিষেক স্কুল পালানোতে এভাবে শুন্য রানে বোল্ড আউট হলেও,
আমার স্কুল পালানোর ক্যারিয়ার ছিলো খুবই ভালো।
ওই ঘটনার পর কিছুদিন বিরতি দিয়ে পূর্নদ্দ্যমে স্কুল পালিয়েছি স্কুলের শেষ দিন
পর্য্যন্ত। তবে যেখানে আমার বন্ধুরা পুরো পিরিয়ড টাই পালাতো, সেখানে আমি কমপক্ষে তিনটি ক্লাস করে স্কুল পালাতাম।
জীবনে স্বর্ন যুগ ছিলো বোধ হয় সেই দিন গুলো।
No comments:
Post a Comment