আল্লাহর নাম নিয়ে ট্রেনে উঠে বসলাম। সাথে হাফিজ মামা। গন্তব্য রাজশাহি। হাফিজ
মামা হলো আমার ছোট খালার চামচা। খালা যদি সকালে উঠে বলে এখন রাত ১২টা, হাফিজ মামা বলবে, জি ভাবি রাত যাগা ঠিক না, আপনে আরাম করে
ঘুমান। খালা হাফিজ মামা কে দায়িত্ত বুঝিয়ে দিয়েছে। কোন ভাবেই খালি হাতে আসা
যাবেনা। উপরে আল্লাহ আর নিচে আপনে এবার ভাবি খালি হাতে ফিরবো না।
বেশ কিছু টাকা পয়সা হাফিজ মামার হাতে দেওয়া হলো। আমার হাতে specially কিছু দেওয়া হলো যায়গা মত দেওয়ার জন্য।
রাতে রাজশাহি পৌছালাম। কিছুক্ষন পর দুই জন ভদ্রলোক এসে আমাদের কে যায়গা মত
নিয়ে গেলো। এই ঘটনা গুলির সাথে নিরু এবং খালা জরিত। খুব খাতির যত্ন করা হলো।
এবার উনি আসলেন। বাংলার শিক্ষিকা। দেখলাম এবং বুজলাম, খানা/পিনা ঘর কা আদমী। হাফিজ মামা মেয়ে দেখে মহাখুশী।
আহা কি ভালো মেয়ে। আব্বা এই মেয়ে হাতছাড়া করা যাবেনা। লেখাপড়া যানা মেয়ে।
তোর জীবন সুখের হবে। আমাকে আর কিছুই বলতে হলো না। মেয়ের ভাবির সাথে পাকা কথা
দিয়ে ফেললো। ঢাকায় খালাকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিলো, ভাবি রেজার মেয়ে পছন্দ হয়েছে। খালা ফোনে আমাকে জিজ্ঞাসা
করলো, তোর হাতে যে ১০০০০টাকা
দিয়েছি, মেয়ের হাতে দিয়েছিস তো?
খুশি /খুশি গলায় জিজ্ঞাসা করলো, মেয়ে কেমন দেখলি? হাফিজ মামা এবার খালি হাতে আসবেনা, তোমার জন্য গোডাউন ভরে নিয়ে আসবে! আমি তাতেই খুশী। খালা খুশী। আমিও খুশী
সারাফের মা।
No comments:
Post a Comment