বুঝলি বাবা, এই বড় বড় সরপুঁটি মাছ, কেবল পাতে নিছি আর তখনি ঠা ঠা গুলির আওয়াজ। আহারে সাধের মাছ ফালায় থুইয়া, যে যার জান নিয়া দৌড়। না, এই শালাদের, এই দেশ থেকে না তাড়ালে, এই মজার মাছ খাওয়া যাবেনা। যুদ্ধেই যামু। আর বাড়ি ফিরি নাই। কায়ছার চাচা আমার, যুদ্ধে গেল। এই দেশ স্বাধীন করার জন্য। সামনা/সামনি সে অনেক যুদ্ধ করেছে, পাক সেনাদের সাথে। অসিম সাহসি একজন মানুষ। অনেক গভীর আবেগ নিয়ে, সে মুক্তিযুদ্ধের গল্প করে। অনেক সময় মজা করে বলি, চাচা তুমি মাছ খাওয়ার জন্য যুদ্ধে গিয়েছিলে!? মিট মিট করে হাসে। বড় গভীর সে হাসি। যুদ্ধটা দরকার ছিলোরে বাবা। কি মিল আছে, আমাদের সাথে, ওদের!!?? না সংস্কৃতি, না ভাষা, না আদব কায়দা!!!?? শুধু আমাদের শোষন করেছে। তাই যুদ্ধ করেছি, যা ভাগ শালারা, আমাদের কে, আমাদের মত করে থাকতে দে। চাচার কানের লতিটা নাই। অল্পের জন্য গুলিটা অন্য যায়গায় লাগেনি। আলতো করে ছুঁয়ে গেছে, কানের নিচটাতে। চাচা তুমি কি খুশি, এই দেশ সাধীন করে?? আবারো সেই মিট/মিট করে হাসি!! সাধীন হয়েছে বলেই, আজ এই কথা, আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারছিস। গোলামরা শুধু জি হুজুর, জি হুজুর করে যায়, ভালো মন্দ বুঝার ক্ষমতা তাদের নাই। সাধীন দেশ, আমরা সাধিন, এর চেয়ে আনন্দ আর কি আছেরে??? চোখে পানি চলে আসে, কায়সার চাচা যখন দেশ নিয়ে কথা বলে।
আজ এই স্বাধীনতা দিবসে, তোমায় ছালাম, আমার কায়ছার চাচা। তোমারা ছিলেই বলে, আজ এই দেশ স্বাধীন। তুমি মন ভরে সরপুঁটি মাছ ভাজা খাও। আমরা আছি , বহু রক্তের বিনিময়ে, তোমাদের দেওয়া, একটি লাল/সবুজ পতাকা হাতে নিয়ে,এই স্বাধীন দেশটার মাটির উপর দাঁড়িয়ে।
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি।
No comments:
Post a Comment