যখন থেকে বুজতে শিখেছি ধুম পানে বিষপান তখন থেকেই দেখেছি আমার পছন্দের সব বড় ভাই গুলা এই নেশাতে আশক্ত। খুব খারাপ লাগতো, শুধু ভাবতাম কেনো উনারা এই খারাপ কাজটা করে?
রেজা ভাই, বাবাকে খুব সন্মান করতেন, একদিন বাবা আর আমি সিঁড়ি বেয়ে নামছি, বাজারে যাব, রেজা ভাই সিড়ির চিপায় দারিয়ে.... ফুঁকছিল আর খুব সম্ভব জসীম ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল, তো টান টা যেই দিয়েছে ঠিক তখনি বাবা আর আমি উনার সামনে, উনি জাস্ট মুখটা ফুলিয়ে সোজা হয়ে পাথরের মতো দারিয়ে থাকলেন, বাবা বুজতে পেরে তাড়াতাড়ি ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেন। আমিতো অবাক, কিরে, ভাই আজকে বাবাকে সালাম দিলনা আর বাবাও কিছু বললোনা? এমন ভাব যেন কেউ কাউকে চিনে না, মাথার মধ্যে শুধু???? ঘুরতে লাগলো, বাবাকে বললাম ওখানেতো রেজা ভাই ছিল, বাবা বললো তো? তুমি কথা বললে না যে? বাবা হেসে বললেন আমি কথা বললে সে আরও লজ্জা পেতো, আমি বললাম কেন? উনি বললেন তুই বুজবি না বড় হলে বুজবি, তার কিছুদিন পর বাশায় সব বড় ভাইদের আড্ডায় ব্যাপারটা বুজলাম।
ঘটনাটা বলার উদ্দেস্যটা হলো আমাদের এই পেজের একটা পোস্ট এর মাধ্যমে জানতে পারলাম রেজা ভাই সিগরেট ছেড়ে দিবেন, প্রথমে ব্যাপারটা কাল্পনিক মনে হলেও পরে উনার অনেক গুলা কমেন্ট পড়ে উনাকে কিছুটা সিরিয়াস মনে হয়াতে আমিও পালটা কমেন্টস করে উনাকে আরও উস্কে দিলাম, আমি জানি না উনি সফল কিনা, জানতে চাইও না কিন্তু উনি যেভাবে মানুষ কে সপ্ন দেখতে শিখান বা অনেক বড় কাজের রিস্ক নিয়ে সফল হন, সেই সুত্র ধরে আমি মন থেকে উনার এই সাহসী পদক্ষেপ এর সফলতা কামনা করছি।
(ভাই এর চেয়ে পজিটিভ কমেন্টস আমার পক্ষে আর সম্ভব না।)
এখানেই শেয না। আরও আছে.......
উনি যদি উপরওয়ালার রহমতে সফল হন, আমি এই পেজের আমার সকল ধুম পায়ী ভাইদের এই পেজের মাধ্যমে অনুরোধ করতে চাই, চলেন আমরা রেজা ভাইকে অনুসরণ করে ধুম্পানের অভ্যাস টা ত্যাগ করার চেষ্টা করি, চেষ্টা করতে ক্ষতি কি, যদি আর একজন ভাইএরও ধুম্পান ত্যাগ করাতে পারি, আমি মনে করি এটা আমাদের পেজের সফলতার খাতায় আরেক টা মাইল ফলক হতে পারে। সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি।
No comments:
Post a Comment