আতিক ভাই সেদিন সবাইকে বই পড়ার জন্য আহবান জানিয়েছিলেন। বেশ ভাল কথা।ছোটবেলায় আমরা সবাই আমরা পাঠ্যবই এর বাইরে রুপকথার গল্প পড়তাম।বড় হয়ে উপন্যাস কিংবা গল্পের বই।সেগুলোর কোনটার কাহিনি বা চরিত্র আমাদের মনে ডাক কেটেছিল।নিজের সাথে কোন চরিত্রের মিল খুজে পেত কেউ। বিষয় টা নিয়ে আড্ডা হতে পারে।
থাক সে কথা।ছোটবেলায় আমাকে গল্পের বই কিনে দেয়া হত।সেটা পরীক্ষা শেষ হবার পর ডিসেম্বর মাসে। বছরের অন্য সময় দেয়া হত না কারন পড়ালেখার ক্ষতি হতে পারে।কিন্তু আমি নানাভাবে বই ম্যানেজ করতাম।একবার স্নিগ্ধা আপার কাছ থেকে রাক্ষসের মায়াপুরী নামে একটা বই এনে আর ফেরত দেয়া হয়নি।বাবার কিনে দেয়া বইয়ের মধ্যে ছিল,"ঠাকুর মার ঝুলি, ছোটদের আরব্য রজনী " ইত্যাদি।কখনো বেবি আপাদের বাসা থেকে গিয়ে উনাদের দ্রুত পঠন কিংবা
Rapid Reader এর অনুবাদ।একই কান্ড করতাম রিমন ভাইদের বাসায় গিয়েও।উনারা একটু ও বিরক্ত হতেন না।উনাদের একটা আলমিরাতে পুরনো দ্রুত পঠন আর
Rapid reader থাকত।ইচ্ছামত নিয়ে পড়তাম।আর নিচতলার রিনিদের বাসা থেকে অনেক বই এনে পড়েছি।শায়লা থেকে লিও টলস্টয় এর একটি বই আনছিলাম কিন্তু কিছুই বুঝিনি। রিনির আব্বা রিনিকে অনেক বই কিনে দিতেন।তাই ওর কাছে বই আনতাম বেশি।ছোটদের কাগজ নামে একটা মাসিক পত্রিকা আনা হত ওদের বাসায়।দারুন একটা পত্রিকা। কমিকস এর বইও পড়েছি।তারপর ওরা চলে যায় সি টাইপে।আমার বই পড়ার আগ্রহ কিছুটা কমে।সে জায়গায় আসে ম্যাগাজিন। এস এস সি পাশের পর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে র বই পড়া কর্মসূচী তে যোগ দিয়ে অনেকগুলো বই পুরস্কার পেয়েছিলাম।সেগুলো সেভাবে রেখে দিয়েছি।ছোটবেলার বই গুলো র মত আকর্ষণ করেনা।
কারন ছোটবেলার বই গুলো ত আমার কাছে শুধু বই নয়, কলোনি র একটি সুন্দর সময়ের খন্ড চিত্র।আমি চাই না কখনো সে সুন্দর সময় এর চিত্রটি আমার জীবন থেকে হারিয়ে যাক
No comments:
Post a Comment