Anisur Rahman Reza ভাইএর বাপের বাড়ী লেখা পরে, আমার বাপের বাড়ী যাওয়ার একটা চিরস্বরনীয় ঘটনা শেয়ার করতে ইচ্ছা হল।
বিয়ের ৩য় দিন সংসার শুরু করতে ঢাকা এলাম। এক সপ্তাহ না যেতেই খুলনা যাওয়ার জন্য মন এত অস্থির হয়ে গেল যে আজকে রওনা না দিলে মরেই যাব। তো স্বামী বেচারা খবর নিয়ে জানল যে আমাদের এক আত্বীয় শামীম ভাই ও যাচ্ছে। তার কাছে টিকেট কাটার দায়ীত্ব দিল।
বিধিবাম, ভাই টিকেট কিনল নন এসি বাসের একদম লাস্ট সিট। সারা পথ উত্থান পতন অনুভব করলাম। কত প্রবাদ মনে পড়ল- জীবন কুসুম আস্তিরন নয়। কখনো কবি নজরুলের " দুর্গম গিরি কান্তার মরু...."
অবশেষ, ঘাটে নাম্লাম।
শামিম ভাই জানালো যে ফেরী ছাড়তে দেরী হবে, তাই ফেরী থেকে নেমে সামনে যেতেই ডাব পেলাম। ডাব আমার খুব পছন্দ। husband নাম রেজা, আমাদের ডাব দিতে বলল। আগে শামিম ভাই কে দিলে উনি খেতে খেতেই দেখলো যে ফেরী ছারার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ওম্নি আমাদের আসতে বলেই ভোমা দৌর। আমি দৌর দিব, তখনি রেজা বল্ল, ডাব টা নিয়ে আসি। ডাব টার শাস কিছুটা শক্ত ছিল যা পুরা আলগা করে তোলা যায়। রেজা ডাব তুলে হাতে নিয়ে দৌর, আর সেভাবেই হাপাতে হাপাতে বলল, শাস টা নাও। আমার তো মেজাজ খুব গরম হল, একি abnormal, bus ছেরে যাচ্ছে আর ডাব হাতে নিয়ে দউরাচ্ছে!
প্রস্তর যুক্ত পথ শেষ করে ফেরী পর্যন্ত যেতেই ফেরীর ঝাপ তুলে দিলো। এবার উপায়? একজন বলল, ভাই আফারে আলগাইয়া উফরে উডাই দেন, তারফর আফা লাফ দিয়া ভিতরে ঢুকব। আমাকে উঠাতে গিয়েই স্বামী বেচারা ডাবের শাস টা ফেলে দিল, যার জন্য এত দেরী! অগত্যা আমি লাফ দিয়ে ভিতরে পরলাম, রেযা ও তাই। আল্লাহ, ফেরী টা মিস করিনাই, শুকরিয়া। একটু পরে টের পেলাম পায়ে তিব্র ব্যাথা, পা মচকেছে, খুলনা যেতে যেতে পা ফুলে ঢোল।
বাসার উঠানে ঢুক্তেই দেখি আম্মু দারানো। খোরাতে খোরাতে গিয়ে আম্মু কে জরিয়ে ধরলাম। কি শান্তি, আহা বাপের বাড়ী।
No comments:
Post a Comment