আমাদের মত ছা পোষা মানুষের জীবনে প্রতিদিন যুদ্ব করতে হয় বেঁচে থাকার জন্য। চেষ্টা করি সি এস এম পেইজটাতে নিয়মিত লাইক কমেন্টের মাধ্যমে সচল থাকতে।লেখা সেটা হয়ে উঠে না।আমারই হীনমনতা হবে হয়তো? কিছু লিখতে গেলে ভাবী কে কি মনে করবে? কে কিভাবে নেবে? আগ পিছ ভাবতে ভাবতে লেখাই হয়ে উঠে না। তারপরও বন্ধুদের একটা গল্প আজ শেয়ার করতে মন চাইল তাই লিখতে শুরু করলাম।বন্ধুরা সবাই মিলে আড্ডা দিতাম বড় মাঠে।সন্ধ্যার পর থেকে একে একে জমা হয়ে এক সময় ভরপুর একটা আড্ডা শুরু হতো।এমনি এক সন্ধ্যায় বন্ধু নুরু (নুরুর রহমান বাবুল) এসে একান্তে ডেকে নিয়ে গেল।
খুব গুরুত্বপূর্ন বা একান্ত ব্যক্তিগত না হলে এভাবে আড্ডার মাঝ থেকে উঠার বিধান ছিল না। তারপর দুজন হাটতে হাটতে আনসার ব্যারাকের রোডে চলে গেলাম আর নুরুর ব্যক্তিগত কথাটা মনোযোগ দিয়ে শুনলাম।কথাটা শেষ করেই নুরু বারবার অনুরোধ করল এ ঘটনাটি যেন কারো সাথে শেয়ার না করি।যথারীতি আমিও কথা দিলাম এবং কথাও রেখেছিলাম।কিন্তু কিছুদিন পর নুরু সাথে কোন এক বন্ধুর কথাকাটাকাটির এক পর্যায়র বন্ধুটি নুরুকে হুমকি দিতে শুরু করলো,দেখ খুব বেশী বাড়াবাড়ি করলে ঘটনাটি ফাঁস করে দিব।আমরা সবাই উত্তেজিত নুরুর এমন কি ঘটনা যা আমরা জানি না? সবাই বন্ধুটিকে উৎসাহিত করতে লাগলাম ঘটনা ফাঁস করার জন্য আর নুরু বারবার নিষেধ করছিল।আমাদের ছাপাছাপিতে এক সময় বন্ধুটি ঘটনার বর্ননা দিল।শুনে তো আমি হতাশ বললাম এটা আমি আগে থেকেই জানি।অন্য বন্ধুরাদেরও একই কথা -" এটা আমি আগে থেকেই জানি"।
তখন হঠাৎ সবাই খেয়াল করলো নুরুতো এ ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করছে তাহলে সবাই জানে কিভাবে।সবাই নুরুকে প্রশ্ন করতেই নুরুর সহজ উত্তর - আমি তোমাদেরকে বলছি কাউকে না বলতে কিন্তু আমি কাউকে বলবো না এটাতো কথা দেইনি।তার মানে আমাদেরকে কমিটমেন্টের গন্ডির মধ্যে আটকে রেখে নুরু ছিল গন্ডির বাইরে।অতএব আমরা কেউ কারো সাথে শেয়ার না করলেও নুরু সবার সাথে শেয়ার করেছিল।সেদিন নুরু প্রমান করেছিল,সবাই নুরুর আপনজন।
No comments:
Post a Comment