আমি যখন কাকে নিয়ে লিখব ভাবছিলাম তখন মামুন ভাই রিনির নাম দিয়েছিলেন। একটা লিখা ছিল কিন্তু তার আগেই অন্যরা লিখে ফেলল রিনিকে নিয়ে।
রিনি আমাদের নিচতলায় থাকত।খুব শুকনা ছিল।একটু খেলতে গেলেই ব্যথা পেত,তাই ওর আব্বা ওকে খেলতে দিত না।পড়তে নিয়ে যেত। মাঝেমাঝে দুপুরে খেলতে বের হলে ওর আব্বা আমাকেও ডেকে নিয়ে পড়াতেন।রিনি নাকি একা পড়ায় মন বসেনা।
মেয়ে হিসেবে রিনির প্রতি চাচার ছিল অনেক খেয়াল। লিংকন এর প্রতি এত খেয়াল ছিল না।রিনিকে অনেক বই কিনে দিত ওর বাবা।সেগুলো পড়তে আনতাম। মাঝে মাঝে ঝগড়া হত,আবার মিটেও যেত। রিনিকে চাচী কিছু বললেই কেঁদে ফেলত।চুল কোঁকড়ানো ছিল, কিন্তু মনে জটিলতা ছিল না। একটু বোকা টাইপের ছিল। মাঝেমাঝে ওর কিছু কথা শুনে হা করে থাকতাম।অনেক বকবক করতে পারত।
ফেসবুকে ও নাকি আমাকে প্রথমে চিনতেই পারেনি।শুনে অবাক হয়েছিলাম।অথচ এখন প্রায় যোগাযোগ হয়। পুরনো সম্পর্ক নতুন করে ঝালাই করা আর কি!
রিনিরা একসময় সিটাইপে চলে যায় কিন্তু দেখা হলে আগের মতই আন্তরিকতার কমতি ছিল না। এখনো নেই। আশা করি বাকি দিনগুলো- এভাবেই ভাইবোনের মত করে কাটিয়ে দিতে পারব।

No comments:
Post a Comment