গত কয়েকদিন যাবৎ এই পেইজে যাহা চলিতেছে (তৈলমর্দন) তাহাতে আমি রীতিমত চিন্তিত হইয়া পড়িতেছি।কারণ যেই পরিমাণ তৈলমর্দন চলিতেছে ইহা যদি বিরতিহীন ভাবে চলিতে থাকে তাহা হইলে অচিরেই দেশে তেলের সংকট দেখা দিবে।তাই চিন্তা করিলাম তৈল সংকট দেখা দেওয়ার আগেই আমি ও হালকা করিয়া মারিয়া লই।
গত কয়েকদিন ধরে যাদের কে তেল মারা হইতেছে,তারা সকলেই আমাদের অতি প্রিয়মূখ,চিরচেনা,যাদের অক্লান্তশ্রমে এই আড্ডা।যাদের তেল মারা হইতেছে তাদের face value অনেক বেশী(অবশ্য তা তাদের যোগ্যতাবলে)।চিন্তা করলাম তাদের তেল মারার লোকের অভাব নেই,আমি বরং সেই রকম একজনকে খুঁজি,যারে কেউ তেল মারার প্রয়োজনীয়তা বোধ করে না।চিন্তা করছি কাকে তেলটা মারা যায়,সে রকম কেউ কি আছে??? অবশেষে পেয়ে গেলাম একজনকে- এমদাদুল হক (পরাগ)
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দু'পা ফেলিয়া
একটি ধানের শীষের উপর
একটি শিশির বিন্দু।।
পরাগের পরিচয়,পরাগ আমার কলোনীর ছোট ভাই,আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যার মরহুম হক স্যারের মেঝ ছেলে এবং বর্তমানে আমার প্রতিবেশী।প্রতিবেশী হলেও পরাগের সাথে আমার কদাচিৎ কথাবার্তা হয়।ওর সাথে খুব একটা ক্লোজ হয়ে উঠেনি(জুনিয়র বলে)।পরাগ খুব সাধারণ একটা ছেলে,খুবই সাদামাটা জীবনযাপন করে এবং স্পষ্টভাষী,সর্বোপরি প্রচারবিমূখ। প্রচারবিমূখিতার কারণে আড্ডায় ওর যথেষ্ট ভূমিকা থাকা সত্বে ও পরাগ কে অনেকেই চিনে না।আড্ডার আগে আমি দেখেছি তার ব্যস্থতা।সকাল সন্ধ্যা অফিস করে রাত অব্দি আড্ডার পিছনে সময় দেওয়া,এবং আড্ডার কুপন বিলি করার প্রানান্তকর ছুটে চলা।কিন্তুু আড্ডার আগে কিংবা আড্ডা পরবর্তীতে পরাগের সরব উপস্থিতি কখনো এই পেজে দেখিনি।যা করে অন্তর থেকে করে,লোক দেখানোর জন্য কিছু করে না।যথেষ্ট সৎ,সিনসিয়ার বলেই আমার ধারণা।
একজন অখ্যাত ছোট ভাইকে হালকা করে তেল দিলাম।এটা তার অনুমতিব্যতিত।তাই সতর্কবাণী "ভাই হোচট খাইও না।ছোট ভাই বলিয়া হালকা করে দিলাম যেন তেলের সংকট না হয়।।

No comments:
Post a Comment