কোন একটি টার্গেট বা লক্ষ্য সামনে না থাকলে সাধারনত কাজের গতি বা স্পৃহা কম থাকে এবং এটাই খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। যখন ছাত্রজীবন ছিলো তখন দেখা যেত পরীক্ষা এলেই হুলস্থুল পড়াশোনা বাকী সময় টুকু চলছে গাড়ি যাত্রা বাড়ী অবস্থা।অবশ্য ভালো ছাত্রদের কি অবস্থা থাকে তা আমি জানিনা, আমি তো আর ভালো ছাত্র ছিলাম না , ছিলাম থার্ড বেঞ্চের ছাত্র।
২৯ জানুয়ারী আমাদের গ্রান্ড আড্ডা এই পেজ বা গ্রুপ টির জন্য একটি টার্গেট ছিলো, সংগত কারনেই সবার মধ্যে একটা যোগাযোগ, দৌড়াদৌড়ি, কমেন্টস ইত্যাদি একটু বেশীই ছিলো। অপরদিকে তারিকের ঢাকায় তার চিকিৎসা কালীন সময়ে তকে ঘিরে েএকটা আড্ডা বা যোগাযোগ গড়ে উঠত। এসব কারনে সবসময় একটা জমজমাট ভাব বিরাজ করত। কিন্তু এখন পেজ যে ঝিমায়ে পড়ছে এটা মানতে আমি রাজী নই।প্রচুর লেখা আসছে এবং ভালো ভালো লেখা আসছে, এবং সবাই যার যার মনের আবেগ ঢেলে লিখছে। যে মনিরুল কলোনী তে জীবনে পিকনিকের বাজারের লিস্ট আর মেডিকেলের ঔষুধ বেচার লিষ্ট করা ছাড়া অন্য কিছু লেখছে কিনা সন্দেহ আছে ,সে মনিরুল এখানে দুর্দান্ত সব লেখা দিচ্ছে। এটা কি পেজের পজিটিভ উত্তরন নয় ? মিঠু ভাইয়ের কোক কাহিনী টা লিখেছিলাম এ পেজ তৈরী হওয়ার আগে আমার টাইম লাইনে, আমার সেদিনের সে লেখায় প্রচুর কমেন্টস পড়েছিলো অথচ এ পেজে আমি যে লেখা গুলো দিয়েছি সেখানেও এতো কমেন্টস পড়েনি, তাহলে কি আমি এটা বলব যে, এ পেজের চেয়ে আমার টাইমলাইনে লিখা ভালো ? মোটেই না। কমেন্টস লাইকের উপর নির্ভর করে ও বিচার করে অন্তত এ পেজের জনপ্রিয়তা বা কার্যকরিতা মূল্যায়ন করা যাবেনা, কারন এটি একটি নির্দিষ্ট এলাকার প্রায় সমমনা ও সমান মর্যাদার মানুষ নিয়ে তৈরী।
যারা বিভিন্ন সময় এ পেজ ছেড়ে চলে গিয়েছেন তাদের জোর করে ধরে রাখার এখতিয়ার কারো নেই। এটা যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। প্রায় সাড়ে ছয়শ সদস্য নিয়ে এ পেজ, ব্যাক্তিগত মনোমালিন্য বা মতেদ্বৈততা থাকতেই পারে , তার জন্য পেজ ছেড়ে দিতে হবে এটা আমি পারসোনালি আমি মেনে নিতে পারিনা। আচ্ছা ধরি ,আমরা সবাই এখন কলোনীতে আছি , আমার বা অন্য কারো সাথে কলোনীর অন্য কোন বাসিন্দার ঝগড়া বিবাদ হয়েছে তাই বলে কি আমরা কলোনী টাই ছেড়ে চলে যাবো বা বাস্তবে কি কখনো কি এমন হয়েছে ?
No comments:
Post a Comment