সবেমাত্র ইশকুল শেষ করে কলেজে ভর্তি হইছি। প্রথম যেদিন কলেজ যাব, আগের দিন রাতে বাবা একটা ৫০০ টাকার নোট দিয়ে বলল, "এটা মানিব্যাগের এক কোনায় এমনভাবে রাখবি যাতে চোখে না পড়ে, চোখে পড়লে খরচ হয়ে যাবে। এই টাকাটা শুধু মাত্র বিপদের সঙ্গী, যখন কোন বিপদে পড়বি তখনি শুধু টাকাটা ব্যাবহার করবি" আবার বাবা আরেকটা কথাও সবসময় বলতো আর বিশ্বাস করত, "রু মানে পরান যখন যেটা চাইবে পরানকে সেটা দিয়ে দিবি, নতুবা পরানের আফসোস থেকে যাবে, কারন মানুশের মরা-বাচার কোন বিশ্বাস নাই, আত্মা যেন অতৃপ্তি নিয়ে না মরে।"
তো পরতাম, সিটি কলেজে, দুপর বেলা কলেজ বাস আসতো দেড়টায় ঠিক মার্কেটের মোড়ে। ওখানটায় একটা নার্সারি ছিল যেখানে বসে আমরা গাড়ির অপেক্ষা করতাম, সবারি হয়তো মনে পরবে পাশেই ছিল হোটেল জামান, ঠিক দুপুরে যখন খিদায় পেট কি খাব? কি খাব? করতো, ওই সময় পাশের ওই বিরিয়ানির ঘ্রান কেমন লাগতো এটা বোধয় কমবেশি সবাই জানি।
প্রথম দিন কোন রকমে সামলালাম, কিন্তু পরের দিন আর সম্ভভ হলনা, সাথে ছিল সাদি, সাবিন, মোরশেদ, আরও দুএক জন, সোজা গিয়ে মেরে দিলাম.........।। সাথেত ওই বিপদের সঙ্গী ৫০০/- ছিল!!!!!
বাশায় এশে ভাত খচ্ছি না দেখে বাবা যখন জিজ্ঞাশ করল, তখন বললাম পরানের ওই ethical চাওয়ার কথা, পরানরে তো আর অভুক্ত রাক্তে পারি না...।। বাবা শুধু হাসল, কিছু বলল না, আমিও জানতাম কিছু বলবে না, কিন্তু মজাটা হল পরদিন সকালে, বাবা সাইকেলে করে মেডিকেল এর ওখানে নামিয়ে দিতো, ওখান থেকে হেঁটে গিয়ে কলেজ বাসটায় উঠতাম। ওইদিন নামিয়ে দিয়ে আবার ৫০০টাকার একটা নোট দিল আর গালটা টেনে দিয়ে বলল,” ও ফুত পরানেরে আর ন খাবাইশ!”
এখনও মনে পড়লে হাসতে থাকি........................ really miss you baba .....….......এমন বাবা আর কার আছে????
No comments:
Post a Comment