Thursday, April 7, 2016

দুপুর সারে বারোটা কি একটা


দুপুর সারে বারোটা কি একটা।।প্রচন্ড রোদ।।বাজার থেকে যে হেঁটে বাসায় ফিরবো সে শক্তি বা সাহস কোনটাই পাচ্ছিলাম না।।খুবই ক্লান্ত লাগছিল।।রিকশায় যে যাবো সে টাকাটাও পকেটে ছিল না।।মাথায় একটা বান্দরামি বুদ্ধি এলো।।রিকশা ওয়ালারে বললাম ভাই ভেতরে যাবো??যাবেন??রিকশা ওয়ালা বললো যাবো তবে ভাড়া কিন্তু তিন টাকা দিতে হবে।।বললাম দিবো,,সমস্যা নাই।।বলেই উঠলাম।।আমার বাসা ছিল এফ-1-এ।।আমি তাকে আমার বিল্ডিং-এর সামনে না নিয়ে দুই এবং তিন নম্বর বিল্ডিং-এর সামনে রাস্তার উপর দ্বাড় করালাম এবং বললাম ভাই আপনে একটূ দাঁড়ান আমার কাছে তো টাকা নেই,,আমার বাসা নিচ তলায়,,আমি বাসা থেকে টাকাটা নিয়ে আসি।।এই বলে দুই নাম্বার বিল্ডিং-এর ভেতর দিয়ে গিয়ে সোজা চলে গেলাম এক নাম্বার বিল্ডিং-এ মানে আমার বাসায়।।সেই যে গেলাম আজ অবদি আর ঐ রিকশা ওয়ালার সাথে দেখা করিনি।।
জানিনা আল্লাহ্ আমার এই গুনাটা মাফ করবেন কিনা!!যা ছিল আমার বয়সের নির্বোধতা।

আর একবার বেলা তিন টার ঘটনা।।আমি দুপুরে খুব একটা ঘুমাতাম না।।তো না ঘুমিয়ে বিল্ডিং-এর সামনে দাঁড়িয়ে আছি।।হঠাৎ একটা বেবি টেক্সি আমার সামনে দাঁড়ালো এবং জিজ্ঞাসা করলো আট নাম্বার বিল্ডিং কোনটা??বললাম কেন??বললো আমার মামার বাসা??ভাল করে দেখলাম গাড়িতে ক'জন আছে।দেখলাম তিনজন।।একজন ভদ্র মহিলা।।একটি মেয়ে এবং ছোট একটি ছেলে এবং দেখলাম হাতে দুই খান মিষ্টির প্যাকেট।।লোভটা সামলাতে পারলাম না।।কারন অনেক দিন হয়ে গেছে মিষ্টি খাই না।।যাক বললাম আপনারা কি নতুন এসেছেন??বললো হ্যাঁ।।বললাম বিল্ডিং টাতো অনেক দূরে,,আপনি চিনবেন না।।এক কাজ করেন,আমি আপনার সাথে যাচ্ছি বলেই সামনে উঠে পড়লাম এবং ড্রাইভার কে বললাম সোজা গিয়ে ডানে যাবেন মানে বারো নাম্বার বিল্ডিং-এর সামনে গিয়ে দ্বাড় করালাম এবং বললাম আন্টি আসেন আমি আপনাদের নিয়ে যাচ্ছি বলেই মিষ্টির প্যাকেট টা হাতে নিলাম এবং সামনে হাঁটা শুরু করলাম।।তখন এগারো এবং বারো নাম্বার বিল্ডিং-এর মাঝে বড় বড় জংগল ছিল।।আমি একটু তাড়াতাড়ি হেঁটে তাঁরা না দেখে মতো করে বারো নাম্বার বিল্ডিং-এ না ঢুকে গেলাম এগারো নাম্বারে ঢুকে এবং পেছনে না তাকিয়ে সোজা মিষ্টির প্যাকেট গুলো নিয়ে দিলাম দৌড় এবং সোজা বাসায়।।
বাসার সামনে এসে চিন্তা করলাম মা যদি দেখে তাহলে তো প্রশ্ন করবে এবং উত্তর কি দিবো!!পরে সেগুলো আমাদের একটা ষ্টোর রুম ছিল সেগুলো ওখানে নিরাপদে রেখে দিয়ে ছিলাম এবং পরে বন্ধুদের নিয়ে পেট ভরে খেয়ে ছিলাম।।
জানি না ঐ আন্টিনা আমায় আজও ক্ষমা করেছেন কিনা বা আমার সম্পর্কে অথবা আমাদের সম্পর্কে এবং আমাদের কলোনির সম্পর্কে উনার ধারনাটা পাল্টেছে কিনা।।
ক্ষমা করে দিও রিকশা ওয়ালা ভাই।।
ক্ষমা করে দিয়েন আন্টি।।কারন মিষ্টি গূলো সত্যি মজার ছিল!!!

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss