ক’দিনের ব্যবধানে আমার বেশ ক’জন অগ্রজ - অনুজ বন্ধুর বিয়ের পঁচিশ বছর পূর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে একজন বন্ধু ফেসবুকে একটি কার্টুন ছবির ক্যাপশন দিয়েছেন এভাবে –
স্ত্রী : ওগো; আজ আমাদের বিবাহ বার্ষিকী। এই বিশেষ দিনে আমরা কী কী করবো বলো তো;
স্বামী : প্রথমে এসো দুই মিনিট নীরবতা পালন করি।
কার্টুনটির মধ্যে রসিকতার আধিক্য থাকলেও একটা সত্যও হয়তো লুকানো আছে। বেশ ক’বছর আগে একটি টিভি শোতে দেখলাম স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ ও ‘আলোকিত মানুষ চাই’ আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ আব্দুল্লা আবু সাইদ স্যার বলছিলেন “বিয়ে কথাটার অর্থ- ”পরস্পরকে সহ্য করে যাওয়া”।
আসলে সবগুলোই হাসি তামাশার জন্য, তবে অবশ্যই সত্যকে একেবারে আড়াল করে নয়।
আমার কথাটা সেখানে ফোকাস করতে চাই সেটা হল বিয়ের রজত জয়ন্তী পেরিয়ে আসা দাম্পত্য ভালবাসা, বিশ্বাস, আস্থা, শ্রদ্ধা, নির্ভরতা এ সবকিছুর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ‘যুগল বন্দনায়’।
দাম্পত্যের রসায়ন না জেনেও অনায়াসে বলে দেয়া যায় যারা রজত জয়ন্তীর মালা গলায় জড়িয়ে এখনো পথ চলছে হাতে হাত রেখে – মৃত্যু ছাড়া তাদের জীবনে ছেদ – বিচ্ছেদের কোন শংকাই বিচলিত করে না আর। মৃত্যুর মতো নাছোড় সত্যও হয়তো পারবে না তাদের প্রেমের “মৃত্যু” ঘটাতে।
জীবনের ওপারেও হয়তো জড়িয়ে থাকবে তাদের বন্ধন, ছড়িয়ে থাকবে ভালোবাসা – নানা বর্ণে, ছন্দে আর সৌরভে। পঁচিশ পেরোন সব বন্ধু যুগলের জন্য রইলো তাই অভিনন্দন আর শুভকামনা।
No comments:
Post a Comment