এই লেখাটা আমার গতকাল দেয়া উচিত ছিল,কিন্তু আজ অব্দি আমার কালকের ঘোর কাটছেনা। সেকি উত্তেজনা সকাল থেকে, তারেক আসবে,ওকে দেখব,সাথে নতুনমুখ গুলার সাথে পরিচয় হবে। পরিচয় ত হয়েই আছে,সামনাসামনি দেখব। পুলকরা আসলো কিনা জানার জন্য ওকে ফোন দিলাম,ও জানালো ওরা রেজা ভাইয়ের অফিসে।কথা বল্লাম নাজমুল ভাই,জসিম ভাইয়ের সাথে।
রেজা ভাই বল্লেন এক ঘন্টার মাঝে রনির বাসায় যেতে। সৌভাগ্যক্রমে কাল আমার হেল্পার আসেন নি,তাই এক ঘন্টার জায়গায় দুই ঘন্টা লাগলো যেতে,কিন্তু আমি যাবার আগেই তারেক চলে আসায় তখন আর কারো সাথে দেখা হয়নি। খেয়েই বাসায় ছুটলাম,পপুলার এ যাব। দিন কয়েক আগে তারেকের সাথে কথা হয়েছিল,বলেছিলাম কাবাব রুটি খাওয়াবো। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা ভিন্ন,কিছুতেই ওর অব্দি নেয়া গেল না কাবাব। আমি সবার জন্যই নিয়েছিলাম, সবাই যেভাবে কাড়াকাড়ি করে খেল তাতে যে আনন্দ পেলাম তার মুল্য অসিম।
পপুলার এ প্রথম দেখা হল আতিকের সাথে,প্রথম মানে জিবনের প্রথম,কিন্তু যেন জন্মের বাধনে বাধা। রেজা ভাই,নাজমুল ভাই বল্লেন আমিও কি বুবু ডাকব? বল্লাম অবশ্যই। one piece made,karigor dead. আতিক আমাকে জাবেদের সাথে উপরে পাঠিয়ে দিল,জাবেদ,the great tambourine man. খুব ভদ্র একটা ছেলে যার লিখায় দুস্টামি ভাব প্রবল।
প্রথমেই ঝগড়া লাগলো সিকিউরিটি এর লোক এর সাথে,ঝগড়া তে হেরে খাবার রেখে উপরে গেলাম। এক ঝাক ভাই দাড়িয়ে। শায়লা দুর থেকে সালাম দিল,জবাবে জড়িয়ে ধরলাম ওকে, পরে বাকিদের সাথে কথা পুলক,আরিফ, আপেল,টিপু,শায়লার বর সবার সাথে পরিচয় হল। রুমে ঢুকে দেখি আরো অনেকে। সামি,জসিম ভাই,রিপন ভাই। উল্লাস চেপে রাখা কঠিন।
অবশেষে তারেক,ওর মাথায় হাত রাখলাম। কথা কি বল্লাম জানিনা। রনি,বাবু আসলো। নিচে যারা ছিল সব তখন উপরে। রুমে জায়গা নাই,তার মাঝেই কথা চলছে। বিদায়বেলায় তারেকের কান্না পরিবেশ ভারী করে তুলল। নিচে গেলাম সবাই যে তারেকের খাবার দিব আর বাকিদের খাওয়াব,হল না। তাই বলে আসা সত্ত্বেও আর উপরে যাইনি। সব রাস্তায় দাড়িয়ে চা খেলাম। এরপর রফিক আসল,আমরা আবার স্টার এ গেলাম চা পরটা খেতে,ওখান থেকে সিটিজির সবাইকে নিয়ে সোজা কমলাপুর। সময় নেই কারো,খুব ইচ্ছে করছিল আরো কিছুক্ষণ একসাথে আড্ডা দেই। প্রতিটা ছেলেকেই অসাধারন লেগেছে।
দোয়া করি সবাই ভাল থাকুক।
No comments:
Post a Comment