জাহাঙ্গির দেশে এসে প্রতিবার কিছু রুটিন ওয়ার্ক করে। আজো তাই করলো। ফোন করে কিরে...... কেমন আছোস ? মামা দেশে আসলাম ,অনেক টায়ার্ড, পরে কথা বলি । লাইন কেটে যাবে । তারপর দুই দিন কোন টু শব্দ থাকবে না। ফোন করলেও রিসিভ করবে না । তারপর দুই তিন দিন পর ফোন করে সব ফ্রেন্ডের ছয় মাসের আমলনামা করায় গন্ডায় নিবে । তিন দিন পর ফোন করে বলল আমি ঢাকা আসছি তুই ১১ টার সময় কলেজ গেট থাকবি, আমি তোকে ব্যাগ দিয়ে বনানি যাবো। আমি সময় মতো রাস্তায় হাজির হই।
জাহাঙ্গির সময় মতো কলেজ গেট চলে আসে, বাস থেকে নেমে কিরে মামা কেমন আছোস বলে জড়ায় ধরলো। আর তো ছাড়ে না। অনেক টা আমাদের রেজা ভাই আর জাবেদ ভাইয়ার মতো। ক্যামেরা কাট না বলা পর্যন্ত ছাড়বে না ।
কিরে মামা ছাড় আজ তো ঈদ না।
তাতে কি কত দিন পর দেখলাম ব্লা ব্লা ব্লা
তুই কি এখনি বনানি যাবি ?
না একটু ফ্রেশ হবো তারপর লাঞ্চ করে বেড় হবো
ঠিক আছে চল বাসায়
বাসায় এসে শুরু হলো আড্ডা
দোস্ত আজ কে বাসের প্রায় শেষ দিকে সিট পাইছিলাম। জানালা খুলে মজা করে বাহিরের মনোরোম দৃশ্য দেখছি আর গান শুনছিলাম।
তো কি হইছে ,এইটা বাসে সবাই করে
বাসের প্রায় শুরুর দিকে একটা মেয়ে বসেছিল ।
এইতো লাইনে আসছো। তারপর কি হলো ?
মেয়েটা দেখতে পুরা জয়া আহসানের মতো ? মনে হয় যেন জয়া বসে আছে , গান শুনছি আর একটু পর পর মেয়েটারে দেখছি। অসাধারন লাগছে । তুই কিছুক্ষন পর ফোন করতেছিলি প্রচন্ড বিরক্ত হচ্ছিলাম। তুই আসলে টাইম বুঝোস না এই জন্যই তোর প্রেম হইলো না।
তারপর কি হলো ?
হঠাৎ কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম বুঝতেই পারিনাই
এই রকম কেউ সামনে বসলে আবার ঘুম আসে নাকি ?
তুই বুঝবি না , স্ক্রিপ্টে ঘুম টা লিখা ছিল।
তারপর কি হলো?
চা বিস্কুট কিছু খাওয়াবি না হারামজাদা ?
বানাচ্ছে দিয়ে যাবে
গোসল করে ফ্রেশ হয়ে চা খেতে খেতে জাহাঙ্গির বলল। এত আনন্দ নিয়ে আগে কখনো জার্নি করি নাই। একবার ভাবলাম মেয়েটারে গিয়ে তোর কথা বলি ?
তারপর কি হলো ?
জয়ার মতো দেখতে মেয়েটা হঠাত করে ওয়াক করে দিলো বমি করে, আর জানালা খোলা থাকায় বাতাসে সমস্ত বাসের যাত্রি দের পুরা শরীরে এসে পরে। সারা টা পথ হাল্কা পানি দিয়ে ধুয়ে এই পর্যন্ত আসছি । এই অবস্থায় কি করে বনানি যাই ?
ইয়াক......... তুই সেই বমি আমার গায়ে কোলাকুলির নাম করে লাগায় দিলি ?
No comments:
Post a Comment