Wednesday, October 14, 2015

সম্ভবত ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৩


*জ্যামে বসে বসে থেকে আমার মাথাই পুরা জ্যাম হয়ে গেছে, আর কোন লেখাই আসেনা। ”তাই নতুন শিশিতে পুরানো সিরাপ” , অর্থাৎ আবারো পুন: পোষ্ট করলাম। গোস্বা করিয়েন না মেম্বার সাবেরা।
আবারও রাশেদ, তবে এবার আর ডাব গাছ নয়, খেজুর গাছ।

সম্ভবত ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৩।


প্রতিবারের মতো সি টাইপ মাঠে থার্টিফাষ্ট নাইট পিকনিক শেষে, রাত প্রায় দুটো বাজে।কেউ মাঠে আড্ডা দিচ্ছে, কেউ ঘুমাতে চলে গেছে। আমাদের কয়েকজনের মনে হলো পুকুর পাড়ের খেজুর গাছের রসের অপারেশন চালানোর কথা। যেই ভাবা অমনি আমি, রাশেদ, মাসুম, টুটুল সহ চলে গেলাম পুকুর পাড়ে, রাশেদ যথারীতি গাছে উঠতে লাগলো। রসের কলস থেকে রস রাখার জন্য আমি আর টুটুল আবার গেলাম মাঠের পিকনিক স্পটে , সেখান থেকে একটি ডেকচি আনার জন্যে ।আর মাসুম একটু দূর থেকে পাহাড়া দিচ্ছিল। ডেকচি নিয়ে পুকুর পাড়ে এসে দেখি রাশেদ তখনও গাছের অর্ধেকও উঠেনি, আমাদের আরও তিনটি গাছে অপারেশন চালাতে হবে, তাই গাছে উঠতে এতো দেরী কেনো জানতে চাইলেও রাশেদ কিছু বলল না।একটু পর প্রথম গাছের রস নামানো হলো। ডেকচি তে একটু ময়লা ছিলো তাই রস রাখার আগে ওটা পুকুরের ঘাটে যেই আমি ধুতে যাবো অমনি রাশেদ চিল্লাচিল্লি করে বলতে লাগলো যে এ ঘাটে ধোয়া যাবেনা , অন্য জায়গায় গিয়ে ধোয়ার জন্য বলছে। এটা নিয়ে অনেকক্ষন চিল্লাচিল্লির পর রাশেদ যা বলল তা হচ্ছে, গাছে অল্প একটু উঠার পর ওর বড় বাথরুম পায় , গাছ থেকে নেমে পাশের ঝোপে কাজ শেষে পুকুরের ওই ঘাটে সে নিজেকে পরিস্কার করে, তাই সে এই ঘাটে ডেকচি টি ধুতে আমাদের মানা করে। আর এ জন্যই তার গাছে উঠতে দেরী হয়েছিলো



মজার ব্যাপার হচ্ছে ওই রাতের পিকনিক খেয়ে অনেকেই পরদিন পেটের ব্যারামে আক্রান্ত হয়েছিলো।

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss