.
আমি বড় হবার পর কখন কেঁদেছি মনে করতে পারি না, কখনো কারো জানাযায় গেলে চোখের কোনায় পানি অটোমেটিক চলে আসে তা ভিন্ন কথা, কিন্তু এ ছাড়া বড় হবার পর কষ্ট করলেও, কখনো কান্না করার দরকার হয়েছে বলে মনে পড়ে না। বরং কলোনিতে যখন ছিলাম বিভিন্ন এবাদতের রাতে মসজিদে মোনাজাতের সময় অনেক চেষ্টা করতাম, চোখে একটু পানি আনার জন্য কিন্তু পানি তো আসতো’ই না, বরং অন্য মুরুব্বীদের বিভিন্ন ভঙ্গীতে কান্না দেখে আমরা বান্দরগুলা হাসা-হাসি করতাম আর গবেষণা করতাম !!!! হা হা হা
আমি বড় হবার পর কখন কেঁদেছি মনে করতে পারি না, কখনো কারো জানাযায় গেলে চোখের কোনায় পানি অটোমেটিক চলে আসে তা ভিন্ন কথা, কিন্তু এ ছাড়া বড় হবার পর কষ্ট করলেও, কখনো কান্না করার দরকার হয়েছে বলে মনে পড়ে না। বরং কলোনিতে যখন ছিলাম বিভিন্ন এবাদতের রাতে মসজিদে মোনাজাতের সময় অনেক চেষ্টা করতাম, চোখে একটু পানি আনার জন্য কিন্তু পানি তো আসতো’ই না, বরং অন্য মুরুব্বীদের বিভিন্ন ভঙ্গীতে কান্না দেখে আমরা বান্দরগুলা হাসা-হাসি করতাম আর গবেষণা করতাম !!!! হা হা হা

কলোনি থেকে বের হয়ে গেছি অনেকদিন হয়ে গেছে, আমাদের দৈনন্দিন কাজের অংশ হিসেবে একদিন আমরা দোস্তরা সবাই মিলে ভাই ভাই ষ্টোরের সাইডে রাখা টেবলে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম, কোথা থেকে আব্বা এসে বললেন, “রাসেল চল ভিতর থেকে ঘুরে আসি”।
আমিতো সারাদিন’ই থাকি কলোনিতে, আমার ঘুরার কি আছে ? তবুও আব্বা বলাতে তার সাথে গেলাম। এইটা সেইটা কথা বলতে বলতে আব্বা সোজা হেটে চললেন আমাদের বিল্ডিংটার দিকে। বিল্ডিংটার সামনে গিয়ে আব্বা দাড়ালেন, আমিও দাড়ালাম, বিভিন্ন কথা বলে যাচ্ছিলেন আব্বা, আমাদের পাশে’ই আব্বা শখ করে মুরগীর ফার্ম করেছিলেন, এক সাইডে বাগানও ছিলো, এই সব বলে যাচ্ছেন। ছোট অবস্থায় আমি রোজা রাখলে, কোক খাওয়ার লোভ দেখালে রোজা ভেঙ্গে ফেলতাম, আরো কত কি !!!!
আমাকে এইসব বলার কোন মানে আছে !!! আমিতো সব কিছুর’ই সাক্ষী, তবুও আমিও আব্বার কথার সাথে সাথে তাল মিলালাম। তার কথার সাথে একটা, দুইটা লাইন ফাকে ফাকে জুড়ে দিতে লাগলাম। তবে আব্বার গলার আওয়াজ কিন্তু অন্য দিনের মত ছিলো না, কেমন যেন একটু ধরা ছিলো !!!
হটাত আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই, আব্বার সে কি কান্না, সাউন্ড না করার অনেক চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাতে কাজ হলো না, সাউন্ড বের হয়ে আসলো। আমি তাকে এর আগে কখনো এভাবে কাঁদতে দেখি নি।
তখন আমার কি অবস্থা ছিলো, নিশ্চই কাউকে বলে বুঝাতে হবে না ।
এটাতো ছিলো আমার সামনে, এভাবে প্রায় সময় দেখতাম আব্বা কলোনির ভিতরে যাচ্ছেন, আমাদের মত আড্ডা দিতে নিশ্চই যেতেন না, অনেকের সাথে কথা বলার পর, বিল্ডিংটার সামনে দিয়ে একবার হলেও হেটে আসতেন।
সবার’ই এমন ঘটনা আছে। এই কান্নাটা ছিলো কলোনির জন্য, যার যার নিজের এরিয়াটার জন্য। দীর্ঘসময় এখানে কাটানো ভালো খারাপ স্মৃতিগুলোর জন্য।
আসলে কি ছিলো এই কলোনিতে ?
No comments:
Post a Comment