আমরা যখন C-2-B তে থাকি আমাদের উপর তলায়
থাকত মুন্নি, লিন্ডা আপারা। চাচার নাম
ভুলে গেছি। চাচা আমাকে আদর করে ডাকতেন আ.......য়.......না......ল হক। তখন হাতে
গোনা যে কয়টা সাদা কাল টিভি ছিল তার একটা ছিল উনাদের বাসায়।আমরা এ সপ্তাহের নাটক
দেখার জন্য সুযোগ পেতাম। আমাদের আসন হত টিভির সামনে ফ্লরে আর বড়রা পিছনে সোফায়।
বাবুরাও আসত। কোন একদিন বাচ্চাদের মধ্যে কে যেন নাটক দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে গেছিল আর
পেশাব করে দিছিল। হা হা হা।
উনারা কখনও বেড়াতে গেলে আমাকে আর কাজের ছেলেটাকে বাসায় পাহাড়ার জন্য রেখে যেতেন।
লিন্ডা আপা ছিল মুক্তির সখি। মুক্তি কতদিন উনাদের বাসায় খেয়ে আসত আর আম্মার
বকা খাইত! মুন্নি আপা শরিফার আপার কাছে একবার আংক দৌড় প্রতিযোগিতার জন্য ট্রেনিং
নিতে আসছিলেন। ঘটনাটা আমার চোখে ভাসে।
উনাদের ছেলে ছিলনা বলে আমিনুল ভাইকে উনাদের নারকেল পেরে দিতে হত। চাচী আসার
সময় একটা নারকেল দিয়ে দিতেন।
সেই সময় প্রতিবেশীদের মধ্যে যে হৃদ্যতা, আন্তরিকতা ছিল এখন তা আত্বীয়দের মাঝেও দেখা যায়না। সবাই
কেমন ব্যাস্ত আর আত্মকেন্দ্রীক। ছুটছে তো ছুটছেই। feeling sad for next
generation
No comments:
Post a Comment