একদিন খুব সকালবেলা চিনি শেষ বাসায়।সবাই ঘুম।আমি আর আম্মা উঠছি।আম্মা আমাকে বাজারে পাঠাতে চাইলেন না।বললেন পাশের বাসার রুবি আপাদের বাসা থেকে এক কাপ চিনি নিয়ে আসতে।আমি গেলাম।দেখি উনারা পরোটা বানাচ্ছেন।আমরা যেরকম করে বানাই, সেভাবে না,একটু অন্যরকম ভাবে।আমি বিস্ময় প্রকাশ করলাম।কারন পরোটা গুলো খুব সুন্দর হচ্ছিল দেখতে।খালাম্মা আমাকে জোর করলেন একটা পরোটা নিতে।অনেক বড় পরোটা। আমি আম্মা বকা দিবেন বলে নিলাম না।চলে আসলাম।
আমাদের বাসায় পরোটা বানাত কিন্তু চারকোণা। মাঝে মাঝে মুন বেকারস এর থেকে পরোটা আনা হত।সেদিন রাতে বেবি আপা আমাকে সকালে উনাদের বাসায় দাওয়াত দিলেন।আমি সকালে নাস্তা খেতে উনাদের বাসায় গেলাম।কেউ জানেনা।চুপি চুপি।
উনারা আমাকে মেহমানের মত পরোটা দিলেন।সাথে আরো মজার নাস্তা খাওয়ার জন্য।আমি খুব তৃপ্তি নিয়ে খেয়ে বাসায় চলে আসলাম।এদিকে সেদিন আমাদের বাসায়ও পরোটা বানাইছিল।আম্মা জিজ্ঞেস করলেন,
কিরে নাস্তা খাবিনা?
আমার ক্ষুধা নাই।
আজকে পরোটা বানাইছি ত,
পরে খাব।
প্রতিদিন পরোটা বানাইলে খাইতে চাস,আজকে কি হয়ছে।
আমি সব খুলে বললাম।
আম্মা রাগ করলেন এভাবে না বলে যাওয়াতে।
এরপর রুবি আপাদের মত করে কাউকে পরোটা বানাতে দেখিনি, খুব মজা ছিল সেগুলো।
আজকাল আপনি কারো বাসায় খেতে যান,পরের দিন আপনার বাসায় সেই খাবার উসুল করতে চলে আসবে।আর কোন স্বার্থ উদ্ধার এর দরকার হলে তখন দাওয়াত দিবে।আন্তরিকতার খাতিরে কেউ কাউকে খাওয়ায় না,যেটা শুধু কলোনি র মায়া মমতা ভরা মানুষগুলো করত
No comments:
Post a Comment