আমাদের দোতলায় থাকতেন রুমা আপারা। উনারা ছিলেন ছয় বোন। কোন ভাই ছিল না। উনার আম্মা মাঝে মাঝে বেশ কিছু অদ্ভুত কথা বলতেন।এর মধ্যে কোন টা শুনে হাসি পেত আবার কিছু কিছু শুনে বিরক্ত লাগত।
একবার উনাদের একটা মোরগ খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। উনি পরিচিত যাকেই দেখছেন তাকেই জিজ্ঞেস করছেন কোথাও মোরগ টাকে দেখেছে কিনা। চাটগাঁইয়া শুদ্ধ মিলিয়ে বলছেন। সামনের বিল্ডিং এ থাকতেন পলি আপা।উনি আবার রিনা আপার বান্ধবী ছিলেন।পলি আপাকে দেখতেই খালাম্মা বললেন, " পলি, আমাদের রাতা মোরক (মোরগ)টা দেখছ? পলি আপা বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করলেন, জি খালাম্মা, বুঝিনি "
রিনা আপা পরে বুঝিয়ে বললেন।
আরেকদিন বিজয় দিবসে টিভি তে রুনা লায়লার গান দিচ্ছে। রুনা লায়লার পাশ দিয়ে সেনাবাহিনী কুচকাওয়াজ করছে আর রুনা লায়লা গান গাইছেন," লক্ষ প্রানের মুল্যে গড়েছি সোনার বাংলাদেশ"।
খালাম্মা সাথে সাথে জানতে চাইলেন, ওরা যে কুচকাওয়াজ করছে, ওগুলা ঠিক হচ্ছে কিনা"
আমি বললাম, কেন খালাম্মা, কি হয়ছে?
উনি বললেন, ওদের খেয়াল ত কুচকাওয়াজ এর দিকে নাই, ওরা ত সবাই রুনা লায়লার দিকে তাকিয়ে আছে"
খালাম্মার কথা শুনে আর কথা বাড়ালাম না।
আরেকদিন উনার ছোট মেয়ে মুক্তা যার সবকিছুতেই বায়না করা অভ্যাস ছিল।আমি কলোনি র গেইট এর পাশে র ইসলাম এর দোকান থেকে হলুদ রং এর বেলুন কিনলাম। খেলছি।এটা দেখে মুক্তাও ওর আম্মাকে বলল,বেলুন কিনে দিতে।মুক্তা আবার বেলুন কে বলত, ফুতানা। ওর আম্মাকে যখন বেলুনের জন্য বার বার বিরক্ত করছে, সাথে সাথে খালাম্মা জানতে চাইলেন, বেলুন কোথায় দেখেছে। মুক্তা আমার দিকে হাত দেখাল।
খালাম্মার উত্তর শুনলে যে কারো মাথা ধরে যাবে।বললেন, "জনিকে বল বেলুন কিনে দিতে।ও দেখায় ছে কেন? আমার কাছে ভাংতি টাকা নাই এখন। " উনি বড় বলে আমি কিছু না বলে চলে এলাম।
এমনই অদ্ভুত টাইপের কথা বলে উনি মাঝে মাঝে অবাক করে দিতেন
No comments:
Post a Comment