- Atiq CSM
কোকে কখনও পাউরুটি চুবিয়ে খেয়েছেন, টেস্ট আছে, একবার খেয়ে দেখতে পারেন, আশা করি ভালো লাগবে। আমার প্রায়ই অসময়ে ক্ষুধা লাগে, তখন এই কোকে পাউরটি চুবিয়ে খেয়ে ফেলি। এ মেন্যু আমি কোথায় পেলাম সেই গল্পটি আসুন শুনি।
৯৩ সালের দিকের ঘটনা, বড় মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্ট চলছে, সি টাইপ থেকে কোন টিম অংশ নেয়নি, কিন্তু সি টাইপের খেলোয়ার রা বিভিন্ন টীমের পক্ষ হয়ে টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। এক মাত্র আমি আর আর্মি রতন কোন টীম পাইনি। অবশেষে কোরবান আলী তার টীম জোনাকী সংঘের গক্ষে খেলার জন্য আমাকে আর রতন কে অনুরোধ করল , আমি আর রতন তো মহানন্দে রাজি হয়ে গেলাম, আমি দলের গোলকিপার আর রতন মিডফিল্ডে। কিন্ত আনন্দ আর বেশীক্ষন স্থায়ী হয়নি প্রথম খেলাতেই বিগক্ষ দলের কাছে ৫--০ গোলে হেরেছি, তার উপর গোল সেভ করতে গিয়ে আমার পরনের প্যান্ট চিচিংফাঁক,ভাগ্য ভালো জার্সি টি লম্বা ছিলো বলে ইজ্জত রক্ষা, এখনকার মত স্লিম ফিটিং জার্সি হলে খবর আছিলো। পাঁচ গোল খেয়ে টীমের সবাই মুখটাকে বাংলার পাঁচ বানিয়ে যে যার বাসায় চলে গেলাম, সণ্ধ্যার পরে কোরবান আলী আমার আর রতনের বাসায় হাজির , তার আসার উদ্দেশ্য হলো, খেলায় হেরে গিয়ে তার মন খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল তাই সে আমাকে আর রতনকে আপ্যায়ন করাতে পারেনি, এখন সে আমাদের খাওয়াবে ,তাই সে জোর করে দু জনকে জেক্সে নিযে গেল, এবং সেখানে সে আমাদের জন্য কোক আর পাউরুটি অর্ডার দিলো, তার মেন্যু দেখে আমার ও রতনের ভিমড়ি খাওয়ার মত অবস্থা, কিন্ত মুখে কিছু বললাম না, ছেলেটো এতো শখ করে খাওয়াচ্ছে। কিন্ত সত্যি কথা সেদিন ঐ খাবার টি খেতে কিন্ত মোটেও খারাপ লাগেনি, আর খারাপ লাগবেই বা কেনো, এখানে শুধু কোক আর পাউরুটিই ছিলোনা , ছিলো কেরবান আলীর অকৃত্রিম আন্তরিকতা আর বুক ভরা ভালোবাসা।
No comments:
Post a Comment