Saturday, November 7, 2015

”দি লাইফ অব ইমোশনাল ১“ ( তারল্য জীবন)



যাক অবশেষে সেনসর বোর্ডের সদয় অনুমতি পাওয়া গিয়াছে। তাহলে শুরু করি।
”দি লাইফ অব ইমোশনাল ১“ ( তারল্য জীবন)

কলোনীর পোলাপান যখন দু টাকার সিগারেটের জন্য ফাষ্ট বুক, সেকেন্ড বুক করছে , তখন তাদেরই একজন ঢাকায় সেটেল হয়ে পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী , য়খন পোলাপান তিন টাকারভাড়াকেও হাফ করে ২ টাতা দিয়ে ২ নং বাসে করে নিউ মার্কেট আসে যায়, তখন ঐ ব্যবসায়ী বন্ধু বিলাসবহুল এসি বাসে করে মাসে দু তিনবার আড্ডা মারতে চট্টগ্রাম আসে। আসার সময় অনেকের জন্য দামী বিভিন্ন চকলেট বা অন্যান্য কিছু নিয়ে আসতো।


এ বার ব্যবসায়ী বন্ধু সিধ্ধান্ত নিলো কয়েকজনকে সে ইমোশনাল পানীয় পান করাবে, সে অনুযায়ী, ষ্টীলমিল বাজার থেকে বেবী টেক্সী নিয়ে সংগে আরো দু জনকে নিয়ে বটতলীর বিখ্যাত রেলওয়ে ইমোশন ঘরে গেলো, এবং খুব দামী দামী ইমোশন পানীয়র অর্ডার দিলো ব্যবসায়ী র সাথে থাকা বাকী দু জন তো এতো দামী ইমোশন বোতল দেখেই ইমোশনাল। এরই মধ্যে খাওয়া দাওয়া শুরু। অলরেডী একজন তো ওখানেই ইমোশনের রি একশন দেখানো শুরূ করল অর্থাৎ পেট হতে উদগীরন। অন্যজন সমানে ইমোশন গিলছেন। আর ব্যবসায়ী মিট মিট করে বাকী দু জনের কান্ড দেখে হাসছে । এখন অন্যজন ও ইমোশোনাল হয়ে গেছেন,প্রথম জন কেনো বমি করছে সে জন্য দ্বিতীয় জন ওখানেই ইমোশনাল কান্ড বাধিয়ে দিলো, ইমোশন ঘরের কর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রনে। এবার উনারা ওখান থেকে গেলো সিবীচ, সেখানেও আরেক দফা হালকা ইমোশন পান। 

এবারে তিনজনের কলোনীতে আগমন। সি টাইপ মাঠে আড্ডা শুয়ে শুয়ে চলছে, হঠাৎ ২য় জন যে কিনা সমানে ওখানে গিলেছে সে মাঠের মধ্যে এখন ফুল স্পীডে উদগীরন শুরূ করছে তার ইমোশন এতোই প্রবল ছিলো মনে হচ্ছে যেনো তার ভিতর থেকে হৃদয়, কলিজা, কিডনী সব বেরিয়ে আসবে। ঠিক তখনই মাঠের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো এক চাচা , উনি এ তিনজনের এ অবস্থা দেখে জিজ্ঞেস করলেন , তোমরা এখানে কি করছ, ইমোশলান রা এমন এক উত্তর দিলো যে ঐ চাচাই মনে হচ্ছে যেনো ইমোশনাল হয়ে যাবেন। উনি ঘটনা বুঝতে পেরে দ্রুত ওখান থেকে চলে যায়। এবার এক ইমোশনাল বন্ধু বাসায় চলে যাবে, কিন্তু মুখ থেকে ইমোশন খুশবু বের হচ্ছে বলে যেতে ভয় পাচ্ছে। ব্যবসায়ী বন্ধুও এর সমাধান করে দিলো, ভাই ভাই ষ্টোর থেকে কমদামী জেসমিন ব্রান্ডের এক বোতল পারফিউম এনে পুরোটা ঐ ইমোশনালের মুখে স্প্রে করে দেয় এবং তাকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়।

আজকে একটি উক্তিতে পড়লাম “ অতি আবেগীদের হয় অনেক উন্নতি হয় না হয় তারা অবনতির নীচে পড়ে থাকে”।
আমাদের এ ইমোশনালদের কপালে যে কি আছে কে জানে।

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss