12 ই ফেব্রুয়ারী আমার জন্ম দিন। আমার কাছে এই দিনটি অন্য 365 দিনের মতই একটি দিন কিন্ত অল্প একটু ভিন্ন। তারকাদের মত আমি শুধু আমার জন্ম তারিখটা উল্লেখ্ করলাম। (কিন্তু খুব সচেতন ভাবে এড়িয়ে গেলাম সাল বা কত তম জন্ম দিন সেটা)।
‘‘সবাই বলে বয়স বাড়ে আমি বলি কমে” এটি বাংলাদেশের ছায়াছবির একটি জনপ্রিয় গান। এ গানের মঝে যেন চিরন্তন সত্যটিই ফুটে উঠেছে। ‘‘এভরি বার্থ ডে ইজ ওয়ান স্টেপ ফরোর্য়াড টু ডেথ”-একজন মনিষী বলেছেন, জন্ম দিনের আনন্দের পরিবর্তে মাণুষের দুঃখ করা উচিৎ। কেননা তার জীবন থেকে আরও একটি বছর চলেগেল”। অথচ ছোট সোনা মনিদের কাছে জন্ম দিনটা অ-নে-ক বেশি আনন্দের। বার্থ ডে উৎসব ওদের কাছে ‘‘হ্যাপি বার্থ ডে” হিসেবেই পরিচিত। ওরা ভাবে দ্রুত বড় হয়ে অনেক কিছু করবে।
যত বড় হয় তত বেশি খুশি হয় ছোটরা। আর বয়স্কদের কাছে জন্ম দিনটা ভয় বা আতংকের। জন্ম দিনে তারা মৃত্যুধ্বনি শুনতে পান। হায়রে মানুষ রঙিন ফানুষ, দম ফুরাইলে ঠুস। এইসব চিন্তা করে আমি এখন কিংর্কতব্যবিমুঢ়। আমি শিশু আর বৃদ্ধের মাঝা-মাঝি বয়সে অবস্থান করছি। অনেক ভেবে চিন্তে দেখলাম নিরানন্দময় নয় জন্ম দিনটা আমার আনন্দময় হাস্যোউজ্জ্বলতার মধ্যে দিয়েই কাটিয়ে দেওয়া উচিৎ। জীবনতো একটাই। তাই জন্মদিনকে হাসিমুখে বরণ করে নেওয়াই উচিৎ। যে হারিয়ে যায় সে তো আর ফিরে আসেনা। ফুল ফুটুক আর না ফুটুক বসন্ত আসবেই। জন্মদিনের অনুষ্ঠান হউক আর না হউক বয়সতো বারবেই। বয়সকে ফ্রেমে বাধা যায় না।
জীবন কখনো স্থীর নয়। প্রতি মুহুর্তে পরিবর্তনশীল। ইচ্ছেছিল-12ই ফেব্রুয়ারী রাত 12.01 মিঃ 6তলার ছাদে যেয়ে একটা ফানুস কিনে তাতে সব দুঃখ লিখে উড়িয়ে দিতে। কিন্ত দুধের সাধ গোলে মিটানোর মত-দুইটা গ্যাস বেলুন কিনে তাতে গত বছরের সব ব্যার্থতা ও দুঃখগুলোকে-আকাশের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে পোষন করছি। তারপর 5 মিনিট নিরাবতা পালন করে-নতুন বছরকে স্বাগত জানাবো।
আমি হয়তো পৃথিবীর প্রথম আদম সন্তান যে কিনা নিজের জন্ম দিনে নিজেই উইশ করছি-
‘‘হ্যাপি বার্থডে টু রিপন”।
No comments:
Post a Comment