চিঠির আবেগ কি আর মোবাইল, ই মেইল আর মেসেজে পাওয়া যায়? একেক টি চিঠি ছিল একেক টি আবগের ডিব্বা। ছেলের কাছে বাবা মায়ের পত্র, দূর হোস্টেলে থাকা ভাইয়ের কাছে ছোট বোনের চিঠি। প্রবাসী স্বামী দেশে থাকা তার প্রিয়তমা স্ত্রীর নিকট চিঠি।এসব আবেগ কি আর যোগাযোগ প্রযুক্তি দিয়ে পাওয়া সম্ভব।
আর প্রেমপত্র র কথা কি বলব, একটি পত্র পাওয়ার জন্য প্রেমিক প্রেমিকার কি আকুলতা আর ব্যাকুলতা। অনেক প্রতিকুলতা পেরিয়ে প্রেমিক বা প্রেমিকার চিঠি পাওয়া বা চিঠি পৌছাতে পারা ছিল দিগবিজয়ী বীরের মত কাজের সমান। আহ! কত কষ্ট ছিল সেই চিঠি পাওয়া বা পাঠানো আর সংরক্ষণ করা। প্রেমিক প্রেমিকা একে অপরকে আগে থেকেই বলে রাখতো অমুক গাছতলায় বা অমুক সিঁড়ি র তলায় তমুক ইটের নীচে চিঠি রাখা থাকবে। আহাহা! কত কষ্ট, কত প্রতীক্ষা। আর এ জন্যই বোধ হয় গান লিখা হয়েছিল " চিঠি দিও প্রতিদিন "। আর মাঝে মাঝে তো রিলায়েবলল মিডিয়ার অভাবে তো চিঠি, যোগাযোগ সব অচল হয়ে যেত। আর তাই গান গাইতাম " নাই টেলিফোন,নাইরে পিয়ন,নাইরে টেলিগ্রাম, বনধুর কাছে মনের খবরর কেমনে পৌছাইতাম......... "। আবার কখনো কখনো গাইতাম " আজ তোমার চিঠি যদি না পেলাম হায়, তবে ভেবে নিব ডাক পিয়নের অসুখ হয়েছে..... "।
আজকের প্রজন্ম তোমরা কিভাবে বুঝবে আমাদের সময়কার প্রেম যোগাযোগের এত কষ্ট, এত প্রতিকুলতা। তোমাদের এখনকার যোগাযোগ প্রযুক্তি তে বেগ আছে, আবেগ নাই, রিমেক আছে বিবেক নাই।।

No comments:
Post a Comment