স্কুলে যাবার পর আমাদের ক্লাসের ক্লাস টিচার হিসেবে শ্রদ্ধেয়া মাকসুদা আপাকে পাই। আর অন্য শাখায় ছিলেন জয়শ্রী আপা।মাকসুদা আপাকে যেমন ভয় পেতাম, মনে হত এই বুঝি মারবেন। কিন্তু যতই বড় হলাম,বুঝতে পারলাম আপার আসলে কোন ছাত্রের প্রতি রাগ নেই।পড়া শেখানো র জন্য আপার এই রুপ। পড়া শিখলে আপা অনেক খুশি।আপার যেদিন মন বেশি ভাল থাকত,সেদিন মাথার একপাশে ছোট ফুল গুজে দিতেন,সেটা ঘাসফুল হোক বা অন্য কোন ফুল। আপার ছোট ছেলে সাগর ভাইও ছোটদের দেখতে পারতেন।
অন্যদিকে জয়শ্রী আপা ছিলেন খুবই শান্ত,কখনো আপাকে রাগতে দেখিনি।মারতে দেখিছি খুব কম। সবসময় যেকোন কথা সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতেন। আর আমার কাছে জিজ্ঞেস করতেন,জনি,সঞ্জু কি পড়ে না দুষ্টামি করে?
আমি বলতাম, না,আপা,পড়ে।
কারন আমি যদি বলি, সঞ্জু দুষ্টামি করে তাহলে আপা চলে যাবার পর কল্লোল আমার বারটা বাজাবে সেটা ত আপাকে বলতে পারতাম না।কলোনি ছেড়ে আসার কয়েক বছর পর আপার সাথে দেখা হয়ছিল।বদলান নি খুব একটা। ভাল মানুষেরা চাইলেও নিজেকে খুব একটা বদলাতে পারেন না।

No comments:
Post a Comment