”আমি যদি তপন চৌধুরী রে পাই তাহলে তোমারে ছেড়ে তপন রেই বিয়া করব আমি, প্রেমিকা তার প্রেমিকের উদ্দেশ্যে বলল। উত্তরে প্রেমিক বলল, তপন আমারও অসম্ভব প্রিয় গায়ক, তার কাছে স্বেচ্ছায় তোমারে তুলে দিতে পারলে আমারও কোন আপত্তি নাই”।
ওই মেয়ে তপনরে অবশ্য বিয়া করতে পারে নাই, আবার ওই পোলার সাথেও বিয়া হয় নাই। তবে উপরোক্ত সংলাপ গুলো কিন্ত পুরোপুরি সত্য। সংগীত জগতে তপন চৌধুরী কতটুকু জনপ্রিয় হলে যার কাছে নিজের প্রেমিকারেও বিয়া দিয়ে দেয়া যায়, তা বুঝাতেই এই কথা গুলো তুলে ধরা হলো।
মেলোডিয়াস সংগীতে তপন চৌধুরী তুলনাহীন এক নাম। অথচ তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে সংগীত লাইনে তার কোন শাস্ত্রীয় বা ব্যাকরন গত জ্ঞান নেই।প্রচন্ড পরিমান বিনয়ী হলেই এক জন এত বড় তারকা নিজের `সীমাবদ্ধতা এভাবে স্বীকার করে নেয়। পরে অবশ্য তিনি শাস্ত্রিয় লাইনে অনুশীলন শুরু করেন। এবং রবীন্দ্র সংগীতের এলবামও বের করেন।
তাঁর প্রতিটি গানই হৃদয়গ্রাহী। বিশেষ করে আশির দশকের “ মন শুধু মন ছুয়েছে” গান টি এখনো চির সবুজ এবং আজীবনই সবুজ থাকবে।
চট্টগ্রামের ছেলে এবং কর্মাস কলেজের ছাত্র তপন চৌধুরী একজন ফুটবলারও ছিলেন, যিনি এক সময় চট্টগ্রাম লীগেও ফুটবল খেলেছেন এবং আবাহনী ক্লাবের শুভানুধ্যায়ী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন গায়ক না হলে তিনি একজন ফুটবলার হতেন। আশির দশকের ফুটবল নিয়ে তার একটি বিখ্যাত গানও আছে।
এখনকার ধুমধারাক্কা যান্ত্রিক অসহনীয় গানের ভিড়ে, তপন চৌধুরীর মত একজন মেলোডিয়াস গায়ক খুব দরকার।

No comments:
Post a Comment