তখন আমরা অনেক ছোট। বিকালের খেলায় আমরা C-টাইপ বড় মাঠে খুব একটা সুযোগ পেতাম না। খেলতাম C-10/C-11 এর সামনে। অনেক সময় পোলাপাইন বেশী না হলে বা ইচ্ছা করে হলেও ৫:২০ এর কার্টুন দেখার জন্য খেলা মিছ করতাম। তখন তো আর এত চ্যানেলর ছড়াছড়ি ছিল না। Scooby doo, Popay, Defenders of the earth ছিল আমাদের প্রিয়। মাঠের আশে পাশে থাকলে অনেক সময় বাসায় না এসে আশে পাশের কারো বাসায় ঢুকে যেতাম। আনোয়ার (ফুটবলার) ভাই আমাদের অনেক অনেক সিনিয়র ছিলেন। শিপন (সম্ভবত) মাঝে মাঝে উনাদের বাসায় কার্টুন দেখত। এই রকম একদিন শিপনই মনে হয় বলল চল আনোয়ার ভাইদের বাসায় গিয়ে দেখি। আমি, ডালিম, ভুতের ডিম বাবু,মনিরুল অনেক দিনই বিকালের কার্টুনটা উনাদের বাসায় (C-6-A) দেখছি। আনোয়ার ভাই অবশ্য বাসায় থাকতেন না। দরজা খুলে দিতেন নাজমা আপা ( নাম ঠীক বললাম তো?)। আমরা বলতাম, আপা আমরা একটু কার্টুন……। আপা টিভি ছেড়ে দিতেন।
নেভী কলোনীর সাথে আমাদের ক্রিকেট খেলা হত। আমরা প্রায়ই হারতাম (হা হা হা) । এমন এক খেলায় আমরা দর্শক হিসাবে হৈ হৈ করে গেলাম। নেভী এক নং কলোনী। যথারীতি আমাদের হারার দশা। বাবু ভাই (ইকবাল/স্বপন ভাইয়ের ছোট) বাউনডারিতে লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দিলেন। আমরা হায় হায় করে উঠলাম। সবার মন খারাপ। ঘটনা সেটা না। ঘটনা হল…….নেভী স্কুলের সামনে সাজান বাগানের মাঝে লাল গোলাপটা হঠাৎ গায়েব হয়ে গেল। দারোয়ান আমাদের উপর উত্তেজিত। যতই আমরা বলি আমরা না, বেটা ততই আমাদের দিকে তেড়ে আসে। আমাদের সাথে ছিলেন আনোয়ার ভাই। উনার হাতে ব্যাট। আনোয়ার ভাই হুংকার ছাড়লেন, ওই……। ঘটনা বেশী দুর আগায়নি অবশ্য। আমরা বললাম, আমরা কি চলে যাব? আনোয়ার ভাই বললেন, না, যাবার দরকার নাই। তোরা বিল্ডিংয়ের কোনায় কোনায় গিয়ে লুকিয়ে থাক। সেই খেলায় ফলাফল ঠিক মনে নাই।
(লেখাটা আগেই লিখতাম। সময় ও সুযোগের অভাবে দেরি হয়ে গেল)
No comments:
Post a Comment