গতকাল রিপনের বাবার জন্মদিন ছিল। সে কারনে বাবাকে নিয়ে তার লেখাটা পড়ে ভালো লেগেছে। সেই সাথে শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায় মনটা আপ্লুত হয়েছে ষ্টিল মিলের অনেক বাবার জন্য যারা নিজের সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য নিজেরা ঘাম ঝরিয়েছেন, স্বীয় মর্যাদাকে বিসর্জন দিয়েছেন।।
কল কারখানার চাকরী এমনিতেই কায়িক শ্রম নির্ভর। তার মধ্যে ষ্টিলমিলের চাকরীটা একেবারেই ভিন্ন প্রকৃতির ( বিশেষ করে তখনকার প্রযুক্তির বিচারে) ।
মেল্টিং সোপ, বার মিল, ব্লুমিং মিল, হেভী প্লেট মিল এসব জায়গায় চাকরী করাটা ভীষন কষ্ট সাধ্য ছিল -যা আমরা সবাই জানি। সংসারে একটু সাছ্বন্দ আনতে, ছেলেমেয়েদের বাড়তি একটু বায়না মেটাতে তারা এসব জায়গার তপ্ত পরিবেশে ঘাম ঝরিয়ে ওভারটাইম করেছেন। এমনকি ওভারটাইমের নেশায় অনেক বাবার আয়ুষ্কাল সংকুচিত হয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের ভালো রাখতে, সাছবন্দে রাখতে বাবারা নিজেদের পদোন্নতির সুযোগকে ইছছাকৃতভাবে ফরগু করে নিজের মর্যাদাকে বিসর্জন দিয়েছেন।
রিপনের বাবা, বোরহানের বাবা - এমন অনেক বাবার প্রতি তাই আমার বিশেষ শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতা।
এমন বাবার সন্তান হওয়া গৌরবের।
এমন বাবাদের গায়ে ঘামের গন্ধ থাকে না।
থাকে ঘামের সৌরভ। আর সেই সৌরভে সুরভিত হয় আমাদের চারপাশ !!
No comments:
Post a Comment