ছাত্রী পড়াতে পড়াতে এক ফাকে ভাবলাম যে গ্রান্ড আড্ডা নিয়ে পোস্ট দেই।মোটামুটি সবাই আড্ডা নিয়ে পোস্ট দিয়ে ফেলেছেন।কিন্তু আমি আগেই ভেবে রেখেছিলাম যে আমি ২৯ ফ্রেব্রুয়ারি পোস্টটি দিব।আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করি।আশা করি কেউ বিরক্ত হবেন না।
যে কোনো অনুষ্ঠান হওয়ার পাচদিন আগে থেকেই আমার মাথায় ঘুরতে থাকে যে অনুষ্ঠানে কি পড়বো না পড়বো।গ্রান্ড আড্ডার একমাস আগে থেকেই বোনের সাথে জামাকাপড় কি পড়বো তা ঠিক করলাম।মহা উৎসাহে নতুন কাপড় চোপড় বানালাম।এরপর একদিন শুনি ট্রেনের টিকেটও হয়ে গেছে।নেত্রকোনা থেকে ঊর্মি খালামণি চলে আসলো, ছোট খালাও যাওয়ার আগে রাতে বাসায় এসে পড়লো।হাসাহাসি-হৈ হুল্লোড় চলছেই।সবাই খুব উত্তেজিত চিটাগাং যাব, আড্ডায় যাব। পরের দিন সকালে মানে ২৮ জানুয়ারি সকালে ঘুম থেকে উঠেই রওনা দিলাম।প্রতি সেকেন্ডে উত্তেজনা বাড়ছিল।শেষ পর্যন্ত গিয়ে উঠলাম ট্রেনে।কিছুক্ষণের মধ্যে ট্রেন ছেড়ে দিল।
ইনান,আমি,নুজাইমা,ঊর্মি খালামণি বাচ্চাদের মত "হিপ হিপ হুররে" বলে চিৎকার করে উঠলাম।ট্রেনে আমাদের ঠিক পাশের সিটে ট্রলি মামারা এসে বসলেন। এয়ারপোর্ট স্টেশন থেকে উনারা ট্রেনে উঠেছেন।মামাকে ঢুকতে দেখেই আমি আর ইনান "ট্রলি মামা" বলে চিৎকার দিয়ে উঠলাম।মামা-মামীও আমাদের দেখে খুশি হয়ে গেলেন।এরপর আমাদের আনন্দ দেখে কে?? সারা রাস্তা হাসাহাসি করে পার করলাম।রিপন মামাদের সাথে দেখা হল।আরো দেখা হলো বিথী খালামণির সাথে।সেই ফটোসেশন চললো কিছুক্ষণ। দুনিয়ার কত কিছুই না দেখলাম সেই কয়েক ঘন্টার জার্নিতে। গান গাওয়া ফকির,কানা ফকির(আসলে দেখতে পায়),হিজড়া,জ্বীনের বাদশা আরো কত কি। ট্রলি মামা একনাগাড়ে হাসিয়ে যাচ্ছিলেন আমাদের।শেষমেশ গিয়ে চিটাগাং পৌঁছলাম দুপুর ২:৩০ টায়। আমরা তখন চলে গেলাম হোটেলে।ট্রলি মামারাও চলে গেলেন। হোটেলে যেয়েই খেয়ে দেয়ে ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে রেডি হয়ে গেলাম।আড্ডার ভেন্যুতে যাব বলে।এরপর সন্ধ্যায় বের হলাম।বেশ অনেকটা রাস্তা।
শেষ পর্যন্ত পৌছালাম আড্ডার ভেন্যুতে।সেই কী উত্তেজনা আমাদের। এত সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে জায়গাটা যে চোখ সরাতে পারছিলামনা। ভিতরে ঢুকতেই দেখি অনেক মামারা দাঁড়ানো। সবার সাথে গিয়ে কথা বললাম,পরিচিত হলাম অনেক মামাদের সাথে।কমু মামা আর সুজন মামার তখনো দেখা নেই।শুনলাম সুজন মামা কাজে গেছে আর কমু মামা বাজারে।হঠাৎ দেখি ঊর্মি খালামণি,রাজিব মামা,রিনা খালামণি,সাগর মামা,সামি মামা সবাই অডিটোরিয়াম যায় গিফট প্যাকেট করতে।পিছে পিছে আমি আর ইনানও গেলাম।সেইখানে চললো আরেক দফা হাসাহাসি।এরপর এলো পিংকি খালামণি, খালু, নানু আর বাবুরাও।সব মিলে মজা করলাম।এরপর এলো জাবেদ মামা।হঠাৎ দেখি সুজন মামা আসলো। এসেই আমাদের তিন বোনকে নিয়ে দুষ্টামি শুরু করে দিল।
আর আমরা শুরু করলাম মামাকে পচানো।তার কিছুক্ষণ পর এলো কমু মামা।আমরা মামাকে দেখেই দৌড়ে গেলাম।মামা আমাদের তিন বোনকে জড়িয়ে ধরলো। এরপর শুরু হলো আমাদের ফটোসেশন। সবাই মিলে ছবি তুললাম।এরপর চললো ভেন্যুর পাশেই চা-বিস্কুট খাওয়া।প্রায় ২৫-৩০ জন চা খেলাম।চা খেতে খেতে কথা হলো রুমি ভাই আর জোনায়েদ ভাইয়ের সাথে।এরপর গেলাম খাবার রান্নার জায়গায়। দেখলাম আমাদের সবার জন্য রান্না হচ্ছে-মুরগীর মাংস আর ভাত।সবাই মিলে এত মজা করে আকাশের নীচে বসে খেলাম।জীবনে কোনোদিন কোনো বেলার খাবার এত মজা নিয়ে খাইনি।রাত বেশী হয়ে গিয়েছিল দেখে খেয়েই হোটেলে ফেরত গেলাম সবার থেকে বিদায় নিয়ে।
বাকীটা পর্ব-২ এ লিখছি।
সাথেই থাকুন। tongue emoticon
No comments:
Post a Comment