"গ্র্যান্ড আড্ডার" আজ এক মাস পূর্ণ হল।সবাই স্মৃতিচারন নিয়ে ব্যস্থ।এ কথা সত্য যে সুজনের পরিসংখ্যানটা প্রকাশিত হওয়ার পর CSM এর লেখকদের লেখার মাত্রা পূর্বের চেয়ে বেড়ে গেছে।এটা অবশ্যই শুভ লক্ষণ।এজন্য সুজন ধন্যবাদ পাওয়ার দাবী রাখে।
পারিবারিক একটা ঝামেলায় ছিলাম বলে আড্ডায় এটেন্ট করতে পারব বলে ভাবিনি।এজন্য আড্ডা নিয়ে আগ্রহ থাকলে ও ছিলাম নিরুত্তাপ।এদিকে বাচ্চারা শোনার পর থেকে যাওয়ার জন্য অস্থির,বিশেষ করে সে কারণেই আমার বউ (ফরিদা ৯৬ ব্যাচ) আমাকে না জানিয়ে আড্ডার কুপন সংগ্রহ করে।তাদের মধ্যে আড্ডা নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্লেুন প্রোগ্রাম ও চলছে।আড্ডায় যাচ্চি না কিন্তুু কোনদিন কোথায় কি হচ্চে সবই খবর রাখছি ফেবুর সুবাদে।এর মধ্য বউ দু একবার নক করেছে আড্ডায় যাওয়া নিয়ে।অবশেষে তাকে আশ্বস্থ করলাম-দেখা যাক,সময় আসুক, এই বলে।
২৯শে জানুয়ারী ২০১৬,অবশেষে আসল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। অন্যদিন বাচ্চারা দেরীতে উঠলে ও তারা আজ বেশ ভোরে উঠেছে।সাধারণত ঈদের দিনে এমনটা হয়ে থাকে।আগের রাত্রে আমার দু'কন্যা মিলে মেহেদী লাাগিয়েছে।অবশেষে সকাল ১০ টার দিকে অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হলাম।গিয়ে দেখি এরা তো এখানে এলাহীকান্ড করে ফেলেছে।বিচিত্র সাজে সজ্জিত করছে অনুষ্ঠানস্থল।এরপর শুরু হল পরিচিতি পর্ব, কোলাকুলি ইত্যাদি।আবার যারা অনুষ্ঠান নিয়ে সক্রিয় ছিল, তাদের ব্যস্থতা দেখে ইচ্ছা থাকা সত্বে ও অনেকের সাথে হাই হ্যালু কোলাকুলি হয়নি।সকাল থেকে রাত অবধি অনুষ্ঠানস্থলে ছিলাম,আজ বাচ্চারা ও কোন ট্রাবল করেনি এনজয় করছে অনেক বেশী।অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল সন্ধ্যায় সবার অংশগ্রহণে ঝাকানাকা নাচ।যেখানে অংশ গ্রহণ ছিল সব বয়সের স্টীলারদের।ভাল লেগেছে অনেক, সত্যি অনেক মিস করতাম যদি অনুষ্ঠানে এটেন্ট না করতাম।
সুজনের পরিসংখ্যানে আমার/আমাদের নাম নেই,থাকার কথা ও না।নামের জন্য লিখি ও না।কারণ আমি/আমরা হলাম অতিথি লেখকের মত।বিচ্চিন্ন লেখালেখি,অগোছালো কথাবার্তার সমাবেশ,সবমিলে হ য ব র ল অবস্থা।
পরিশেষে "গ্র্যান্ড আড্ডা"র কলাকুশলীরা যারা দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই অনুষ্ঠানটিকে সুন্দর ও সাবলীল ভাবে সম্পন্ন করেছেন তাতে আমরা আপনাদের কাছে বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ।
No comments:
Post a Comment