সবাই লিখতাছে আমি জানি আমার লিখা লাইন বেলাই নাই তাও মনে ঝোঁকে লিখতে বসে গেলাম, কারণ আমরা তো আমরাই,চিটাগাং যাবো না যাবো এই টেনশন ছিল অনেক দিন আমাদের 29গ্রুপ এর বিভিন্ন সদস্য কেউ ঢাকা কেউ চিটাগাং কেউ কেউ বিভিন্ন জোলায়, ফোনে সবার সাথে যোগাযোগ হয় মাঝে মাঝে কারো সাথে কচিৎ দেখাও হয়,আডডা ঘোষনা হওয়ার পর থেকে আমি মোটামুটি সবার সাথে ফোনে যোগাযোগ রাখতাম এই ব্যাপারে,মাছুম, জুয়েল,লিটন,বুড়া মিয়া,রিমন,মরা রাশেদ,জিমি রাশেদ,দুলি,ইউনুস,তপু,ভুতের ডিম,আর আতিক তো আছে,কে যাবে কে যাবে না এই সব আলাপ হত সবচেয়ে বেশি,লিটন পা ভেঙে বিছানা অনেক দিন, সবচেয়ে বেশি কথা হতো লিটন এর সাথে তার পা এর খবর নিতে পা ভালো তো লিটন যাবো, মোটামুটি সবাই যাবে,আডডা সময় ঘনিয়ে আসার কিছুূদিন আগে লিটন কে বলি তুই না গেলে আমিও যাবোনা,লিটন আবার এটা আতিককে বলে দেয়,আতিক আমাকে ফোন করে বলে তোকে যেতে হবে তোর সব খরচ আমার তখন আমি আতিক কে বলি এটা খরচ এর ব্যাপার না, আতিক কোন কথা শুনতে রাজি না,আতিক আমার কুপন নিয়ে আমাকে ফোন করে বলে তোর কুপন নেয়া হয়েছে তুই কি ভাবে যাবি জানা একসাথে যাবি না একলা যাবি আমাকে জানা, আমি আতিককে বলি আমি একলা যাবো রাতে যাবো সকালে পোছবো,লিটন এর পা ভালো হয় নি সে এই পা নিয়ে যেতে পারবে না, জুয়েলও যাবে না, আগের দিন রাতে মাছুম কে ফোন দিলাম মাছুম ব্যাবসার কাজে ঢাকার বাহিরে মনটা খারাপ হয়ে গেলো,২৮তারিখ রাতে কল্যাণপুর থেকে গাড়িতে উঠলাম আর সারারাত চিন্তা করতে করতে গেলাম কার সাথে দেখা হবে কেমন অনূভুতি হবে গাড়িতে রাতে এক ফোটাও ঘুম হয়নি,রাতে জিমি রাশেদ কয়েক বার ফোন দিয়ে বলছে সকালে যেন সোজা তার বাসায় হাজির হই তারপর দুজনে একসাথে ভ্যেনু তে যাবে,যাক অবশেষে সকাল ৬টায় আমার জন্মভুমিতে নেমে একটা সি এন জি নিয়ে সোজা গেইটে হাজির গেইটে ডুকার মুখে দেখি রাজিব ফ্রেস হতে বাসায় যাচেছ,জানতে চাইলাম ভিতরে কে কে আছে রাজিব বলে মাসুক ভাই আছে,ভিতরে ঢুকতাছি আর মনটা পুলকিত অনুভব করতাসি আরে এটা তো পুরা আমাদের কলোনী, হাটতে হাটতে সোজা চুলার কাছে দেখি মাসুক ভাই রান্নার তদকারি করছে, আমাকে দেখে সোজা বুকে নিয়ে যতারীতি কোলাকুলি তারপর সব খবরাখবর জানলো,নিজে এসে ওয়াশ রুম দেখিয়ে দিল,ওয়াশ রুম থেকে বাহির হয়ে একলা একলা ঘুরাঘুরি করতে দেখি আস্তে আস্তে একজন একজন করে পরিচিত মুখ ঢুকতাসে আমি তো সোজা গেইটের সামনে ১১টা পযন্ত, কিন্তু আমাদের 29গ্রপ এর কেউ এসে পৌয়াছনি,একমাএ ছোটকালে খেলার সাথী আানু সবসময় আমর পাশেই ছিল,১১পর থেকে পুরা কলোনী জমজমাট হয়ে গেলো এতো মানুষ, সবচেয়ে মজার লাগলো ডালিম কে দেখে দেখি হুজুর ডালিম বাশিঁ নিয়ে পুরা কলোনী ঘুরতাছে, সময় কি ভাবে কেটে যাচেছ রোর পেলাম বিকালে আবার রাতে ঢাকায় ফিরবো তাই মরা রাশেদ কে নিয়ে টিকেট নিয়া আসলাম তারপর আর,,,,, ,,,,,
আমাদের এই গ্রুপ টা হচ্ছে আমাদের কলোনীর মিলন মেলা, প্রাণের স্পন্দন, আমাদের সুখ দু:খ, প্রেম ভালোবাসা, হাসি আনন্দ, মজার সব অভিজ্ঞতা একে অপরের সাথে শেয়ার করার মাধ্যম। তবে এসব শেয়ার করতে গিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোন নেগেটিভ বিষয়ে, বা কারও কোন দুর্বল বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে যেন সরাসরি কারো নাম প্রকাশ না পায়, আমরা কারো নাম দিয়ে এমন কিছু প্রকাশ করবনা যাতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিব্রত হয়, আমাদের জুনিয়র সিনিয়র সকলের অনুভূতি ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখব। অশ্লীল যেকোন কিছু পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকব।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment