পাঁচ বছর পর মিরপুর স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলা দেখতে ঢুকলাম, সেই ২০১১ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর গতকাল গেলাম, এর মাঝে অনেক গুলো ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হলেও কোনবার যাইনি, অথচ বাসা ষ্টেডিযামের কাছেই এবং প্রতিবারই অফিস থেকে টিকেটের ব্যাবস্থা থাকে (পুরা মাগনা ।)। এ বার গেলাম, বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে, সংগে আরো দুজন কলিগ। গেটের কাছাকাছি আসতেই নিজেরে সেলিব্রেটি মনে হলো , প্রথমে ষ্টার স্পোটর্স চ্যানেল তাদের বুম ও ক্যামেরা ধরল , জানতে চাইল বাংলাদেশ ফাইনালে খেলছে এর প্রতিক্রিয়া, গতানুতিক উত্তর দিলাম, এরপর আসল ইন্ডিপেনডেন্ট ও এসএ টিভি তারা জানতে চাইল টিকেট পেতে কোন সমস্যা হয়েছে কিনা। এই কথার কোন উত্তর দিলাম না (মানুষ যেখানে কষ্ট করে দিন রাত লাইনে দাড়িয়ে ২৫০ টাকার টিকেট ২৫০০ টাকা দিয়ে কিনে খেলা দেখতে যায়, সেখানে আমি অফিসের কল্যানে ফ্রি তে ভিআইপি গ্যালারিতে খেলা দেখি, স্বাভাভিক ভাবেই তখন তো নিজেরে অপরাধী লাগে, আর এ জন্য জবান বন্ধ থাকে।)। এর পরতো ঝড় তুফান, বাংলাদেশের হার আর আশেপাশে সুন্দরী ললনা। রাত সাড়ে বারোটার দিকে হেটে হেটে বাসায় ফিরলাম।
আচ্ছা গতকালের খেলাটা চলুন না একটু কলোনী তে গিয়ে দেখে আসি-----------
খেলা শুরু হতে ৯.৩০ বাজবে, তাই আমরা ওয়ারকারস ক্লাব থেকে বের হয়ে এদিক সেদিক হাটাহাটি করছি, ঢাকায় বৃষ্টি হলেও আমাদের চট্টগ্রামে বৃষ্টি নেই। আর আমি এই ফাঁকে একটু রোমান্সও সেরে ফেললাম। রাত নয়টা বাজে আবার ওয়ার্কারস ক্লাবে সবাই হাজির। বাংলাদেশ টসে হেরে ব্যাটিং এ , মনকে সান্তনা দিলাম টস হেরেছি কিন্তু ম্যাচ জিতব। মোকাদ্দেস আর ইউনুস ক্লাব গরম করে রেখেছে তাদের স্বভাব সুলভ চিৎকার চেচামেচিতে। যাক বাংলাদেশ ১৫ ওভারে ১২০ করেছে , মোটামুটি ফাইটিং স্কোর , কিন্ত না, পারিনি আমরা। আশা ভংগের বেদনা নিয়ে ক্লাব থেকে ইউনুসের দোকানে ধুয়া তৈরী আর খেলা নিয়ে বিশ্লেষন ধর্মী আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরলাম রাত দেড়টায়। আশা ভংগের বেদনা রয়েছে কিন্তু হতাশ হইনি, একদিন না একদিন চ্যাম্পিয়ন আমরা হবই। সকালে ট্যাংকীর শীর্ষে লাগানো লাল সবুজ পতাকা টা পতপত করে উড়ছে।
আমি জানি কলোনী নিয়ে এভাবে চিন্তা করা অলীক কল্পনা, কিন্তু বাংলাদেশ একদিন কোন একটি আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতবে এটি মোটেও অলীক কল্পনা নয়।
আমি একজন আশাবাদী মানুষ। যদিও অনেক আশাতে হোচট খেয়েছি, কিন্তু আশা ছাড়িনি কখনও।
No comments:
Post a Comment