Monday, August 31, 2015

CSM Colony

- Mahabub Rasel

১) কলোনী গেট।
২) B Type বিল্ডিং ও খেলার মাঠ।
৩) ষ্টীল মিলস মেইন অফিস।
৪) ষ্টীল মিলস মেইন গেট।
৫) শহীদ মিনার ।



৬) জেক্স।

“ Cricketer আব্দুর রাজ্জাক “


তখন বাংলাদেশ খেলতো না, পাকিস্তানের চরম সাপোটার আমরা, প্রায় সময় দল বেধে পাকিস্তানের খেলা দেখতাম, বেশীরভাগ সময় দেখতাম সোহেলের বাসায়, একদিন আমি, রবিন, সামির, রিপু, হিমেল, সোহেল আরো কয়েকজন মিলে সোহেল এর বাসায় পাকিস্তানের খেলা দেখতেছি। ( সাব স্টেশনের পাশের বিল্ডিংটা D -…….. ) সোহেলের আব্বাও খেলা দেখতেছেন আমাদের সাথে । চরম উত্তেজনা, ইন্ডিয়ার ব্যাটসম্যানরা পাকিস্তানের বোলার আব্দুর রাজ্জাক যখনই বল করতে আসে তুলাধুনা করতেছে ।

সময়টা ছিল ১৯৯৭-৯৮



সময়টা ছিল ১৯৯৭-৯৮ , আমাদের কলেজ জীবন।।খুব ভোরে ভোরে উঠতাম। আমি , রাজন , সুমন আর লিটন মিলে ২টি সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম।।উদ্দেশ্য নেভাল বিচ অথবা সী বীচ। একটি সাইকেল ছিলো সুমন এর আরেকটি রাজনের।একজন সাইকেল চালাতো আরেকজন পিছনে বসে থাকত । কাঠগড় পার হওয়ার পর রাস্তায় পড়ে থাকা ক্যান লাথি মারতে মারতে একজন থেকে আরেকজন পাস খেলতে খেলতে আমারা আমাদের গন্তব্য নেভাল বিচ এ পৌঁছে যেতাম।সমুদ্রের বাতাসে গা এলিয়ে দেওয়া, বড় বড় পাথরে শুয়ে থাকা,আবার মাঝে মাঝে বিচের পানিতে গোসল করা।।এভাবে চলত ৭টা পর্যন্ত ।এবার ফেরার পালা।আবার সেই ক্যান খোঁজা, আবার ফুটবল খেলতে খেলতে কাটগড় আসা।।দেরি হচ্ছে মনে হলে সাইকেল চালিয়ে দ্রুত চলে আসা অথবা গার্মেন্টস এর খালি বাসে চড়ে বসা।তবে বিতর্ক আছে এই নিয়ে ক্যান দিয়ে ফুটবল খেলতে খেলতে নাকি দ্রুত আসা যায়(অবশ্য কাঠগড় থেকে বিচ পর্যন্ত রাস্তা তেই কেবল ক্যান নিয়ে খেলতে খেলতে যাওয়া প্রযেজ্য)।সময় থাকলে হোটেল এ নাস্তা করা।।বাসায় ফিরে কলেজ এর জন্য তৈরী হয়ে দ্রুত কলেজ বাস ধরা।।হুম কলেজ বাস করে কলেজ যাওয়া ,আরেক রোমাঞ্চের শুরু এখানেই।।

“ ঘুড়ি ও মাঞ্জা “


ঘুড়ি উড়ানোর কথা কেউ বলছেনা কেন ? কলোনির থাকা অবস্থায় অগণিত Exciting কাজের মধ্যে ঘুড়ি উড়ানোটা প্রথম দিকেই থাকবে

আমার মনে আছে, আমি ১ম ঘুড়ি কিনেছিলাম আব্দুল ভাইয়ের দোকান থেকে, তখন কেন যেন আমি ঘুড়ি উড়াতে চাইলেও বদ ঘুড়ি উড়তো না, তখন বড় ভাইদেরকে বলতাম ভাই একটু ঘুড়িটা উড়িয়ে অনেক উপরে তুলে দেন, তারা উড়িয়ে ঘুড়ি উপরে তুলে দিতেন এরপর আমি নাটাই ধরে বসে থাকতাম, আমার কোন ভুমিকা নাই, আমার ঘুড়ি উড়তেছে,আমি হাতে নাটাই নিয়ে ঘুড়ির দিকে তাকিয়ে আছি, বাহ্ ... দারুন মজা কয়েকদিন পরে অবশ্য আমার হাতেও ভালোই উড়তো ঘুড়ি

Sunday, August 30, 2015

টুকরো টাকরা এলোমেলো কিছু ..........................


কলোনী তে যখন প্রথম আসলাম, নিজের যেনো একটি পৃথিবী খুজে পেলাম, নিয়ন্ত্রনের মধ্যে বাঁধন হারা উচ্ছাস আর আনন্দে শৈশব চলতে থাকলো, ডাব গাছ, আম গাছ সম্পর্কে ব্যাপক ঞ্জান অর্জন শুরু হোল। এর মধ্যে কখন যেনো রোমিও হয়ে গেলাম টের ও পাইনি, বিশাল ভাবে আছি তখন। সিগারেট খেয়েছি কেনো এজন্য জুলিয়েটের ছলছল চোখে অভিমান। নিজেকে দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হলো, যাক একজন বিশেষ কেউ আমার জন্য ছলছল চোখে থাকে,তখন আমির খানের যুগ চলছে, আহ! নিজেকে আমির খান না হোক অন্তত আতিক খান মনে হচ্ছে। এর মধ্যে ৯১ এর ঘূর্নিঝড় তান্ডবে পুরো চট্টগ্রামের পাশাপাশি কলোনীর অবস্থা শোচনীয়, কিন্ত কলোনী বাসীর দুরন্ত মনোবল ও ‍দুর্দান্ত হিউমারে সকল দুর্যোগ কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক অবস্থা। মেট্রিক পাশ করে নিজেদের আমি কি হনুরে একটা ভাব। আর রোমান্টিক মৌসুমের কারনে বন্ধু Riman Babu র বাসায় টেলিফোন রোমান্স চলছে আর হিন্দি রোমানটিক সিনেমা মুখস্থ করছি। রোমিও জুলিয়েটের রোমান্স তখন আস্তে আস্তে কলোনীর বাইরেও যাওয়া শুরু করল।

Saturday, August 29, 2015

খতম তারাবী ও লুঙ্গি সমাচার


তখন সবে হাফ-প্যান্ট ছেড়ে লুঙ্গি পড়া শুরু করেছি।থাকি চট্টগ্রাম ষ্টিল মিল কলোনীতে। প্রথম প্রথম একটা ভাব নিয়ে চলতে লাগলাম। যাক এতো দিনে বড় (সিয়ানা) হয়েছি। কিন্তু কিছু দিন যেতেই সিয়ানা হওয়ার বিড়ম্বনায় আমাদের যা-তা অবস্থা। কোন দিন ঘুম থেকে উঠে দেখি কোমরের লুঙ্গি গলায় পেঁচানো। আবার কোন কোন দিন লুঙ্গি খাটের নিচ থেকে কুড়িয়ে পড়তে হয়। সমবয়সিদের মাঝে এ নিয়ে দুষ্টামী আর হাসা-হাসির অন্ত নেই। তখনো ঠিক মত লুঙ্গি বাঁধতে শিখিনি। দেখা গেল সবাই মিলে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছি---এর মধ্যে কারো লুঙ্গি আস্তে করে খুলে পড়ে যাচ্ছে। তার কো--ন খবর নেই। সর্তক করতে করতে লুঙ্গি ততক্ষনে হাটুর নিচে। বেচার লজ্জায় আধ-মরা। এর উপর আমাদের নতুন আবিস্কার হঠাৎ টানদিলে লুঙ্গি পড়ে যায়।তখন আমরা ঘন ঘন আবিস্কার চর্চা করছি আর ভিকটিম লুঙ্গি সামলাতে সামলাতে বজ্জাত লুঙ্গি-কুলঙ্গার ততক্ষণে পগার পার।এই বেলায় সবাই সতর্ক হই। পুনরায় ফেলে দেয়া হাফ প্যান্ট পড়ে, উপরে লুঙ্গি পড়া শুরু করলাম।

বেচারা রিমন

- Reajul Islam Shahin


বেচারা রিমন--------------অামার অতি পরিচিত ও অামার বনধুর ছোট ভাই, দেখতে নাদুস নুদুস ও নিরিহ টাইপের, কিনতু সমস্যা হল ২৯group সদস্য অাতিক তার লেখনির মাধ্যমে বারবার রিমনের উপর পারিবারিক নির্যাতনের কথা বলেছে, অামার কথা এ নির্যাতনের khetra বা পথ কারা তৈরি করেছে তা অাতিকের লেখনি পড়লে বুজা যাবে, অামি এর বিচার চাই।
অাসামী -----------

Cricket Match: April 29 (C) Vs Batch 96


বড় মাঠে ক্রিকেট ম্যাচ হচ্ছে। সেমি ফাইনাল খেলা। আমি ছিলাম এপ্রিল ২৯ (সি) এর ১২ তম খেলোয়াড়। আমাদের টিম ক্যাপ্টেন ছিল মাসুম ভাই আর ৯৬ এর টিম ক্যাপ্টেন ছিল সুমন ভাই। কিন্তু মোটা বাবু ভাই ৯৬ এর হয়ে খেলছিল। ২৯ এর ওপেনিং ব্যাটসম্যান ছিল ৯৩ ব্যাচ (BH-1) এর সুমন ভাই। কিন্তু সেইদিন উনি অনুপস্থিত ছিল। কি কারনে জানি খেলতে পারেন নাই। ২৯ এর সবাই মিলে আমাকে খেলতে বলল। আমিও রাজি হয়ে গেলাম। তাও আবার ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে। টস এ জিতে ২৯ ব্যাটিং নিল। তুমুল প্রতিদন্দিতায় খেলা চলছিল। যখন আমার ব্যক্তিগত রান ছিল ৩৯ তখন মোটা বাবু ভাই বোলিং করতে আসল। মোটা বাবু ভাই এর ১ম বলে আমি একটা সিক্স মারলাম কিন্তু boundary তে ক্যাচ ধরা হল। শুরু হল ক্যাচ নিয়ে তর্ক বিতর্ক। এক গ্রুপ বলছে আউট আর অন্য গ্রুপ বলছে সিক্স। umpire রা সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না। আমি মাঠের মাঝখানে দাড়াই ছিলাম। এক পর্যায় অবস্থা মারামারি পর্যন্ত গড়াতে লাগল।

“পরীক্ষা “



স্কুলের পরীক্ষার সময়ের দৃশ্যগুলো মনে আসলে এখনো হাসি আসে । পরীক্ষার সময় ক্লাসে ঢুকলেই দেখতাম, বড় ছোট ভেদাভেদ নাই, সব দেয়ালে লিখে সাদা দেয়াল নিউজপেপার এর মত কালো করে ফেলেছে !!! আর কয়েকজন বেঞ্চে লিখার জায়গা নাই, তাই বেঞ্চের উপরে বসে লোহার স্কেল দিয়ে কাঠ মিস্ত্রির মত মনোযোগ সহকারে বেঞ্চ ছেঁচে সাদা করছে নতুন করে লিখার জন্য । স্কুল এর বাহিরের কেউ যদি এই অবস্থায় ক্লাসরুমে আসতো তাহলে বোধহয় এইটাই ভাবতো, “ বাহ পোলাপাইনগুলো কত্ত ভালো, নিজের গরজে দেয়াল আর বেঞ্চ এর মেরামত করতেছে “ হা হা হা



Friday, August 28, 2015

আমাদের হক স্যার


গত ১৪ ফেব্রু/১৫ তারিখে আমার টাইম লাইনে হক স্যারকে নিয়ে দু’অংশে স্মৃতি চরণ করে ছিলাম।ভাবলাম কখন কি হয় ততো বলা যায় না ।তাই হুবহু সে দু’অংশকে একত্র করে csm colony পেইজে জমা দিয়ে রাখলাম।
----------------------------------------------------------------------
আমাদের হক স্যার

হঠাৎ করেই বিখ্যাত কিছু ব্যক্তির আত্মজীবনিমূলক বই হাতে এসে পড়লো। বই গুলির পৃষ্টা উল্টাতে উল্টাতে মনে হলো বইয়ের কথাগুলো আগে অনেক বার পড়েছি। কিছুতেই মনে করতে পারছিলাম না । এ সময়ে অকস্মাৎ মনে পড়লো আমদের ষ্টিল মিল হাই স্কুলের হক স্যরের কথা। স্যারের পুরো নাম ছিল ওবায়দুল হক। আমাদের মাঝে স্যারের আরেকটা নাম ছিল—‘কম্বল স্যার’। অনেক দিন আগে—‘আমি তো কম্বল ছাড়িয়া দিয়াছি কিন্তু কম্বল তো আমাকে ছাড়ে না’—প্রসিদ্ধ এ গল্পটি শোনানোর পর তিনিও ‘কম্বল স্যার’ নামে ছাত্রদের মাঝে প্রসিদ্ধ হয়ে যান।স্যার ছিলেন ছোট-খাট শরীরের মানুষ। দারুন ভলিবল খেলতে পারতেন। বাড়ী স্বন্দীপ । সেখানকার আঞ্চলিক টানে কথা বলতেন।অসম্ভব একরোখা,স্পষ্টবাদী,ণীতিবান সাহসী মানুষ।তার মুখ থেকেই শুনে ছিলাম এ সব কথা। তিনি চোখ বন্ধ করে অনর্গল বলে যেতেন ভারত ভাগ, প:পাকিস্থানিদের বৈশম্যমূলক আচরণ, দেশের স্বাধীনতা এবং এর পরবর্তি অবস্থা। সাথে আরো অনেক কিছু।যার আগা মাথা তেমন একটা বুঝতাম না।

“ প্যাঁড়া “


কলোনি থাকাকালীন সময় সবচেয়ে প্যাঁড়া ছিল স্কুল এর পরীক্ষা, এর চেয়েও প্যাঁড়া ছিলো পরীক্ষার পরে খাতা দেওয়া, খাতা বাসায় নিয়ে যাওয়া, খাতায় বাবার স্বাক্ষর নিয়ে আসা, উফ ……, নাম্বার ভালো হলে বাসায় খাতা দেখাতাম আর খারাপ হলে খাতা ব্যাগ এর মধ্যেই থাকতো প্রতিদিন বাসায় জেরার সম্মুখীন হতে হতো আজকে কোন খাতা দিছে কিনা

একদিন মালেক স্যার তার সাবজেক্ট এর খাতা দিলেন , নিয়ম মত বাসায় দেখিয়ে বাবার স্বাক্ষর নিয়ে আসতে হবে, খুবই খারাপ অবস্থা, বাসায় দেখালে মাইর একটাও মাটিতে পরবে না কি আর করা, খাতা দিন ব্যগ এর মধ্যে রেখে দিলাম, পরে আম্মুর স্বাক্ষর নিজেই মেরে দিয়ে স্যারকে জমা দিলাম

Thursday, August 27, 2015

"BBC of CSM"

- Mahabub Rasel

আমাদের কলোনির BBC, ইউনুস ভাই এর একটা ব্যাপার ছিল কিছুটা confusing, ইউনুস ভাই এর দোকান থেকে বাকিতে প্রচুর এইটা সেইটা খেতাম, ৫ টাকা, ১০ টাকা, ১৫ টাকা করে অনেক সময় ৯০০/১০০০ বা এর চেয়েও বেশী হয়ে যেত, কিছু দিয়ে কমাতাম আবার যা বাকি থাকতো সেখান থেকে আবার চলতো, এইভাবে ননস্টপ চলতো।

"বান্দরের টিকা !!! "


আনোয়ার স্যার এর ক্লাস, স্যার পড়াচ্ছেন শিশুদের টিকা সমন্ধে, শিশুদের বিভিন্ন রকম টিকা দিতে হয়, ধুনুষ্টংকার, পলিও আরো বিভিন্ন টিকার গুরুত্ব ইত্যাদি ইত্যাদি, হটাৎ পিছনের বেঞ্চ থেকে কথা আর হাসির শব্দ, স্যার এর মেজাজ খারাপ হয়ে গেল

" ওই কে হাসেরে!!! তোরা দুগা ( জণ) খাড়া, কিরে আই হরাইয়ের আর তোরা দুগা হিছে বই কতা কস কিল্লাই? এইবার আরে , হাসচ কিল্লাই? "

একজন উঠে বল্ল, স্যার আরিফ আমাকে জিজ্ঞেস করতেছে, আমার ছেলে মেয়ে হলে আমি তাদেরকে টিকা দিব কিনা!!!!


স্যার : " কি!!!!! তোরা অনই হোলা মাইয়ার কতা চিন্তা করা শুরু করি দিছত!!! আরে তোগো হোলা মাইয়া হইলেত টিকা দেওনের কতা আইবো , তোগোতো হইবো বান্দর, বান্দর এর টিকা দেওন লাগে না বুইজ্জত, এইবার তোরা এমি আয় টিকা লই যা "

Wednesday, August 26, 2015

কলোনি লাইফ এ ডাব চুরি


কলোনি লাইফ এ ডাব চুরি , সে এক মজার ও অ্যাডভেঞ্ছারাস অভিজ্ঞতা। এরকম এক রমাজানের দিন আমাদের বাসায় (BH/1) আসলো আমার জেঠাতো ভাই (মেজ জ্যাঠার ছেলে)। এসে কলোনি দেখে উনি তো বেজায় খুশি। রাতে তারাবির নামায পড়বেন বলে আমাকে নিয়ে বাসা থেকে বের হলেন। বের হয়ে বললেন "তোদের কলোনিতে এতো এতো নারকেল গাছ। তোদের তো হেভি মজা।" আমি কিছু বুজলাম না। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় বললেন, "ডাব খাবি?" আমি এতক্কখনে বুজলাম ওনার খুসির কারন। 

আমি বললাম "এখানে তো সবার নামে নারকেল গাছ আছে। আমাদের ও আছে।" উনি বললেন "আরে তোদের গাছ থেকে কে খেতে চাচ্ছে। ওই গাছ থেকে খাব" ওটা মনে হয় জলিদের গাছ ছিল। একেবারে সিঁড়ির পাসে। আমি বললাম ধরা খেলে খবর আছে। উনি বললেন চিন্তা করিস না। আমাকে সিঁড়িতে পাহারায় রেখে উনি চললেন গাছে উঠতে। গ্রামের ছেলে তো ভীষণ এক্সপার্ট। তরতর করে গাছে উঠে গেলেন। উঠে তো চিন্তায় পড়ে গেলেন, কোনটা রেখে কোনটা খাবেন।ভেবে চিনতে একটা ডাব নিলেন। কিন্তু নিচে ফেলতে পারচেন না। 

হামিদ স্যার (পিটি স্যার)


ডান পাশে হামিদ স্যার (পিটি স্যার) কে দেখা যাচ্ছে। উনি এখন আর আমাদের মাঝে নাই। আল্লাহ হামিদ স্যার কে বেহেশত নসীব করুক। উনার ২ টা ডায়লগ খুব মনে পরতিছে। পা গ ল = পল এবং ছা গ ল = ছল। আমি একবার বিনা দোষে উনার কাছে খুব মাইর খাইছিলাম। মাইর খাওয়ার পর যখন বল্লাম স্যার আমি ত কোন দোষ করি নাই, আমারে মারলেন কেন? স্যার বলল কি করবি বল "শব ই বরাত" এ লিখা ছিল .........। miss u sir .......

Tuesday, August 25, 2015

হুজুর স্যার এর ক্লাস


একদিনের ঘটনা। হুজুর স্যার এর ক্লাস।হুজুর স্যার বিখ্যাত উনার সেইই হোন্ডা শাস্তি আর মাসকুলারি মাইরের কারনে। আর এই কারনে নাসিম সুজন ক্লাস এইট, নাইন, টেন হুজুর স্যার ক্লাস পালাত। আর স্যার ও তক্কে তক্কে থাকত কখন এইগুলারে ধরা যায়। 

আমি অন্য পড়া শিখি আর না শিখি, হুজুর স্যার এর পড়া বরাবর মুখস্ত ঠোটস্থ ও কণ্ঠস্থ করে যেতাম। যা হোক ক্লাস সুরুর আগে ওরা সবাই পালাল । ওই দিন নাসিম সুজন স্কুলের পিছনে কবরস্থান দিয়ে (BH/1এ)পাগার পার। আর ফুয়াদ স্কুল এর stage এর পাস দিয়ে boundary থেকে দিল লাফ।হেঃ হেঃ বেচারা ফুয়াদ। 

সকালে যে কার মুখ দেখে উঠেছিল। পরবি পর মালির ঘাড়ে। একেবার এ ফুয়াদের বাবার ( রোমান ভাই, ফুয়াদ এর মা আবার আমার আপা হয়, relative) সামনে। উনি দুপুরে লাঞ্চ করে অফিসে যাচ্ছিলেন। বাবু আর যায় কোথায়, ফুয়াদ এর বাবা ফুয়াদের কান ধরে সোজা হেড স্যার বাদল বাবু স্যার এর রুম এ নিয়ে আসলেন। আমরা দেখলাম ফুয়াদের বাবা ফুয়াদের কান ধরে স্কুল এ ঢুকছেন । ওরে বাপ, সে কি তর্জন গর্জন ফুয়াদের বাবার। 

“চট্টগ্রাম ষ্টিলমিল সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি”

- Moin Khan


আজ ভীষণ ভাল লাগছে এই দেখে যে আমাদের ষ্টিলমিল কলোনীর বেশ কয়েকজন ছোট ভাই আমাদের প্রিয় কলোনী নিয়ে লিখছে।

আমাদের ষ্টিল মিলের সবাইকে অনুরোধ করছি সবার স্মৃতি থেকে স্মরনীয় কিছু লিখার জন্য। কে জানে হয়তো আগামীতে সবার টুকরো টুকরো স্মৃতি মিলিয়ে আমরা সুন্দর একটা সংকলন বের করতে পারি । যা থেকে আমাদের পরবর্তি প্রজন্ম জানবে ষ্টিল মিল নামক বৃহৎ কোন ইন্ডাষ্ট্রি বাংলাদেশে ছিল। যেখানে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান ছিল।তাদের ছেলে-মেয়েরা সুখে দুখে একত্রে মিলেমিশে খুব সুন্দর একটা পরিবেশে থাকতো।

নিরু ভাই আপনার মনে আছে কি এপ্রিল ২৯ আর আর ম্যানিষ্টার এর মধ্যে বড় মাঠে খেলা হচ্ছে


নিরু ভাই আপনার মনে আছে কি এপ্রিল ২৯ আর আর ম্যানিষ্টার এর মধ্যে বড় মাঠে খেলা হচ্ছে : আপনি ম্যানিষ্টারের পক্ষ থেকে খেলছেন, খেলার পাঁচ মিনিটের মাথায় আমাদের দলের (এপ্রিল ২৯) রাসেল (যাকে আমরা রোহিংগা রাসেল বলতাম) আপনাকে এমন ট্যাকল করল যে আপনি পুরা চিটপটাং, পায়ে মারাত্নক ব্যাথা পেয়েছেন, পুরা টুর্নামেন্টে আর খেলতে পারলেননা।বহুত দিন পায়ে ব্যান্ডেজ বেধে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটতেন। ভাগ্য ভালো রেজা ভাই রেফারী ছিলেননা। থাকলে কার্ড খাইতে খাইতে আমাদের দফা রফা হয়ে যেতো। 

এরপর থেকে রাফ এন্ড টাফ টিম হিসেবে এপ্রিল ২৯ ব্যাপক পরিচিতি পায়।

ভালো কথা ঐ ব্যাথা টা কি আর আছে। ভাই কি ড্যাশিং টা না আপনারে দিছিল। শেষ পর্য্যন্ত আমরা ২--১ গোলে ঐ ম্যাচ জিতছিলাম। আমাদের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করছিলো বুড়ামিয়া। 

আসেন নিরু ভাই আবার একটা ম্যাচ খেলি, প্রমিজ আপনারে আর ঐ ভাবে ট্যাকল করবনা। আর রেফারী থাকবে রেজা ভাই। রেজা ভাই আপনাকে ও বলছি আমরা আপনার সাথে কোন অশোভন আচরন করবনা, প্রমিজ। যাহা বলিবেন তাহা মানিয়া লইব। Anisur Rahman Mdnurul Kabir

ঢেলা চোর !!!!!!!!!


হক স্যার ক্লাসএ ঢুকলেন, কিন্তু আজকে পড়া বন্ধ, আজকে হবে বিচার !!! 
স্যার ক্লাস এ ঢুকেই বললেন, “ এরে কাইলগা রাইতে আর গাছের ডাব চুরি কইচ্ছে কেরে ? “
আমরাতো ভয় পেয়ে গেলাম, কারন আমরাও মাঝে মধ্যে স্যার এর গাছের ডাব খাই। 
স্যার বললেন, “ আই ভালা করি জানি কে খাইছে আর গাছের ডাব, এরে ( আজিজ, কাদের, এমদাদ, আরো ২ জনকে বললেন ) তোরা খাড়া, তোরা খাইছত আর গাছের ডাব, তোগোরে আই দেকছি গাছের কাছে ঘুরাঘুরি কইত্তে “ 
আসামিরা বলল , স্যার কসম আমরা খাইনাই, হু হু হু
“ না, কান্দা কাটি করি কোন লাভ নাই, আই ভালা করি জানি তোরা খাইছত, আইজ্জার হরে যদি তোগোরে আর গাছের এিসীমানাত দেখি, আই তোগো গাত গরম হানি ঢালি দিমু।“ 
“ তোরা অইলি ঢেলা চোর, ক্লাস এর বেগগুনে হুনি রাখ, আইজ্জারতন আই এগুনেরে নতুন নাম দিলাম, এগুনের নাম ঢেলা চোর “

XYZ…… সাহেব



আমি, শুভ ভাই, লিটন ভাই, সাজু ভাই, সিরাজ ভাই, এমদাদ আরও কয়েকজন মিলে ভাই ভাই স্টোর এর পাশে রাখা লম্বা টুল এ বসে আজাইরা আড্ডা দিচ্ছি। তখন একজন অপরিচিত আংকেল এসে জিজ্ঞেস করলো, বাবারা …….XYZ….. সাহেবের বাসাটা কোন বিল্ডিং এ । আমরা চিনতে পারলাম না, অথবা উনি কিছু একটা ভুল বলেছেন। তখন শুভ ভাই জিজ্ঞেস করলেন…………
শুভ ভাই ; আংকেল আপনি কোন ………XYZ…… সাহেব এর কথা বলতেছেন? কলোনির হলেতো আমরা চিনবার কথা !!!
আংকেল ; উনি ……………… Department এ চাকরি করেন।
শুভ ভাই ; নাহ্ , চিনতে পারতেছি না, আচ্ছা ওনার কি ছেলে মেয়ে আছে ?
আংকেল ; ছেলে আছে, নাম ………………… । 
শুভ ভাই ; নাহ্ , চিনতে পারতেছি না, ছেলে ছোট হলে সবাইকে চিনব না, আচ্ছা আংকেল ওনার মেয়ে নাই ? মেয়ে আছে কোন ?
আংকেল ; হুম আছে, ওনার বড় মেয়ের নাম বোধহয় …………………… ।
শুভ ভাই ; এইবার চিনতে পারছি, আগে বলবেন না !!! আপনি গেট দিয়ে ঢুকে সোজা চলে যাবেন , শেষ গলির আগের গলি দিয়ে ডানে আবার সোজা চলে যাবেন, বামদিকে দেখবেন বড় একটা মাঠ, ডান দিকের …………… বিল্ডিংটা।

Monday, August 24, 2015

একদিনের কথা মনে পরে গেলো (সালটা সেইই ১৯৯৮)


Iftee Nomi ভাইএর লেখাটা পড়ে একদিনের কথা মনে পরে গেলো। সালটা সেইই ১৯৯৮ । ক্লাস টেন। মাহফুয স্যার এর ক্লাস। যথারীতি স্যার তার মনের মাধুরি মেশানো অতি সুন্দর হাস্য মুখ খানা নিয়ে ক্লাস এ আসলেন। ও হ্যাঁ ওনার সবসময়ের সঙ্গী সেই অত্যধিক সুন্দর বেত খানা আনতে ভুললেন না। 

যা হোক ক্লাস এ ঢুকেই হুঙ্কার ছাড়লেন, যারা যারা পড়া শিখিসনি তারা বেঞ্চের উপর দাড়া আর বই নিয়ে পরতে থাক। আর আমরাও টুঁ শব্দটি না করে অতিভদ্র ছেলের মত দাড়িয়ে গেলাম। আমাদের মধ্যে আবার একটা ব্যাপার ছিল। এটা কে unity না যেন কি বলে। আমরা আবার যা করতাম ক্লাস এর সবাই একযোগে করতাম। ধরা খেলে একযোগে ধরা খেতাম। মাইর খেলে তাও একযোগে খেতাম। তো সেরকম ভাবে মোটামুটি আমরা সবাই একযোগে দাঁড়ালাম আর পড়ার চেষ্টা (বৃথা চেষ্টা) করতে লাগলাম। 

আমি ,সুজন, ফুয়াদ, আসিফ, খোকন সহ এমন সময় দেখি স্কুল এর গেইট দিয়ে ঢুকছে স্কুল কমিটির মেম্বার মহাম্মদ আলী (আসিফের বাবা) । আমরা তখন আসিফের বাসায় নিখিল স্যার এর কাছে প্রাইভেট পরতাম। আর এটা মাহফুয স্যার ও জানতো। আর যায় কোথায়। স্যার সোজা গিয়ে মহাম্মদ আলী কাকা কে ডেকে নিয়ে আসলো। আমাদের স্যামনে এনে বলল দেখেন তো এদেরকে চিনতে পারেন কিনা। আমরা তো একজন আরেকজনের পিছনে মুখ লুকানর চেষ্টা করচিলাম। আর আসিফের অবস্থা বলাই বাহুল্য। টার তো গলা সুকিয়ে কাঠ। 

Sunday, August 23, 2015

বালি ঘড়ি


সেদিন বলেছিলাম আজিজ স্যার এর কথা। রেজা ভাই এর প্রশংসা দেখে লোভ বেড়ে গেলো। ভাইয়ার সম্মানার্থে আমাকে আবার লিখতে বসতে হলো। প্রাইমারির গন্ডি পার না হতেই পরলাম মাহফুজ স্যার এর সামনে। ক্লাস ফাইভ কি সিক্স এ পরি তখন , মাহফুজ স্যার আমাদের ক্লাস নিচ্ছেন, স্যার দেখতে অনেক স্মার্ট , তারচেয়েও স্মার্ট স্যারের হাতে থাকা বেত । স্যার কলম বেত টা খুব যত্ন করে রাখতেন ,এই কলম বেত কে ক্যাটরিনার মত করে নাচিয়ে নাচিয়ে আমাদের রক্ত চলাচল বন্ধ করে দিতেন, ক্লাসে ঢুকেই বললেন কেউ আমার ক্লাসে কথা বলবে না , যদি কোন কথা থাকে আমাকে বলবে। বালি ঘড়ির একটা চ্যাপ্টার পড়াচ্ছেন, খুব সুন্দর করেই পড়ালেন, ক্লাসেই আমার মুখস্ত হয়ে যায়, স্যার সবাইকে পরের দিন মুখস্ত করে আসতে বলে চলে গেলেন । 

পরদিন ক্লাস শুরু হলো, স্যার হুঙ্কার দিয়ে বললেন ,“যারা পড়া শিখোনি বেঞ্চে কান ধরে উঠে দাড়াও, আমি জিজ্ঞেস করার পর যদি দেখি পারছো না শাস্তির পরিমান কিন্তু দ্বিগুন হবে ”

ফুটবল সমাচার


বেশ কদিন আগে মেডিকেলে নাইট ডিউটি করার সময় ২টার িদকে হঠাৎ এক রোগীর মুখোৃুখি হতেই পুরনো স্মৃতি...বড়মাঠ,ফুটবল টুনামেন্ট, বড় বড় দল (মুনষ্টার,ম্যানষ্টার,নবীনসংগ..) মনে পড়ে গেল। রোগী আমার সবসময়ের পতিপক্ষ ম্যানষ্টারের দুর্দান্ত *শামীম*...

লিভারের জটিল রোগে আক্রান্ত।পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠালাম।

Saturday, August 22, 2015

স্কুল লাইফ


স্কুল লাইফে আমাদের খুব পছন্দের টিচার ছিল; আজিজ স্যার । আবার প্রচন্ড ভয় ও পেতাম স্যার কে। সামনে আসলেই হার্ট বিট বেড়ে যেতো। কোন ভাবেই নরমাল হতে পারতাম না। স্যার এর হোম ওয়ার্ক রেডি করতে ভুল হতো না কিন্তু পড়া ধরলেই কেমন জানি সব গোলমেলে হয়ে যেতো। যথারীতি একদিন পড়া ধরার জন্য সামনে এসেছে । আমি তো ভয়ে শেষ , মুখস্ত করে রাখা পড়া যেখানে ভ্যানিশ হয়ে যেতো সেখানে পড়াই শিখেই আসি নাই । কি যে হবে ? এক কলমে বিএ পাশ নামের কলম বেত এর আঘাতে বিয়ে করতে না পারলেও আজ কে আমারে লাল দুনিয়া দেখিয়ে দিবে।

কাজি রে ধরেই ঘ্যাচেং ঘ্যাচেং করে লাগিয়ে দিলো । ফয়জুল এর কাছে পড়া নিচ্ছে ।
আমি দোয়া দরুদ পড়ছি
আল্লাহ আজ দিন টা এত বড় কেন ? ঘড়ির কাটা কি অনসন করছে ? তাহের ভাই ঘন্টা বাজাবে কখন? স্যার যদি আজ কোন কারনে স্কুলে না আসতো ......... 
নমি উঠ ? 
জ্বি স্যার 
পড়া শিখছিস ? আগে স্বীকার করলে দুইটা পিটুনি খাবি আর আমি চেক করার পর না পারলে আনলিমিটেড
ওরে আল্লাহ এই রকম প্যাকেজ কবে বাজারে আসলো ? আমি তো এখনো জানলাম না ।

Friday, August 21, 2015

কনফিউজড ছিলাম

- Iftee Nomi

কলোনির বড় ভাইয়ারা যখন বড় আপু দের বিয়ে করে তখন আমাদের একটা প্রব্লেম ফেস করতে হয় । সেই সময় আপু দের কি ভাবি বলে সম্বোধন করবো নাকি ভাই দের দুলাভাই বলে সম্বোধন করবো এইটা নিয়ে কনফিউজড ছিলাম ।

Thursday, August 20, 2015

আমার এ লেখাটা আগে কমেন্টস হিসেবে ছিলো


আমার এ লেখাটা আগে কমেন্টস হিসেবে ছিলো , এখন এখানে পোষ্ট করলাম,

আমাদের রতন (বর্তমানে আর্মিতে) ঢাকা আসার জন্য গ্রীন লাইন বাসের টিকেট কাটতে দুই টার ষ্টাফ বাসে করে দামপাড়া যাবে, জেক্সর সামনে আমি আর রাশেদ (মরা) বসে ছিলাম, আমাদের জোর করে সে নিয়ে গেলো, সমস্যা হলো আমি লুংগী পড়া ছিলাম, তারপরও রতন আমাকে নিয়ে গেলো, টিকেট কেটে আমরা তিনজন কলোনী আসার জন্য গনি বেকারিী তে সাড়ে তিনটার বাস ধরতে আসলাম বাসে আগে থেকেই অনেক জুনিয়র পোলাপান ছিলো, তারা আমারে দেখে মুচকি হাসহাসি করতেছিলো, এমনও শুনেছিলাম যে আমার পিছনে ফোড়ার কারনে নাকি আমি লুংগী পড়েছি, আরও ভয়াবহ ব্যাপার হলো বাস যখন নিউমার্কেট আসলো তখন বাসে বিশেষ কেউ একজন উঠলো, আর আমার দিকে যে লুক দিলো,ভাইরে পরে আমার উপর দিয়া অনেক ঝড় গেছে এ লুংগী পড়ে কলেজ বাসে উঠা নিয়া। সব দোষ শালা ঐ রতইন্যার।( thnx পুলক মধুর স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়ার জন্য)

বিদ্যুৎ সংকটের জন্য কলোনী তে সন্ধ্যা থেকে রাত নয় টা পয্যন্ত ষ্ট্রীট ল্যাম্প বন্ধ রাখতে হচ্ছে


বিদ্যুৎ সংকটের জন্য কলোনী তে সন্ধ্যা থেকে রাত নয় টা পয্যন্ত ষ্ট্রীট ল্যাম্প বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তবে বাসায় বিদ্যুতের কোন সমস্যা হচ্ছেনা, কিন্তু রাস্তা গুলো রাত নয়টা পর্য্যন্ত অন্ধকার থাকতো। এমনি এক সণ্ধ্যায় ইউনুসের দোকানের সামনে আমরা আড্ডা মারছি, দেখলাম এক লোক আমাদের কাছে আসছে এবং যে বাসায় যাবে, সে ওই বাসা চিনেনা, ওরে খোদা, কি তামশা সে দেখি কলোনীর এক ভয়াবহ ত্যাদড় লোকের এক আত্নিয় ,আর বাসার ঠিকানা নিচ্ছে আমাদের কাছ থেকে !!!!!!!!!( আর আমরাও ভূল ঠিকানা দিয়া দিছি) আর তার হাতে দেখলাম মিষ্টির পোটলা , ঐ ত্যাদড় ব্যাটা তো আমাদের সারা জীবন জালাইছে, এখন তার আত্নিয় রে আজকে খবর করে দিব, েমানে তার মিষ্টির পোটলা কেড়ে নিব। যথারিতী আমি, রাশেদ (পলা বা মরাইয়া) মনিরুল (মইয়ু), দুলি একশনে নামলাম ওই মিষ্টি অলা ব্যাটারে ফলো করতে করতে বড় মাঠের কোনায় গিয়ে অন্ধকারে ঝোপের কাছে যে মুহূর্তে মিষ্টির পোটলা টান দিব অমনি আমাদের সামনে তাপস দা হাজির , উনারে দেখে আমরা পুরা ভদ্র, কিন্ত চেহারার কাচুমাচু ভাব দেখে তাপস দা ঠিকই বুঝলেন আমরা কোন আকামে আসছি, উনার জেরার মুখে সব কিছু স্বিকার করলাম, উনি সব শুনে আমাদের উল্টা ঝাড়ি মাইরা বললেন”আরে গাধারা তোরা এই কাম করবি তো আমারে দেইখ্যা ডরাস ক্যান আমি কি তোদের বাইরের কেউ”, কিন্ত ততক্ষনে আমাদের শিকার হাওয়া, তাপস দা বললেন আচ্ছা ঠিক আছে নেক্সটে ঠিক মতো করিস আর আমার ভাগ রাখিস।

তাপস দা কলোনী টা আর নেই, কেউ আর মিষ্টির পোটলা হাতে আমাদের ঠিকানা জিগ্গেস করেনা, আমি জানি ওপার থেকে আপনি সব দেখছেন।

তাপস দা আপনি কি এটা দেখেছেন, সব কিছু আমরা গড়ে নিয়েছি আগের মতো করে, কারও আর সাধ্য নেই এটা বন্ধ করার। আপনি ও আসুন প্লিজ, যদি দীপক দা র সাথে দেখা হয় তাকেও বলুন সব আগের মতো হয়ে গিয়েছে, ট্যাংকীর নীচের আড্ডাটা আবার জমে উঠেছে।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss