২৯ ফেব্রুয়ারি। আড্ডার একমাস পূর্তি হলো।এ উপলক্ষে কমবেশি সবাই কিছু না কিছু পোস্ট করায় ক'দিন ধরেই ভাবছিলাম, আড্ডা নিয়ে কিছু লিখবো। কাজের ব্যস্ততা আর কিছুটা আলসেমীর জন্য আর লিখা হয়ে উঠেনি। আজ ভেবেছিলাম,আড্ডা নিয়ে কিছু একটা লিখবোই। Unfortunately, আড্ডা নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক বা মজার কিছু লিখার মতো অবস্থা এখন না।
আমার ঢাকায় আসার খবর শুনে গত বৃহস্পতিবার আমার মেঝ আম্মু ইনান (@Chand Sultana বুবুর মেঝ মেয়ে) পেইজে একটা পোস্টে লিখে যে,আমার ঢাকায় আসার কথা শুনে নাকি ওর "ঈদ ঈদ" লাগছে। Priceless এই feelings এর প্রতিদান দেওয়ার যোগ্যতা আমার নেই। এত্তোগুলো ভালোলাগা নিয়ে ঢাকায় গেলাম। ভোরে পৌছানোর পর সকালে পাগলীটা ফোন দিয়ে ওর নানাভাইকে দেখতে ওদের বাসায় যেতে বল্লো। রেজা ভাইও নাকি যাবেন।তাই রেজা ভাইয়ের সাথে যাবো ভেবে রেজা ভাইকে ফোন দিয়ে জানতে পারলাম,উনার জ্বর। তাই শুক্রবার আর যাওয়া হলো না এরমাঝে অন্য এক কাজে ফেঁসে যাওয়ায়।পরে শুনি,আপেল নাসেররা নাকি গিয়েছিলো আর চাচা অনেক্ষন ওদের সাথে কথা বলেছেন।
পরদিন, শনিবার দুপুরে গুলশানে সবার সাথে দেখা হলো।তখনো বুবু আর বাচ্চারা সবাই চাচাকে দেখতে যাওয়ার জন্য বলেন। সময়ের কিছুটা টানাটানি থাকায় সেদিনও আর গেলাম না। আজ দুপুরে অফিস থেকে এসে ফেসবুক অন করেই আতিক ভাইয়ের পোস্ট দেখে ধাক্কা খেলাম।বুঝতে পারছিলাম না,কোন বন্যা আপা? বন্যা আপা নামে কাউকে তো আমি চিনি না!! কারণ, বুবুর আন্তরিকতার বন্যায় উনার "বন্যা" নামটাই হারিয়ে গিয়েছে। হতবিহ্বল আমি ইনানের ফোন পেয়ে ওর হাউমাউ করা কান্না শুনে বুঝতে পারি যে,আমি যা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না,তাই সত্যি। আফসোস!! সেদিন কেনো গেলাম না!!! চাচা যে আর সময় দিবেন না,এটা তো আমার জানা ছিলো না। দিব্যি সুস্থ একটা মানুষ এভাবে চলে গেলেন!!!
বুবু আমাদের বাসা থেকে ঘুরে আসার পর আব্বা বলেছিলেন,"ওর আব্বা খুব ভালো মানুষ। সিনিয়র অফিসার হলেও সবার সাথে হাসিমুখে নিজে থেকেই এসে কথা বলতেন,খোঁজখবর নিতেন।" মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করা নাকি ইবাদত। যদি তাই হয়,তাহলে চাচা আজীবন ইবাদত করে গিয়েছেন। মানুষ যাকে ভালো বলে,আল্লাহ্ তাকে খারাপ বলেন না বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি,মহান আল্লাহতালা চাচাকে বেহেস্ত নসিব করবেন।
No comments:
Post a Comment