মাকসুদ চাচা চলে যাবার পর উনাদের বাসায় আসেন তারা।এক ভাই এক বোন।বাবা সিকিউরিটি অফিসার।সারাদিন বাইক নিয়ে কলোনি দাপিয়ে বেড়ান। কিছু অনিয়ম দেখলে বকাঝকা করেন। কলোনি র সিনিয়র ভাইয়েরা উনার উপর কিছুটা বিরক্ত, তটস্থ থাকতে হয়। কিন্তু ছেলেটা হয়েছে উল্টো। সবার সাথে মিলেমিশে থাকে, খেলাধুলা করে।কথাবার্তা য় তার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়। প্রায় অফ হোয়াইট শার্ট আর খাকি কালারের প্যান্ট পড়ত। চোখে মোটা ফ্রেমের পাওয়ারফুল চশমা।
অনেকেই হয়ত চিনতে পেরেছেন, কার কথা বলছি।তাসকিন ভাই। তাসকিন ভাইয়ের নাম যখন প্রথম শুনি তখন অবাক হয়,এরকম নাম আগে শুনিনি বলে। মাঝেমাঝে দুপুরে বের হলে উনাদের বাসায় যেতাম,উনি ডাকতেন।ওনাদের বারান্দা ছিল ছোট খাট বোটানিক্যাল গার্ডেন। তাসকিন ভাই আমাকে বলতেন,কোন টা কি ক্যাকটাস বা ফুলের গাছ।তখনই উনার কথা বলার ধরন দেখে মুগ্ধ হতাম।
মজা করতেন মাঝেমাঝে। উনার মা ছিলেন খুবই বিনয়ী ও ভদ্র মহিলা।ফোন করতে গেলে এমন ভাবে কথা বলতেন যেন ফোন ব্যবহার করাটা আমাদের অধিকার। চাচার ছিল ঘর সাজানোর শখ।সেটা উনাদের বাসায় গেলে বুঝতাম।
কলোনি থেকে আসার পর তাসকিন ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ নেই।এই গ্রুপ এ আবার তাকে ফিরে পেলাম। দেখলাম,সেন্স অফ হিউমার দারুন। যেকোন বিষয় খুব নিরপেক্ষ ভাবে দেখতে পারেন,খারাপের চেয়ে ভালর কথা বলতে পছন্দ করেন।পজিটিভ প্রকৃতি র মানুষ। তাসকিন ভাই হয়ত লিখেন না নিয়মিত,কিন্তু কমেন্ট করেন যখন সেখানেই তার প্রজ্ঞার পরিচয় মেলে। ছোটবেলায় চাচা বলতেন,তাসকিন ভাইয়ের তুলনায় লিখাপড়ায় আভা অনেক মনোযোগী। কিন্তু চাচা হয়ত নিজেও বুঝতে পারেন নি কি অসাধারণ বুদ্ধিদীপ্ত তার এই ছেলেটি।
জানিনা কোন দিন তার সাথে দেখা হবে কিনা, তবে দূর পরবাসে আপনার জন্য শুভ কামনা থাকবে সবসময়।

No comments:
Post a Comment