ফ্যামিলিতে খেলাধুলার আবহ ছিলো সবসময়, ফূটবল বা ক্রিকেট যে কোন আন্তুর্জাতিক মানের খেলা হলে আমাদের বাসা মোটামুটি মিনি স্টেডিয়াম, আব্বার কলিগ রা সহ আশেপাশে র লোকজন সবাই আমাদের বাসায়, রাত জেগে খেলা দেখা হৈ হুল্লোর, ভুনাখিচুড়ি, ঝালমুড়ি ননস্টপ চলত।
আমার মামা ছিল ৮৫ থেকে ৯০ সাল পর্য্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্লেয়ার, উনি দীর্ঘ দিন ঢাকা আবাহনী ও ব্রাদার্স ক্লাবেও খেলেছেন। মামারা থাকতেন আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনিতে, আমার শৈশব, কৈশোর জীবনের অনেক টা সময় কেটেছে এই মামাদের সংস্পর্শে। তাই খেলার প্রতি ছিল আমার দুর্নিবার আকর্ষন। তার উপর মামার ব্যাক্তিত্ব চালচলনও আমাকে টানতো, মামা ছিলেন রোমান্টিক পুরুষ, আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনি র সবচেয়ে সুন্দরি মেয়েটিকে বিয়ে করেছিলেন সিনেমাটিক সস্টাইলে।তারপর থেকেই ভবিষ্যত জীবনে আমার ফুটবলার হওয়ার ইচ্ছে জাগে, সেটা একসময় ভেস্তে গেল কল্পনা কল্পনায়ই থেকে গেল, পরবর্তিতে জোড়েসোড়ে ক্রিকেট খেলার পরিকল্পনা ও খেলা শুরু করলাম, ভাবছি এই বুঝি বড় ক্রিকেট প্লেয়ার হয়ে যাচ্ছি, এখানে তথৈবচ। পরিকল্পনার পরি উড়ে গিয়ে কল্পনাই থেকে গেল। অবশেষে টিপিক্যাল মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানের মত কোনমতে লেখাপড়া শেষ করে চাকুরী শুরু করলাম।
আমি এখন কাগজের ফেরিওয়ালা।
No comments:
Post a Comment