সি টাইপ মাঠে আমরা ফুটবল খেলছি, আমি গোল কিপার, দু তিনটি শট ডাইভ দিয়ে গোল সেভ করলাম। গোলবারের পিছন থেকে কেউ একজন বলে উঠল, সাবাশ, আতিক তুমি তো দারুন খেলো, তবে হাটুতে নিকাপ পড়ে নিও, না হলে যে ভাবে ডাইভ দিচ্ছ হাটু ছিড়ে যাবে, যিনি কথা গুলো বলছিলেন তিনি আমাদের Ziaul Hasan জিয়া ভাই। মাঠের পিছনে দাঁড়িয়ে আমাদের খেলা দেখছিলেন। তখন আমাদের কোন ক্লাব বা সংগঠন ছিলনা।কিশোর সংঘ নামে একটি ক্লাব ছিল সেটাও টিকে নাই। জিয়া ভাই সেদিনই খেলা শেষ হওয়ার পর এগিয়ে আসলেন, কথা ববললেন আমাদের সাথে, সপ্তাহের মধ্যেই শাপলা কুড়ি নামে একটি ক্লাব বানিয়ে দিলেন, কলোনি র বিভিন্ন বাসায় নিজে আমাদের সাথে ঘুরে ঘুরে চাঁদা তুললেন, ক্লাবটিকে টাকা পয়সার দিক দিয়ে একটি মজবুত ভিত্তি দিলেন। মনে আছে আমার, একসাথে তিনটি ফুটবল কিনেছিলাম স্টেডিয়াম মার্কেট থেকে, দুটি ডিয়ার বল আরেকটি তখনকার সবচেয়ে দামী ব্রান্ডের বল মিকাশা। এত দামী বল দিয়ে তখন কেউ খেলতোনা। পুরা কলোনি তে আলোড়িত ঘটনা ছিল শাপলা কুড়ির ছেলেরা মিকাশা বল দিয়ে খেলে।
জিয়া ভাই ছিলেন ক্লাবের সভাপতি, সম্ভবত দুলি সেক্রেটারি আর আমি ছিলাম কোষাধ্যক্ষ। ক্লাব টি র নামের সাথে হালকা রাজণৈতিক টাচ থাকায় অনেকেই জিয়া ভাইকে ভুল বুঝে, তাই জিয়া ভাই শত চেষ্টা করেও বছর খানেকের বেশি ক্লাব টি টেনে নিতে পারেন নি। এর কিছু দিন পরেই জিয়া ভাইরা স্বপরিবারে ঢাকা চলে যান।
No comments:
Post a Comment